জনপ্রিয় সংস্কৃতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোয়োয়াকানের জনপ্রিয় সংস্কৃতি জাদুঘর

জনপ্রিয় সংস্কৃতি বা জনসংস্কৃতি বা সাধারণ সংষ্কৃতি (ইংরেজি: popular culture, pop culture, mass culture) বলতে সেই সমস্ত সাংস্কৃতিক উপাদানের সমষ্টিকে বোঝায় যেগুলো বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যম, সমাজে বহুল প্রচলিত ভাষা ও লোকাঁচারে আধিপত্য বিস্তার করে। প্রতিদিনকার জীবনের নানা চাহিদা ও মিথষ্ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট সাংস্কৃতিক মুহূর্তগুলো সমষ্টিবদ্ধ হয়ে মূলধারার লোকজনের দৈনন্দিন জীবনের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। রান্নাবান্না, কাপড় চোপড়, গণমাধ্যম, বিনোদন, খেলাধুলা, সাহিত্য, ইত্যাদিতে জনসংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে।অনেক সময়ই উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গের মধ্যে জনসংস্কৃতির সীমারেখাটি পরিষ্কার নয় ৷ [১]

সমাজের সদস্যদের দ্বারা স্বীকৃত বিভিন্ন বিশ্বাস বা অনুশীলন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অর্থাৎ ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ও বিবিধ শিল্প যা পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে এবং যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঐ সমাজে সর্বব্যাপি ও প্রাধান্য বিস্তারকারী হয়ে থাকে তাকে জনপ্রিয় সংস্কৃতি (popular culture) বলা হয়। জনসংস্কৃতি বলতে প্রাধান্য বিস্তারকারী ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান ও বিবিধ শিল্প যা পূর্ববর্তী প্রজন্ম থেকে মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে তার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অনুভূতির মিথষ্ক্রিয়াকেও বোঝানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সমাজে যা অত্যন্ত বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেইজন্য, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি কোন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গী তৈরিতে জনসংস্কৃতি প্রভাব বিস্তার করে।[2] যাহোক, জনসংস্কৃতিকে ব্যাখ্যা করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে।[3] এই কারণে, জনপ্রিয় সংস্কৃতি হচ্ছে এমন কিছু যা বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে পরস্পরবিরোধী ‍উপায়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে।[4] সাধারণভাবে সংস্কৃতির অন্যান্য রূপ যেমন: লোক সংস্কৃতি, শ্রমজীবী-শ্রেণীর সংস্কৃতি বা উঁচু সংস্কৃতির সঙ্গেে এবং বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোন যেমন: মনঃসমীক্ষণ, উত্তরআধুনিকতাবাদ, এবং অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত জনসংস্কৃতির ধরন হচ্ছে: বিনোদন, (যেমন: চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, টেলিভিশন এবং ভিডিও গেমস) খেলাধুলা, সংবাদ, রাজনীতি, ফ্যাশন, প্রযুক্তি, এবং স্ল্যাং।[5]

অনেকে কখনো কখনো জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে (popular culture) তুচ্ছ এবং মূলধারায় সম্মতিসূচক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য শিক্ষা, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সংবাদ, ভিডিওগেম ও সংস্কৃতির বুদ্ধিবৃত্তিক আধেয়কে সুচিন্তিত ভাবে অতি সরলীকরণ বলে জ্ঞান করেন। এর ফলে মূল ধারার বাইরের সংস্কৃতিগুলো {লক্ষণীয়ভাবে ধর্মভিত্তিক দলগুলো (religious groups) এবং উপসংস্কৃতির দলগুলো (countercultural groups)} জনসংস্কৃতিকে অত্যন্ত সমালোচনা করে থাকে। তারা এই সংস্কৃতিকে অগভীর, ভোগবাদী, গণ উত্তেজনাকর, বা দূষিত বলে বিবেচনা করেন।

ইতিহাস ও সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

”জনপ্রিয় সংস্কৃতি” শব্দটি উনবিংশ শতাব্দী বা তার আগেও উদ্ভূত হয়েছে।[10] ঐতিহ্যগতভাবে জনপ্রিয় সংস্কৃতি নিচু মানের শিক্ষা (poor education) ও নিচু শ্রেণীর ( lower classes) সঙ্গে সম্পর্কিত। [11] যা উঁচু শ্রেণীর (upper classes) “আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতি” (official culture) এবং উঁচু মানের শিক্ষার (higher education) বিরোধী।[12][13] রানী ভিক্টোরিয়ার সময়কালে বৃটেনে সামাজিক পরিবর্তন হয় যার ফলে স্বাক্ষরতার হার বাড়ে। পুঁজিবাদ এবং শিল্পায়নের উদ্ভবকালে লোকেরা বিনোদনের জন্য অধিক টাকা খরচ করতে শুরু করে।ভিক্টোরীয় যুগের ==পেনি ড্রেডফুলস== ( penny dreadfuls) সিরিয়াল ভিডিও গেমের সমতুল্য।দ্য গার্ডিয়ান পেনি ফিকশনকে “বৃটেনে তরুনদের জন্য গণ-উৎপাদিত (mass-produced) জনপ্রিয় সংস্কৃতির প্রথম স্বাদ” বলে বর্ণনা করে।” [14] ক্রমবর্ধমান ভোগবাদী সংস্কৃতি (consumer culture) ও রেলপথ উদ্ভাবনের (প্রথম রেলপথ, স্টকটন এবং ডার্লিংটন রেলপথ জনসাধারণের জন্য ১৮২৫ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে উন্মুক্ত করা হয়) মাধ্যমে ভ্রমণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সস্তা জনপ্রিয় সাহিত্যের বাজার তৈরি হয় এবং বেশি মাত্রায় তা প্রচারিত হয়। ১৮৩০ সালে প্রকাশিত পেনি সিরিয়ালস এই চাহিদা মেটায়।[15] উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে “আনুষ্ঠানিক সংস্কৃতির” ("official culture") সঙ্গে এর প্রভেদের বিষয়ে অনেক বেশি জোর দেয়া হয়।[16] বিশ্বযুদ্ধ দুটির মধ্যবর্তী সময়ে (interbellum period) এই প্রভেদ প্রতিষ্ঠিত হয়।[17]

দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে গণ মাধ্যমের প্রবর্তনের দ্বারা পরবর্তীতে যে গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তন সুচিত হয় তাতে জনপ্রিয় সংস্কৃতি জন সংস্কৃতি, গণমাধ্যম সংস্কৃতি, ইমেজ কালচার ও ভোগবাদী সংস্কৃতির (mass culture, media culture, image culture, consumer culture and culture for mass consumption) সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে যায়।[18] অন্যান্য পশ্চিমা দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন অগ্রগামী ছিল।

পপুলার শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ “পপ” ১৯৫০ এর শেষ দিকে পপ মিউজিক (pop music) শব্দটিতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।[19] যদিও “পপ” ও “পপুলার” শব্দ দুটি কিছু ক্ষেত্রে আদল বদল করে ব্যবহৃত হতো। আর তাদের অর্থ খনিকটা মিশ্রিত হয়ে যেত তারপরেও “পপ” শব্দটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ। যেসব জিনিসের নির্দিষ্টভাবে গণ আবেদন তৈরির গুন আছে তাকে পপ বলে কিন্তু যেসব বিষয় যে কোন শৈলী নির্বিশেষে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তাকে “পপুলার” বলে।[20][21]

লেখক জন স্টোরে (John Storey) এর মতে জনপ্রিয় সংস্কৃতির অনেক সংজ্ঞা রয়েছে।[22] সংস্কৃতির পরিমাণাত্মক সংজ্ঞায় (quantitative definition) যে সমস্যা রয়েছে তাতে উঁচু সংস্কৃতিও ("high culture") (উদাহরণ স্বরূপ জেন অস্টিনের বইয়ের টিভি নাটকে রূপ দেয়া) এক ধরনের “জনপ্রিয় সংস্কৃতি”। যখন আমরা উঁচু সংস্কৃতি (high culture) কী তা বোঝার সিদ্ধান্ত নেই তখন “জনপ্রিয় সংস্কৃতি” কে “অবশিষ্টাংশ” ("left over") বলে সংজ্ঞায়িত করা যায়। যাহোক, সংস্কৃতির অনেক বিষয় দুই পক্ষকেই ছুঁয়ে যায়, যেমন: চার্লস ডিকেন্সউইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সাহিত্য কর্ম।

