শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর

স্থানাঙ্ক: ২২°৪৬′ উত্তর ৮৮°১৯′ পূর্ব / ২২.৭৬° উত্তর ৮৮.৩১° পূর্ব / 22.76; 88.31
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শেওড়াফুলি
হুগলির আশপাশের অঞ্চল
শেওড়াফুলি রেলস্টেশন
শেওড়াফুলি রেলস্টেশন
শেওড়াফুলি পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
শেওড়াফুলি
শেওড়াফুলি
শেওড়াফুলি ভারত-এ অবস্থিত
শেওড়াফুলি
শেওড়াফুলি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৬′ উত্তর ৮৮°১৯′ পূর্ব / ২২.৭৬° উত্তর ৮৮.৩১° পূর্ব / 22.76; 88.31
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাহুগলি
অঞ্চলবৃহত্তর কলকাতা
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকবৈদ্যবাটি পৌরসভা
উচ্চতা১১ মিটার (৩৬ ফুট)
ভাষা সমূহ
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিন৭১২২২৩
টেলিফোন কোড+৯১ ৩৩
যানবাহন নিবন্ধনডব্লিউবি

শেওড়াফুলি (সেওড়াফুলিও বলা হয়) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর। এটি হুগলি নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। এটি কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)র আওতাধীন এলাকার একটি অংশ।[১][২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

শেওড়াফুলির গড় উচ্চতা হল ৩৯ ফুট (১১ মি)।[৩] শেওড়াফুলির মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য ২১৮.৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৭২.৯০ কিমি পাকা রাস্তা।[৪]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারির নথি অনুসারে শেওড়াফুলির জনসংখ্যা ১,২১,০৮১। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা বাঙালি এবং প্রধান ধর্ম হচ্ছে হিন্দুধর্ম। শেওড়াফুলির সাক্ষরতার হার ৯৮.০৫%, যা জাতীয় গড় ৭৪% (২০১১) এর চেয়ে বেশি।

পরিবহন[সম্পাদনা]

রেলপথ

শেওড়াফুলি অঞ্চলটি রাস্তা এবং রেল দ্বারা সমগ্র দেশের সঙ্গে সংযুক্ত। পূর্ব রেলওয়ে লাইনের যাত্রাপথে শেওড়াফুলি রেলস্টেশন নামে একটি স্টেশন রয়েছে। শেওড়াফুলি হাওড়া থেকে প্রায় ২৩ কিমি উত্তরে অবস্থিত। হাওড়া-বর্ধমান মূল লাইন এবং শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর শাখা লাইন দ্বারা শেওড়াফুলি সংযুক্ত।

সড়কপথ

ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডও শেওড়াফুলির মধ্যে দিয়ে গেছে। রাজ্য মহাসড়ক ২, বিষ্ণুপুরে, শেওড়াফুলিকে জাতীয় সড়ক ৬০এর সাথে সংযুক্ত করেছে। হুগলি নদীতে একটি জল পরিবহন পরিষেবা রয়েছে যা নদীর বিপরীত দিকে ব্যারাকপুরের সাথে শেওড়াফুলিকে সংযুক্ত করেছে। এর নিকটতম বিমানবন্দর হল কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নিকটতম ধাবনপথটি ব্যারাকপুরে (ব্যারাকপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন) রয়েছে। শেওড়াফুলির কাছে হুগলির পরিবহন ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজলভ্য। রেলস্টেশনটি জাতীয় হাইওয়ে ২ (গ্র্যান্ড ট্র্যাঙ্ক রোড) নম্বর বাস স্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই অবস্থিত, যেটি শেওড়াফুলি ফাঁড়ি নামে পরিচিত। ফেরিঘাটটি রেলস্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ২ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত। সকাল ৬ টা থেকে রাত্রি ১০:৩০ টা অবধি ফেরি চলাচল করে।[৫] নিমাই তীর্থ ফেরি পরিষেবা ব্যারাকপুরকে শেওড়াফুলির সাথে সংযুক্ত করে। জমিদার রোড এবং সরকারপাড়া-মল্লিকবাগান-পায়রাপুর রোড গ্র্যান্ড ট্যাঙ্ক রোডকে দিল্লি রোডের সাথে দু'চাকার যানে মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে সংযুক্ত করে। শেওড়াফুলির মধ্যে দিয়ে ৬ নম্বর রাজ্যে সড়ক চলে গিয়েছে।

উপযোগিতা সেবা এবং মাধ্যমসমূহ[সম্পাদনা]

বৈদ্যবাটি পৌরসভা (১৮৬৯ সালে স্থাপিত) হল শেওড়াফুলির নাগরিক প্রশাসনিক সংস্থা। জাতীয় নাগরিক স্বচ্ছতা নীতি অনুসারে এটি ভারতের ৭০তম পরিষ্কার শহরে পরিণত হয়েছে।[৬] পৌরসভা ১২.০৯ কিমি অঞ্চল পরিচালনা করে এবং ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে শহরে পানীয় জল সরবরাহ করে। এখানে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইন আছে, এবং এই অঞ্চলের মোট ৪৫% বাড়ি এই লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত। শহর অঞ্চলে বেসরকারীভাবে পরিচালিত কলকাতা বৈদ্যুতিক সরবরাহ কর্পোরেশন (সিইএসসি) দ্বারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, এবং নিকটবর্তী পঞ্চায়েত অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ড বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিএসএনএল শহরে টেলিফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

শেওড়াফুলি ঐতিহাসিকভাবে এর বাজারের (যা শেওড়াফুলি হাট নামেও পরিচিত) জন্য বিখ্যাত, যা হুগলি জেলার কাঁচা পণ্যের জন্য অন্যতম বৃহত্তম বাজার। নদীর ধারে অবস্থিত বাজারটি, ২৫০ বছরেরও বেশি পুরানো। এখানে খুচরা ব্যবসায়ের জন্য একটি বিভাগও রয়েছে। শেওরাফুলিতে আরও কয়েকটি সুপার মার্কেট রয়েছে, মূলত জি.টি. রোডের দুই ধার জুড়ে সেগুলি বিস্তৃত। কয়েকটি ছোট এবং মাঝারি আকারের কারখানা এখানে আছে। এটিএম এর সুবিধার সাথে কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে শেওড়াফুলি এবং আশেপাশের অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের পরিষেবার জন্য। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক এখানকার ব্যস্ততম ব্যাংক এবং জমিদার রোডে এর একটি শাখা রয়েছে। এর দুটি এটিএম কাউন্টার রয়েছে। এছাড়াও এলাহাবাদ ব্যাংক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসীজ ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক, ব্যাংক অব বরোদা, এইচডিএফসি ব্যাংক এবং দ্য বৈদ্যবাটি - শেওড়াফুলি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মতো অন্যান্য ব্যাংকও এখানে উপস্থিতি রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১]
  2. প্রফুল্ল চক্রবর্তী (২০১২)। "শ্রীরামপুর"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. "Maps, Weather, Videos, and Airports for Seoraphuli, India"। Fallingrain.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৯ 
  4. [২][অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Barrackpore Online"। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  6. "RANK OF CITIES ON SANITATION 2009-2010" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]