রাঙ্গাবালী উপজেলা
রাঙ্গাবালী | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে রাঙ্গাবালী উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২১°৫৩′ উত্তর ৯০°২৭′ পূর্ব / ২১.৮৮৩° উত্তর ৯০.৪৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | পটুয়াখালী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪৩.৬৯ বর্গকিমি (১৩২.৭০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,০৪,১২৮ |
• জনঘনত্ব | ৩০০/বর্গকিমি (৭৮০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৯ % |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ৭৮ ৯৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
রাঙ্গাবালী উপজেলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]রাঙ্গাবালী উপজেলাটি পটুয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে অবস্থিত। উত্তরে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা এবং গলাচিপা উপজেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে গলাচিপা উপজেলা এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা, পশ্চিমে কলাপাড়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
[সম্পাদনা]রাঙ্গাবালী উপজেলায় বর্তমানে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম রাঙ্গাবালী থানার আওতাধীন।
- ১নং রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন
- ২নং বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন
- ৩নং ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন
- ৪নং চরমোন্তাজ ইউনিয়ন
- ৫নং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন
- ৬নং মৌডুবী ইউনিয়ন
এটি ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]রাঙ্গাবালী উপজেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। তবে কথিত আছে যে, সাগর বক্ষে নতুন বালুচর সৃষ্টির ফলে কালের বিবর্তনে এই বালুচরের বালু লাল ছিল। এই ‘লাল’ শব্দটি আঞ্চলিক ভাষায় ‘রাঙ্গা’ নামে পরিচিত। এ থেকে ‘’রাঙ্গাবালী’’ নামের উৎপত্তি। ইতিহাসবেত্তাগন জানান, ১৭৮৪ সালে কতিপয় রাখাইন জনগোষ্ঠী আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। তখন থেকে এ অঞ্চলে জনবসতি শুরু হয়।
৭ জুন ২০১১ তারিখে নিকারের (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) ১০৫তম সভায় রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রশাসনিক অনুমোদন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন ২০১১ তারিখে বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশিত হয়। শুভ উদ্ধোধন হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ খ্রি.
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,০৪,১২৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৫৫,০২৭ জন এবং মহিলা ৪৯,১০১ জন।
শিক্ষার হার
[সম্পাদনা]মোট শিক্ষার হার ৫০%। এর মধ্যে পুরুষ ৪২ % ও মহিলা ৩৬ %।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]রাঙ্গাবালী উপজেলার অর্থনীতি তরমুজ চাষাবাদ ও মৎস সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাঙ্গাবালী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫।