অস্কার ওয়াইল্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই নিবন্ধের শিরোনামের সাথে মিল আছে এমন নিবন্ধের জন্য অস্কার (দ্ব্যর্থতা নিরসন) দেখুন।
অস্কার ওয়াইল্ড
১৮৮২সালে তোলা ছবি
১৮৮২সালে তোলা ছবি
জন্মঅস্কার ফিঙ্গাল ও'ফ্ল্যাহারটি উইলস ওয়াইল্ড
(১৮৫৪-১০-১৬)১৬ অক্টোবর ১৮৫৪
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
মৃত্যু৩০ নভেম্বর ১৯০০(1900-11-30) (বয়স ৪৬)
প্যারিস, ফ্রান্স
পেশালেখক, কবি, নাট্যকার
ভাষাইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জর্মন(গ্রীক)
জাতীয়তাআইরিশ
শিক্ষাপোর্তোরা রয়েল স্কুল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সময়কালভিক্টোরিয়ান যুগ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
দাম্পত্যসঙ্গীকন্সটেন্স লয়েড (বি. ১৮৮৪; মৃত ১৮৯৮)
সন্তান
আত্মীয়

স্বাক্ষর

অস্কার ফিঙ্গাল ও'ফ্ল্যাহারটি উইলস ওয়াইল্ড (১৬ অক্টোবর, ১৮৫৪ – ৩০ নভেম্বর, ১৯০০) একজন আইরিশ নাট্যকার, ঔপন্যাসিক এবং কবি। তার জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে[১] তিনি বহু ছোট গল্পও রচনা করেছেন। এছাড়া তিনি ফ্রিম্যাসন্স সোসাইটির সদস্য ছিলেন। ভিক্টোরীয় যুগের লন্ডন শহরে তিনি অন্যতম সফল নাট্যকার হিসেবে পরিচিত হন। তিনি তার চাতুর্যময় নাট্যরচনার মাধ্যমে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তবে এক বিখ্যাত বিচারের রায়ের ফলে তার সাফল্যের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং তাকে বড় মাপের অশ্লীলতা এবং সমকামিতার দায়ে কারাদন্ড দেয়া হয়।[২] তিনি ৪৬ বছর বয়সে প্যারিস শহরে মৃত্যুবরণ করেন।

অস্কার ওয়াইল্ড, ১৮৮১ সালে অজ্ঞাতনামা চিত্রগ্রাহকের তোলা ছবি

তার পিতামাতা ছিলেন ডাবলিনের অ্যাংলো-আইরিশ বুদ্ধিজীবী। ওয়াইল্ড অল্পবয়সেই ফ্রেঞ্চ এবং জার্মান ভাষা দক্ষতার সাথে রপ্ত করেন।

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

অস্কার ওয়াইল্ড জন্মগ্রহণ করেন ডাবলিনে ওয়েস্টলেনের, ২১নং বাড়িটিতে (বর্তমানে এটি ট্রিনিটি কলেজের অস্কার ওয়াইল্ড সংস্কৃতি জাদুঘর)। তিনি তার মা-বাবার ৩ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। তার মা একজন ফরাসি কবি, সাহিত্যানুরাগী ও সমাজকর্মী ছিলেন। তার বাবা একজন সার্জন ও চোখ-কান-নাক-গলা বিষয়ক আধুনিক চিকিৎসার গবেষক ছিলেন। তিনি নিজের টাকায় হাসপাতাল গড়ে গরীব মানুষের চিকিৎসা করাতেন।[৩]১৮৫৫ সালে তাদের পুরো পরিবার মেরিয়াম স্কয়ারের ১ নম্বর বাড়িটিতে স্থানান্তরিত হন। তাদের এই বাড়িটি অনেক বড় ছিল। তাদের এই বাড়িটি সাহিত্য, দর্শন, সংস্কৃতি, ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, চিকিৎসা বিজ্ঞানের চর্চা কেন্দ্র হিসেবে তার মা-বাবা গড়ে তুলেন। এটিতে একটি আলোচনা বা আড্ডা কক্ষ ছিল যেখানে তৎকালীন অনেক গুণিজনরা আসতেন।[৪] অস্কার ওয়াইল্ডের বয়স যখন নয়, তিনি ফরাসি গৃহভৃত্যের কাছে ফরাসি ভাষা ও গৃহশিক্ষিকার নিকট থেকে জর্মন ভাষা শিখে নেন। [৫] পারিবারিক শিক্ষার পর তাকে ‘পোর্টোরা রয়েল স্কুল(Portora Royal School)’ এ ভর্তি করানো হয়।[৬] সেখানে তার বুদ্ধিমত্তা, দ্রুত শিখন পারদর্শিতা ও সৃজনশীলতা দেখে শিক্ষকরা মুগ্ধ হন এবং তাকে তার বন্ধুরা প্রেরণা বা উৎসাহ বলে ডাকতেন।[৭] গ্রীক ও লাতিন অনুবাদের জন্য তিনি ঐ স্কুলে অনেক পুরস্কার পেয়েছিলেন। গ্রীক টেস্টামেন্ট অনুবাদের জন্য তিনি স্কুল কর্তৃক পুরস্কৃত ও ব্যাপক প্রশংসিত হন।[৮] তিনি তার স্কুলে তৎকালীন সময়ে ‘রয়েল স্কলারশীপ’ প্রাপ্ত তিনজনের একজন ছিলেন।[৯] ১২ বছর বয়সে তিনি আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়ে শহরে তার বাবার তৈরী ‘ময়টুরা হাউজ’ এ থাকা শুরু করেন। এখানে তার একমাত্র বোন; তার অনুজ আইসোল ওয়াইল্ড মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মৃতিতে এখানে তিনি তার কবিতা ‘রেকুইস্কেল (Requiscal)’ লিখেন।[১০]

