গৌরনদী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′৪০″ উত্তর ৯০°১৩′৫৯″ পূর্ব / ২২.৯৭৭৭৮° উত্তর ৯০.২৩৩০৬° পূর্ব / 22.97778; 90.23306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৪১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

গৌরনদী
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৮′৪০″ উত্তর ৯০°১৩′৫৯″ পূর্ব / ২২.৯৭৭৭৮° উত্তর ৯০.২৩৩০৬° পূর্ব / 22.97778; 90.23306 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাবরিশাল জেলা
আয়তন
 • মোট১৪৭.৮৯ বর্গকিমি (৫৭.১০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৮৮,৫৮৬
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ০৬ ৩২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

গৌরনদী বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান

উত্তরে কালকিনী উপজেলা, পূর্বে বাবুগঞ্জ উপজেলা, মুলাদি উপজেলাকালকিনী উপজেলা, দক্ষিণে উজিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে আগৈলঝারা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

গৌরনদী উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম গৌরনদী থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস

গৌরনদী উপজেলার নামকরণ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন লিখিত ইতিহাস নেই। এক সময় গৌরনদী সদরসহ বৃহত্তর গৌরনদী (আগৈলঝাড়াসহ) এলাকা ছিল নদী দ্বারা বেষ্টিত। গৌরনদীর পূর্বাঞ্চলে রয়েছে আড়িয়াল নদী। আর আড়িঁয়াল খার শাখা নদী হচ্ছে পালরদী নদী। এক সময় পালরদী ছিল স্রোতস্বীনি নদী। গৌরনদীর প্রবীণজন ও ইতিহাসবিদদের সংজ্ঞা মতে, আড়িঁয়াল খাঁ নদীর শাখা নদী পালরদী নদীকে ঘিরেই গৌরনদীর নামকরণ করা হয়। এ নদীর সাথে গৌরনদীর সংযুক্ততা রয়েছে। আড়িঁয়াল খাঁ নদীর শাখা নদী পালরদী নদীর প্রবাহমান পানির রং ছিল গৌড় বর্ণের। সে অনুসারে গৌড়্ওবং নদী যুক্ত হয়ে "গৌরনদী" র নামকরণ করা হয়েছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গৌরনদী উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,৮৮,৫৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯২,২০৯ জন এবং মহিলা ৯৬,৩৭৭ জন। মোট পরিবার ৪১,৫৬১টি।[২]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গৌরনদী উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬০.৯%।[২] এ উপজেলায় ১টি সরকারি কলেজ ও ৭ টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে।[৩]

অর্থনীতি

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৫১.৫৯%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৪%, শিল্প ১.৮২%, ব্যবসা ১৮.৯৩%, পরিবহন ও যোগাযোগ ৪.৪৮%, চাকরি ৯.৭৫%, নির্মাণ ২.৩২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৩.৫০% এবং অন্যান্য ৪.৪৯%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫৯.৮৪%, ভূমিহীন ৪০.১৬%। শহরে ৫৪.৯৫% ও গ্রামে ৭৫.৮৯% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, আলু, পান, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, পাট, সরিষা, কলাই, আমন ধান।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, জাম, তাল, নারিকেল, পেঁপে।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ৩৫, গবাদিপশু ১২, মৎস্য ৩৮, হ্যাচারি ৪।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৮ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৩৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩০০ কিমি; নৌপথ ১৯ নটিক্যাল মাইল।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, দুলকি।

শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, আটাকল, বরফকল, চিড়াকল, স’মিল, ওয়েল্ডিং, বিড়িকারখানা, ব্যাটের কারখানা প্রভৃতি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশের কাজ প্রভৃতি।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৩, মেলা ৮। টরকীর হাট, কসবার গরুর হাট, মাহিলারার হাট এবং কবিরাজ বাড়ির মেলা (চাঁদশি), পৌষ সংক্রান্তির মেলা (বাটাজোর) ও মনসার মেলা (গৈলা) উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পান, কলা, দধি।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে গৌরনদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১০ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫ 
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. "এইচএসসি পরীক্ষায় গৌরনদীতে বেসরকারি কলেজ এগিয়ে"। ১৩ আগস্ট ২০১৪। ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