তৃতীয় সংজ্ঞাটি জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে “জন সংস্কৃতি” (mass culture) এবং ভাবনার সমান করে তুলেছে। একে গণ মাধ্যম গণ ভোগের (mass consumption) জন্য গণ উৎপাদনের (mass-produced) বাণিজ্যিক সংস্কৃতি ( commercial culture) বলে আখ্যায়িত করেছে।[23] পশ্চিম ইউরোপীয় প্রেক্ষাপট থেকে একে অ্যামেরিকার সংস্কৃতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। বিকল্প উপায়ে, “জন সংস্কৃতি”কে লোকেদের বা গণের “খাঁটি” সংস্কৃতি বলে সংজ্ঞায়িত করা যায়, কিন্তু এই সংজ্ঞায় সমস্যা রয়েছে কারণ “লোক” বা “গণ”কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়।

স্টোরে দাবি করেন শিল্প বিপ্লবের ফলে মানুষের নগরায়নের ফলে জনপ্রিয় সংস্কৃতির উদ্ভব হয়েছে। শেক্সপিয়ার নিয়ে চালানো গবেষণা (উইম্যান, বারবার, বা, ব্রিস্টল দ্বারা) রেঁনেসার জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে অংশগ্রহনের কারণে তার নাটকের অধিকাংশ গুণগত প্রাণবন্ততা চিহ্নিত করে কিন্তু সমসাময়িক গবেষক যেমন: ডারিও ফো এবং জন ম্যাকগ্রাথ জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে গ্রামসীয় তত্ত্বের আলোকে ব্যবহার করেন যাতে প্রাচীন লোক ঐতিহ্যকে (উদাহরণ স্বরূপ কমেডিয়া ডেল’আর্তে) জনপ্রিয় সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত করে।[24][25]

স্থান এবং সময়ভেদে জনপ্রিয় সংস্কৃতি অনন্যভাবে প্রকাশ পায় এবং দৃষ্ট হয়। এটি স্রোত এবং ঘূর্ণি তৈরি করে, এবং পরস্পরের উপর নির্ভরশীল একটি জটিল প্রেক্ষাপট এবং মূল্যবোধ তৈরি করে যা সমাজ ও সমাজে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে।

লোককাহিনী[সম্পাদনা]

ঐতিহ্যবাহী লোককাহিনী অভিযোজিত হয়ে জনপ্রিয় সংস্কৃতির একটি উৎসে পরিণত হয়।[26] মূলধারার সংস্কৃতির প্রাথমিক স্তর আজ পর্যন্ত এমন একটি রূপে টিকে আছে যা গণ উৎপাদিত জনপ্রিয় সংস্কৃতির থেকে আলাদা, গণ মাধ্যমে প্রচারিত না হয়ে বরং লোকের মুখে মুখে প্রচারিত হয়, উদাহরণ স্বরূপ কৌতুক হিসেবে প্রচারিত হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ইন্টারনেটের বিস্তৃত ব্যবহার গণমাধ্যম এবং মুখে মুখে প্রচারের পার্থক্য ঝাপসা হয়ে গেছে।

যদিও জনপ্রিয় সংস্কৃতির লোককাহিনীভিত্তিক উপাদান প্রচন্ডভাবে বাণিজ্যিক উপাদানের সঙ্গে যুক্ত, লোকেদের নিজস্ব রুচি আছে আর প্রতিবার যে সাংস্কৃতিক এবং উপসাংস্কৃতিক বিষয় বা বস্তু বিক্রি হবে তা তারা কিনবে না। তারপরেও, বাণিজ্যিক সংস্কৃতির (commercial culture) দ্রব্যগুলো সম্পর্কে বিশ্বাস ও মতামত মুখে মুখে ছড়িয়েছে, এবং লোককাহিনী যেভাবে ক্রমে ক্রমে গঠিত হয়েছে সেই একই ভাবে এবং একই প্রক্রিয়ায় বাণিজ্যিক সংস্কৃতি গঠিত হয়েছে।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