Tread lightly,she is near

Under the snow

Speak gently, she hear

The daisies grow


উচ্চ শিক্ষাকাল[সম্পাদনা]

ট্রিনিটি কলেজ[সম্পাদনা]

১৮৭১ সালে অস্কার ওয়াইল্ড ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। ট্রিনিটি কলেজ তৎকালীন সময়ে ধ্রুপদী কলেজ হিসেবে শীর্ষ গুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে তার প্রফেসর যেমন: রবার্ট টাইরেল, আর্থুর পামার, এডওয়ার্ড ডাওডেন প্রমুখ তাকে গ্রীক ইতিহাস, সাহিত্য, ভাষা নিয়ে পড়তে ও গবেষণায় অনুপ্রেরণা দেন।[১১] এই সময়ে তিনি পুরোদুস্তর সাহিত্য লেখা শুরু করেন এবং পত্র-পত্রিকায়ও লেখা পাঠাতেন।[১২]

কলেজ অফ অক্সফোর্ড[সম্পাদনা]

অক্সফোর্ড কলেজে তিনি ‘মানবিক সাহিত্য’ এ স্নাতকের জন্য ১৮৭৪ থেকে ১৮৭৮ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।[১৩]

আত্মপ্রকাশ[সম্পাদনা]

শিট গান সংকলনের আবরণ, ১৮৮০

ট্রিনিটি কলেজে থাকাকালীন সময়ে অস্কার ওয়াইল্ড সাহিত্য লেখা শুরু করেন। তিনি লেখা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করতেন।‌

স্নাতক শেষ করে তিনি ডাবলিনে ফিরে আসেন।[১৪] সেখানে তার ছোটবেলার প্রণয়ী ফ্লোরেন্সের সাথে দেখা হয় যিনি তার কিছুমাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অস্কার ওয়াইল্ড এজন্য হতাশ হলেও তাকে নিয়ে দুটো মিষ্টি কবিতা ‘Remembering two sweer hours’ এবং ‘The sweetest years of all my youth ’ লিখেছিলেন।[১৫] অক্সফোর্ডেঅধ্যাপক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা’ এ অংশ গ্রহণ করে তিনি ‘ইতিহাসের ভ্রান্তি, মনগড়া লেখা ও সত্য বিকৃতি’( "Historical Criticism among the Ancients") বিষয়ে প্রবন্ধ জমা দিয়ে পুরস্কৃত হন এবং সমগ্র ইউরোপ ব্যাপী প্রশংসিত হন।[১৬][১৭]

তার প্রথম প্রকাশিত বইটি মাত্র ৭৫৯ কপি বিক্রি হয়েছিল।[১৮][১৯]

১৮৮২ সালে তিনি দক্ষিণ আমেরিকা যান ‘The English Renaissance’ বিষয়ে পণ্ডিত সমাজে আলোচনা উপস্থাপনে‌ তাদের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। [২০]

বৈবাহিক জীবন[সম্পাদনা]

১৮৮৪ সালের ২৯ মে অস্কার ওয়াইল্ড কন্সটেন্স লয়েডের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। বিবাহিত হওয়ার পর লন্ডনে চেলসিয়ায় টাইট সড়কের ৩৪নং বাড়িটিতে উঠেন। পরে একই সড়কের ১৬নং বাড়িটিতে উঠেন। এখানে তাদের দুই পুত্র- জ্যেষ্ঠ Holland সাইরিল হল্যান্ড (১৮৮৫) এবং কনিষ্ঠ ভিভিয়ান হল্যান্ড (১৮৮৬) ভূমিষ্ঠ হয়।[২১] অস্কার ওয়াইল্ড বিভিন্ন সময়ে সমকামিতার কারণে নিন্দিত হন এবং এজন্য তিনি কারাবরণও করেন।[২২] তখন স্ত্রীর সাথে একত্রে বসবাস করা দূরুহ হয়ে পড়ে। তাদের দাম্পত্য জীবন অতটা সুখকর না হলেও তার স্ত্রী কখনো তাকে ডিভোর্স দেননি এবং অস্কারো দাম্পত্যজীবন ত্যাগ করেননি।[২৩]

