জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Insurgent Masum (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৭:৫৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (→‎অনুষদসমূহ)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
চিত্র:জাককানইবি.gif
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২০০৬
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যঅধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান
শিক্ষার্থী৬০০০+
স্নাতকবিএসসি, বিএসসি ইঞ্জিঃ, বিবিএ, বিএসএস,বিএ, বিএফএ, এলএলবি
স্নাতকোত্তরএমএসসিইঞ্জিঃ, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএসএস, এমএ, এমডিএস, এমএফএ।
৩৩ (এম ফিল, পিএইচডি) (বাংলা, ইংরেজি, সঙ্গীত, চারুকলা, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগে)
অবস্থান
নামা পাড়া বটতলা, ত্রিশাল উপজেলা
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ৫৭ একর
সংক্ষিপ্ত নামJKKNIU
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইটhttp://www.jkkniu.edu.bd/
মানচিত্র

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়ার বটতলায় অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

অবস্থান

এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে, ত্রিশাল উপজেলা সদর হতে ৩ কিলোমিটার দূরে নামাপাড়া বটতলায় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত বটতলা ঘেঁষে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।

নামকরণ

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার স্মরণে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজরিত বটতলাতে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় । কবি নজরুল ছোট বেলায় এই বটগাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাতেন। কবি ত্রিশালের দরিরামপুর হাই স্কুলে পড়াশুনা করতেন । তার স্মৃতির বিজড়িত এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তার নামে করা হয়।

ইতিহাস

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম ১৯৯০-এর দশক থেকে বেসরকারি খাতে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ হামিদা আলী এবং কোষাধ্যক্ষ বদিউজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুই ধরনের সাহায্যদাতা সংগ্রহ করে। এক অর্থদাতা, দুই জমিদাতা। অর্থদাতাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তত্কালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ, বেশকিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং বিদ্যানুরাগী।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্যে একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।[১] তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের ১লা মার্চ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৭ এর ২৫ মার্চ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে বেগম খালেদা জিয়া দুটি অনুষদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং ৩ জুন ২০০৭ এ প্রথম ব্যচের ক্লাস শুরু হয়। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ছিলেন প্রথম উপাচার্য।[২] প্রথম ব্যাচে কলা অনুষদের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, সংগীত বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ১৮৫ জন ছাত্র ভর্তি হয়।[১]

অনুষদসমূহ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪ টি অনুষদের অধীনে মোট ২৩ টি বিভাগ রয়েছে।

অনুষদের নাম বিভাগ সমূহ
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
পরিসংখ্যান বিভাগ
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগ
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
ব্যবস্থাপনা বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অর্থনীতি বিভাগ
লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যা বিভাগ
আইন বিভাগ
ফোকলোর বিভাগ
নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ
পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ
স্থানীয় সরকার এবং নগর উন্নয়ন বিভাগ
সমাজতত্ত্ব বিভাগ
কলা অনুষদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
সঙ্গীত বিভাগ
চারুকলা বিভাগ
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ
দর্শন বিভাগ
আইন অনুষদ আইন ও বিচার বিভাগ

[৩]

বিজ্ঞান ভবন

আবাসিক হল

বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য অগ্নিবীণা হল এবং ছাত্রীদের জন্য দোলনচাঁপা হল। বর্তমানে দশ তালা বিশিষ্ট দুটি হল : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ( ছাত্রদের জন্য ) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ( ছাত্রীদের জন্য ) নির্মাণাধীন রয়েছে।

ক্যাফেটেরিয়া

কলা ভবনের একটু দূরেই চক্রবাক ক্যাফেটেরিয়া অবস্থিত ।

উপাচার্যের তালিকা

কলা ভবন
দোলনচাঁপা হল
নাম দায়িত্ব গ্রহণ দায়িত্ব হস্থান্তর
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান[১] মে-২০০৭ ২১-এপ্রিল-২০০৯
অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২২-এপ্রিল-২০০৯[৪] ১৩আগষ্ট ২০১৩
অধ্যাপক ড. খোন্দকার আশরাফ হোসেন ২২ এপ্রিল ২০১৩ জুন ২০১৩
অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম ১৩ আগষ্ট ২০১৩ ১২ আগস্ট, ২০১৭
অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ১৩ নভেম্বর ২০১৭ [৫]
অগ্নিবীণা হল

সংগঠন

রাজনৈতিক

মিডিয়া সংগঠন

  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব
  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

বিজ্ঞান

  • বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ

সাংস্কৃতিক

  • নাট্যালয়
  • জাককানইবি ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব
  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সোসাইটি
  • স্কিল ডেভলপমেন্ট ক্লাব - জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব
  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি
  • সিনেমেট্স
  • এনইউ পারফরমেন্স ট্রুপ
  • প্রথম আলো - বন্ধুসভা
  • কালের কন্ঠ - শুভসংঘ
  • বারামখানা
  • রংধনু

ভ্রমণ

  • ট্যুরিস্ট ক্লাব জাককানইবি
  • চড়ুইভাতি (ভ্রমনে আনন্দ)

পরিবেশ

  • প্রকৃতি
  • সবুজ ক্যাম্পাস
  • সবুজ পরিবেশ অন্দোলন

শিল্প-সাহিত্য

  • নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ
  • মুক্তদুয়ার
  • শব্দমঙ্গল
  • ওঙ্কার
  • চর্যাচর্চা পাঠচক্র
  • ইংক

তথ্যসূত্র

  1. "Kabi Nazrul University a tribute to the rebel poet"দ্য ডেইলি স্টার। ২৪ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০৩ 
  2. রহমান, শামসুর (২ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতিকথা"আমার দেশ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৮ 
  3. http://jkkniu.edu.bd/attach/Revised%20Admission%20Advertisement%202018-19.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন"bdnews24.com। ২২ এপ্রিল ২০০৯। ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৪ 
  5. "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ"প্রথম আলো। ১৩ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১৩ 

বহিঃসংযোগ