অনেক মানুষ বলেন সমাজের উঁচু শ্রেণীরা লোকেরা এবং অভিজাতরা (যারা গণমাধ্যম এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতির নির্গম দ্বার নিয়ন্ত্রণ করেন) সমাজে তাদের চেয়ে অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণের জন্য জনপ্রিয় সংস্কৃতিকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। এ কথাও বলা হয়ে থাকে যে জনপ্রিয় সংস্কৃতি “সাধারণ মানুষদের” মনকে লঘু করে তোলেন, তাদেরকে আরো নিষ্ক্রিয় এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে দেন, যদিও জনপ্রিয় সংস্কৃতি প্রাধান্য বিস্তারকারী সংস্কৃতি ও উপসংস্কৃতির (dominant subcultures) বিরুদ্ধে বিদ্রোহের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।[27]

উৎসসমূহ[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র

টেলিভিশন অনুষ্ঠানসূচী

জনপ্রিয় সঙ্গীত

খেলাধুলা

পৌরসভা

বই

বেতার

ভিডিও গেম

ইন্টারনেট

চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র একটি বিশাল মাত্রার জনপ্রিয় সংস্কৃতি।

টেলিভিশন অনুষ্ঠানসূচী[সম্পাদনা]

সম্প্রচার উদ্দেশ্যে অডিওভিজ্যুায়াল আধেয় এর একটি অংশই হচ্ছে টেলিভিশন অনুষ্ঠানসূচী। টেলিভিশনের অনুষ্ঠানসূচী কল্পিত(হাস্যরসাত্মক নাটক এবং নাটক) বা তথ্য ভিত্তিক (ডকুমেন্টারি, সংবাদ এবং আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান) হতে পারে। এগুলো সাময়িক (স্থানীয় সংবাদ পরিবেশন বা টেলিভিশনের জন্য নির্মিত চলচ্চিত্র হতে পারে), অথবা ঐতিহাসিক (কল্পিত এবং তথ্য ভিত্তিক সিরিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। এগুলো সিচুয়েশন কমেডি (situation comedy) এবং গেম শো’র মতো প্রাথমিকভাবে নির্দেশনামূলক বা শিক্ষামূলক হতে পারে।

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

জনপ্রিয় সঙ্গীত হচ্ছে এক ধরনের সঙ্গীত যার বিশাল আবেদন আছে।[30][31] সঙ্গীত শিল্পের (music industry) মাধ্যমে বিশাল শ্রোতাদের কাছে যা সাধারণভাবে পৌঁছানো হয়ে থাকে। সঙ্গীত বিষয়ে কোন জ্ঞান ছাড়াই এই সঙ্গীত পরিবেশন এবং উপভোগ করা যায়।[30] উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত [32][33] ( art music) এবং ঐতিহ্যবাহী বা “লোক” সঙ্গীতের (traditional or "folk" music) বিপরীতে এর অবস্থান।রেকর্ডিং শিল্পের (recording industry) শুরু থেকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত লিখিত সঙ্গীত ( written music) হিসেবে পরিবেশিত হতো। ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের রূপ যেমন: প্রাথমিক ব্লুজ (blues) সঙ্গীত বা প্রার্থনা সঙ্গীত (hymns) মুখে মুখে, ছোট এবং স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে একজন থেকে আরেকজনের কাছে প্রচারিত হতো।[32]

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

সকল ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলাসহ [34] শারীরিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে বা সুসংঘঠিতভাবে যাতে অংশগ্রহণ করে শারীরিক সক্ষমতা এবং দক্ষতা বজায় রাখা হয় বা উন্নত করা হয় সেইসাথে অংশগ্রহণকারীরা তা উপভোগ করে আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে যা দর্শকদের বিনোদন দেয়।[35]

বাণিজ্যিক ব্র্যান্ডিং[সম্পাদনা]

নির্দিষ্ট কোন পণ্য বা সেবার বদলে একটি বাণিজ্যিক সত্বের বাণিজ্যিক নাম (brand name) অনুশীলন এবং প্রচারকে বাণিজ্যিক পণ্যচিহ্ন (Corporate branding) বলা হয়।[36]

ব্যক্তিগত পণ্যচিহ্ন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত পণ্যচিহ্নের মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রে পেশাগতদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ব্র্যান্ড এবং বিভিন্ন বিষয়কে পদোন্নতি করা, পেশাগত ব্যক্তি, ব্র্যান্ড ও এর দর্শকদের মধ্যে একটি ভাবমূর্তি তৈরি করা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]