যৌনশিল্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

যৌনশিল্প একটি আধুনিক শব্দবন্ধ যা পতিতাবৃত্তি, যৌন উত্তেজনামূলক প্রকাশনা ও চলচ্চিত্র, যৌনখেলনা এবং এবম্বিধ সামগ্রীর বিপণনের মাধ্যম যেমন পর্নমূলক ইন্টারনেট ওয়েসাইট ইত্যাদির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে বোঝায়। এই শিল্পে যৌনকর্মীদের এবং যৌন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অবদান বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যৌনশিল্প পৃথিবীর অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। দিনে দিনে যৌন শিল্পের প্রসার ঘটছে। আমেরিকার অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১৩ বিলিয়নেরও বেশি ডলার যোগ করছে যৌনশিল্প।[১]

ব্যবসার প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

পতিতাবৃত্তি[সম্পাদনা]

যৌনশিল্প মূলত সামরিক সেনা ছাউনির আশেপাশে বিস্তার লাভ করে বেশি। ঊনবিংশ শতকে পোর্টসমাউথ নামক ব্রিটিশ নৌ-সেনা ছাউনি কাছে একটি পতিতালয় ছিল। ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত ফিলিপাইনে আমেরিকান সেনা ছাউনির নিকটে নিষিদ্ধ এলাকা অবস্থিত ছিল।

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

পুস্তক প্রকাশনা[সম্পাদনা]

ম্যাগাজিন প্রকাশনা[সম্পাদনা]

পোস্টার, ক্যালেণ্ডার ও অন্যান্য[সম্পাদনা]

পর্ন চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

হল্যান্ডে জানলার মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি

১৯৭০ ও ১৯৮০ দশকের ভিডিও ক্যসেট রেকর্ডারের জনপ্রিয়তা প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির ব্যবসাকে বাধাহীনভাবে এগিয়ে নেয়। প্রযুক্তির অগ্রগতি প্রক্ষেপকের দিন পার করে নোংরা ছবি-এর সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে বিশাল মুনাফার ও উন্নতির দিকে। প্রতিবছর এভিএন পুরস্কার-এ নির্বাচিত প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে সেরা উচ্চমানের ছবি ও নবাগত তারকাকে পুরস্কৃত করা হয়।

ইন্টারনেট[সম্পাদনা]

১৯৮০ দশকের শেষের দিকের ও ১৯৯০ সালের প্রথম দিকের ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা পর্ণোছবির প্রচার ও প্রসার বাড়িয়েছে।

ডেউটিং সাইট[সম্পাদনা]

যৌনখেলনা[সম্পাদনা]

প্রাপ্তবয়স্কদের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। কলগার্ল, পতিতা, যৌন উত্তেজনাকর নর্তকী এবং পতিতালয়ের দালাল এরা এসব সেবা দিয়ে থাকে।

ম্যাসাাজ পার্লার, স্পা, প্রাইভেট ক্লাব ইত্যাদি[সম্পাদনা]

যৌন পর্যটন[সম্পাদনা]

যৌন পর্যটন সে দেশের যৌনশিল্পকে এগিয়ে নেয় নানাভবে। তবে অবৈধ যৌন পর্যটন তৃতীয় বিশ্বের সাধারণদেশগুলোর জন্য ভয়ঙ্কর, যেমন ক্যারিবিয়ান দেশগলো ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। হামবূর্গ রিপারভান একটি নামকরা পতিতালয়। বৈধ যৌন পর্যটন সেদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]