সৃষ্টিকর্ম[সম্পাদনা]

অস্কার ওয়াইল্ড বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ‌ তিনি নাট্যকার, সাহিত্যিক, সমাজ সংস্কারক, সংস্কৃতিইতিহাস গবেষণা, সাংবাদিকতা সহ আরও অনেক পেশাদার কাজ বিভিন্ন সময়ে করেন।

সাংবাদিকতাসম্পাদকীয়[সম্পাদনা]

নিজের সমালোচকদের জবাব দিতে অস্কার ওয়াইল্ড ১৮৮৫ সালে ‘Pall Mall Gazette’ নামের একটি পত্রিকা ও একটি ব্যাঙ্গাত্মক গঠনমূলক লেখা প্রকাশ করেন। যেটি ঐ সংবাদপত্রের একদিনে সর্বোচ্চ বিক্রয়ের হারকে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি করে। তখন থেকে তাদের অনুপ্রেরণায় অস্কার ওয়াইল্ড ঐ পত্রিকা ১৮৮৫-৮৭ পর্যন্ত সময়ে নিয়মিত সাহিত্য, সংস্কৃতি, আলোচনা, ইতিহাস, সমসাময়িক রাজনীতি প্রভৃতি নিয়ে নিয়মিত লেখা পাঠাতেন।[২৪] চার্লস স্টুয়াটকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হলে অস্কার একটি সারমর্ম সমৃদ্ধ ব্যাঙ্গাত্মক গল্প লেখা ‘Daily Chronicle’ পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যম তার পক্ষালম্বন করেন এবং সমগ্র সুশীল সমাজে তিনি আলোচিত হন‌।[২৪] ১৮৮৭ সালে তিনি ‘Lady's World Magazine’ এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। [২৫] তিনি পত্রিকাটির নতুন নামকরণ ‘The women's world’ করেন এবং সেখানে বাস্তব জীবন ও শিখন মূলক প্রবন্ধ, কার্টুন, শিল্প ও সংস্কৃতি, সাহিত্য ও ইতিহাস-বিজ্ঞান, নারী রাজনীতি, রূপচর্চা-সাজসজ্জা-পোশাক, ভ্রমণ, নারী অধিকার, চিকিৎসা, সমকামিতা প্রভৃতি বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতেন।[২৬]

ছোটগল্প[সম্পাদনা]

১৮৮৮ সালে অস্কার ওয়াইল্ড ‘The happy prince and the stories/tales’ নিয়মিত পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। ১৮৮৯ সালে Blackwood Edinburg Magazine এ তার ছোটগল্প সংকলন ‘The portrait of Mr. W.H ’ নিয়মিত লিখা শুরু করেন ।[২৭] ১৮৯১ সালে তিনি তার দু'টো গল্প সমগ্র প্রকাশ করেন। একটি হচ্ছে ‘Lord Arthur's Savile's Crime and other stori es’ এবং তার স্ত্রীকে উৎসর্গ করে ‘A house of Pomegranat es’।[২৮][২৯] তার লেখা উপন্যাস ‘The picture od Dorian Gray’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাসের মধ্যে একটি। [৩০]

উইল্ড, আর্থার কোনান ডয়েল এবং লিপিংকোটের মাসিক ম্যাগাজিনের প্রকাশক, লন্ডনের ল্যাঙ্গহাম হোটেলে ১৮ ই আগস্ট ১৮৮৯ এ রাতের খাবারের স্মৃতি বিজড়িত ফলক ডিলিয়ান গ্রে এর দ্য ফলকটি ওয়াইল্ড থেকে নিয়ে যায়

প্রবন্ধ ও নাটিকা[সম্পাদনা]

