পর্নোগ্রাফি
অশ্লীল যৌনচিত্রণ বা ইংরেজি পরিভাষায় পর্নোগ্রাফি (সংক্ষেপে "পর্ন" বা "পর্নো" অনানুষ্ঠানিক ব্যবহারে) বলতে পাঠক-দর্শক-শ্রোতার দেহমনে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌন বিষয়বস্তুর খোলামেলা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা বা চিত্রণকে বোঝায়। অশ্লীল যৌনচিত্রণ বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে উপস্থাপন করা হতে পারে, যার মধ্যে বই, সাময়িকী, পোষ্টকার্ড, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, রেখাচিত্র, রঙচিত্র, সচলচিত্র, ধারণকৃত শব্দ, চলচ্চিত্র, ভিডিও এবং ভিডিও গেম অন্তর্ভুক্ত। অশ্লীল যৌনচিত্রণবিশিষ্ট সৃষ্টিকর্মকে "অশ্লীল সৃষ্টিকর্ম" বলে এবং একেও ইংরেজিতে "পর্নোগ্রাফি" বলা হয়।
২০শ শতকের শেষভাগে ও ২১শ শতকের শুরুতে এসে অশ্লীল সৃষ্টিকর্ম উৎপাদন ও এগুলিকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোগ করাকে কেন্দ্র করে একটি বিরাট শিল্প গড়ে ওঠে। মূলত ভিসিআর, ডিভিডি ও ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার এবং যৌন বিষয়বস্তুর প্রদর্শনে সমাজের অধিকতর উদার মনোভাব এই শিল্প গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ। অশ্লীল চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা (বা অভিনেত্রী) বলা হয়ে থাকে। তাদেরকে ইংরেজিতে সাধারণত পর্ন স্টার (অশ্লীল চলচ্চিত্র তারকা) নামে ডাকা হয়। মূলধারার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনায় এদের অভিনয়ের গুণমানও সাধারণত পৃথক হয়। শখের অশ্লীল চলচ্চিত্র এই শিল্পের জনপ্রিয় একটি ধারা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরিত হয়ে থাকে।
সরাসরি দর্শকদের সামনে যৌন ক্রিয়াকলাপ আচরিত হলে তাকে সংজ্ঞা অনুসারে অশ্লীল যৌনচিত্রণ বলা হয় না, কেননা অশ্লীল যৌনচিত্রণ হল ঐ ধরনের আচরণের বর্ণনা। এই কারণে যৌনক্রিয়া প্রদর্শনী (সেক্স শো) ও বস্ত্রমোচন (স্ট্রিপটিজ) জাতীয় প্রদর্শনীকে অশ্লীল যৌনচিত্রণের পর্যায়ভুক্ত করা হয় না।
দেশভেদে অশ্লীল যৌনচিত্রণ শিল্পে নগ্নতার প্রদর্শনী ও আলোকচিত্রগ্রহণের প্রতি সাংস্কৃতিক ও আইনগত দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য লক্ষিত হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- লঘু পর্নোগ্রাফি
- পর্নোগ্রাফি আসক্তি
- যৌন আসক্তি
- পর্নোগ্রাফির প্রভাব
- এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক আইন
- বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২
- ভারতে পর্নোগ্রাফি
- পাকিস্তানে পর্নোগ্রাফি
- ইসলামে যৌনতা
- ডোপামিন উপবাস
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]


- ভাষ্য
- "আমেরিকান পর্নো"। Frontline। পিবিএস। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১৪। Interactive web site companion to a Frontline documentary exploring the pornography industry within the United States.
- প্রযুক্তি
- "From teledildonics to interactive porn: the future of sex in a digital age"। দ্য গার্ডিয়ান। জুন ৬, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১৪।
- অর্থনীতি
- সুজানা ব্রিসলিন, অবদানকারী (ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)। "LEADERSHIP: What Porn Stars Do When The Porn Industry Shuts Down"। ফোর্বস।
- সরকার
- Kutchinsky, Berl, Professor of Criminology: The first law that legalized pornography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে (ডেনমার্ক)
- ইতিহাস
- প্যাট্রিসিয়া ডেভিস (পিএইচ), সাইমন নোবেল, রেবেকা জে. হোয়াইট (২০১০)। দ্য হিস্ট্রি অফ মর্ডান পর্নোগ্রাফি। হিস্ট্রি.কম।
- সমাজবিদ্যা
- মিল্টন ডায়মন্ড (পিএইচ) এবং আয়াকো উশিয়ামা (১৯৯৯)। "পর্নোগ্রাফি, জাপানে ধর্ষণ এবং যৌন অপরাধ"। International Journal of Law and Psychiatry। ২২ (১): ১–২২।
- "পর্নোগ্রাফি এবং নিষেধাজ্ঞা"। দর্শনের স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১৪।