সাংবাদিকতায় ক্লান্ত ওয়াইল্ড তার নান্দনিক রুচি চর্চায় প্রবন্ধ বা গদ্য লিখায় মনোনিবেশ করেন‌। সে সময়ের পত্রিকা গুলো তার লিখা প্রকাশ করতে প্রচুর আগ্রহবোধ করতো‌। ১৮৮৯ সালে ইংরেজ মাসিক পত্রিকা The Ninteenth century এ তিনি ‘The Decay of Lying ’ নাটিকা সংকলন প্রকাশ করেন। এসময়ে তিনি ‘Pen, Pencil and Poison’ নামের একটি ব্যক্তির আত্মজীবনীমূলক ব্যাঙ্গাত্মক উপন্যাস লিখেছিলেন যেটি The Fortnight Review পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হতো‌ । [৩১] ওয়াইল্ডের ‘The Portrait of Mr. W.H ’ একটি অনন্য লেখা। এছাড়াও তার ‘The Decay of Lying ; Pen, Pencil and Poison; The critic as artist; The Truth of Mask’ গদ্য গুলোতে প্রেম, ভালবাসা,চরিত্র ও জীবন, মানবিকতা এবং সমাজচিন্তাজ্ঞান এতটাই নিখুঁতভাবে দেখিয়েছেন যে তার সাহিত্য আলাদা ভাবে বা অনন্য হিসেবে ভাবা হয়। [৩২]

উল্লেখযোগ্য কিছু সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

  • Ravenna (১৮৭৮, কবিতা সংকলন)
  • Poems (১৮৮১, কবিতা সংকলন)
  • The Happy prince and others tales (১৮৮৮,গল্প সমগ্র)
  • Lord Arthur Savile's Crime and other stories (১৮৯১, গল্প সংকলন)
  • A house of Pomegranates (১৮৯১, গল্পসংকলন)
  • Intention (১৮৯১, মঞ্চনাটক/নাটিকা ও প্রবন্ধ)
  • The picture of Dorian Gray (১৮৯১, উপন্যাস ও মঞ্চনাটক)
  • Lady widerman's fan (১৮৯২, ধারাবাহিক কৌতুক নাটক)
  • A women No Importance (১৮৯৩,মঞ্চনাটক)
  • The Sphinx (১৮৯৪, কবিতা সংকলন)
  • The Ballad of Reading Gaol (১৮৯৪, কবিতা) প্রভৃতি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Literary Encyclopedia – Oscar Wilde"www.litencyc.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০ 
  2. "Is Oscar Wilde's reputation due for another reassessment?"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১০-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১০ 
  3. Sandulescu, pp. 53.
  4. Sandulescu, C. George, ed. (1994). Rediscovering Oscar Wilde. Gerrards Cross, England: C. Smythe. ISBN 978-0-86140-376-9.
  5. Ellmann, pp. 18.
  6. Ellmann, pp. 20.
  7. Ellmann, pp. 22.
  8. Ellmann, pp. 22-23.
  9. Ellmann, pp. 26.
  10. Poems: Oscar Wilde. (1881) p. 37
  11. Ellmann, pp. 25
  12. Sandulescu, pp. 59.
  13. Toughill, pp. 183-185
  14. Kilfeather, Siobhán (2005). Dublin: A Cultural History. Oxford University Press. p. 101.
  15. a Holland & Hart-Davis, pp. 71
  16. Ellmann, pp. 102
  17. Holland & Hart-Davis, pp. 72-78
  18. Varty, Anne, ed. (2000). Collected Poems of Oscar Wilde. Ware: Wordsworth Poetry Library. p. vi. ISBN 1853264539. Retrieved 23 August 2020
  19. Wilde, Oscar (1997). Murray, Isobel (ed.). Complete Poetry. Oxford World's Classics. Oxford: Oxford University Press. pp. x–xi. ISBN 0192825089. Retrieved 23 August 2020.
  20. Cooper, John. "S.S. Arizona". Oscar Wilde in America. Retrieved 15 October 2017
  21. Wilde, Oscar. An ideal husband. Act III: London: typescript with extensive autograph revisions, 1894. OCLC 270589204.
  22. Foldy, pp. 150. (5 April 2013). The Arrest of Oscar Wilde at the Cadogan Hotel – 6 April 1895. Hartlepool Mail. British Newspaper Archive. Bloomington, Indiana.
  23. Moran, Leslie (2002). The Homosexual(ity) of law. Routledge. p. 47. ISBN 978-1-134-89645-5.
  24. Ellmann, pp. 247-248
  25. Mason, pp. 219.
  26. Ellmann, pp. 276.
  27. Mason, pp. 6.
  28. Mason, pp. 360-362.
  29. Pearson, H. Essays of Oscar Wilde London: Meuthen & Co (1950:x) Catalogue no:5328/
  30. McCrum, Robert (24 March 2014). "The 100 best novels: No 27 – The Picture of Dorian Gray by Oscar Wilde (1891)". The Guardian. Retrieved 11 August 2018.
  31. Mason, pp. 71
  32. Bristow, Joseph (2009). Oscar Wilde and Modern Culture: The Making of a Legend. Athens, OH: Ohio University Press. p. xli. ISBN 978-0-8214-1837-6.

বিস্তারিত পঠন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]