হ্যারি এস. ট্রুম্যান
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। (জুলাই ২০১৬) |
হ্যারি এস. ট্রুম্যান | |
|---|---|
Harry S. Truman | |
| ৩৩তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি | |
| কাজের মেয়াদ ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫ – ২০ জানুয়ারী, ১৯৫৩ | |
| উপরাষ্ট্রপতি | না (১৯৪৫–১৯৪৯) আলবেন ডব্লিউ বার্কলে (১৯৪৯–১৯৫৩) |
| পূর্বসূরী | ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট |
| উত্তরসূরী | ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার |
| ৩৪তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট | |
| কাজের মেয়াদ ২০ জানুয়ারী, ১৯৪৫ – ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫ | |
| রাষ্ট্রপতি | ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট |
| পূর্বসূরী | হেনরি এ। ওয়ালেস |
| উত্তরসূরী | আলবেন ডব্লিউ বার্কলে |
| মিসৌরি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট | |
| কাজের মেয়াদ ৩ জানুয়ারী, ১৯৩৫ – ১৭ জানুয়ারী, ১৯৪৫ | |
| পূর্বসূরী | রোসকো সি প্যাটারসন |
| উত্তরসূরী | ফ্র্যাঙ্ক পি। ব্রিগেস |
| জ্যাকসন কাউন্টি, মিজুরির প্রিজাইডিং জজ | |
| কাজের মেয়াদ ১ জানুয়ারী, ১৯২৭ – ১ জানুয়ারী, ১৯৩৫ | |
| পূর্বসূরী | এলিহু ডাব্লিউ হেইস |
| উত্তরসূরী | ইউজিন আই। পুরসেল |
| মিসৌরির পূর্ব জেলা জ্যাকসন কাউন্টির বিচারক | |
| কাজের মেয়াদ ১ জানুয়ারী, ১৯২৩ – ১ জানুয়ারী, ১৯২৫ | |
| পূর্বসূরী | জেমস ই গিল্ডে |
| উত্তরসূরী | হেনরি রুম্মেল |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ৮ মে ১৮৮৪ লামার, মিসৌরি, ও.স. |
| মৃত্যু | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বয়স ৮৮) কানসাস সিটি, মিসৌরি, ও.স. |
| সমাধিস্থল | হ্যারি এস. ট্রুম্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি এবং জাদুঘর, স্বাধীনতা, মিসৌরি, ও.স. |
| রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক |
| দাম্পত্য সঙ্গী | বেস ওয়ালেস (বি. ১৯১৯) |
| সন্তান | মার্গারেট |
| পিতামাতা |
|
| শিক্ষা | স্পাল্ডিংয়ের বাণিজ্যিক কলেজ ইউএমকেসি স্কুল অফ ল (প্রত্যাহার) |
| স্বাক্ষর | |
| সামরিক পরিষেবা | |
| আনুগত্য | |
| শাখা | |
| কাজের মেয়াদ |
|
| পদ | |
| কমান্ড |
|
| যুদ্ধ | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ |
| পুরস্কার | |
হ্যারি এস. ট্রুম্যান (৮ মে, ১৮৮৪ – ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২) ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি; তিনি ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ৩৪তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং সেই বছরে ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতির পদে বসেন। পরবর্তীতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে পশ্চিম ইউরোপের অর্থনীতি পুনর্গঠনে ট্রুম্যান মার্শাল প্ল্যান বাস্তবায়ন করেন। এছাড়াও সোভিয়েত সাম্যবাদের বিস্তার ঠেকাতে তিনি ট্রুম্যান ডকট্রিন প্রণয়ন করেন এবং ন্যাটো (NATO) গঠনে ভূমিকা রাখেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ট্রুম্যান নিউ ডিল কোয়ালিশনের আদলে বহু উদারপন্থী দেশীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিলেও, কংগ্রেসে আধিপত্য বিস্তারকারী রক্ষণশীল জোটের কারণে সেগুলোর খুব কমই আইনে পরিণত হয়।
ট্রুম্যান মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিপেন্ডেন্স শহরে বেড়ে ওঠেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ফ্রান্সে ফিল্ড আর্টিলারির ক্যাপ্টেন হিসেবে যুদ্ধ করেন। দেশে ফিরে তিনি মিসৌরির কানসাস সিটিতে একটি পুরুষদের পোশাকের দোকান (হ্যাবারড্যাশারি) খোলেন এবং ১৯২২ সালে জ্যাকসন কাউন্টির জজ নির্বাচিত হন। ১৯৩৪ সালে তিনি মিসৌরির প্রতিনিধি হিসেবে মার্কিন সিনেটে নির্বাচিত হন। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যে, "ট্রুম্যান কমিটি"-র চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেন; এই কমিটির উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধকালীন চুক্তিতে অপচয় ও অদক্ষতা কমানো।
১৯৪৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রুম্যান ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে রুজভেল্টের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি হন। তখনই প্রথম তাকে চলমান ম্যানহাটন প্রকল্প এবং পারমাণবিক বোমার কথা জানানো হয়। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ও একমাত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেন ট্রুম্যান। ব্রিটেনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে ট্রুম্যান প্রশাসন একটি আন্তর্জাতিকতাবাদী বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করে। তিনি একেশ্বরবাদ (আইসোলেশনিজম)-এর কঠোর বিরোধিতা করেন। ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ভাগ হলেও, তিনি নিউ ডিল কোয়ালিশনকে নতুন করে সংগঠিত করেন এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী টমাস ই. ডিউয়ের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত জয়লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনাকালে ট্রুম্যান রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে বার্লিন এয়ারলিফট এবং মার্শাল প্ল্যান তত্ত্বাবধান করেন। কোরীয় যুদ্ধে (১৯৫০-১৯৫৩) আমেরিকার সম্পৃক্ততার সময় দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে। দেশের ভেতরে, ধর্মঘট ও মুদ্রাস্ফীতির মতো যুদ্ধোত্তর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো তার প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ১৯৪৮ সালে, তিনি কংগ্রেসের কাছে ব্যাপক নাগরিক অধিকার আইন পাস করার প্রস্তাব দেন। কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করলে, ট্রুম্যান নির্বাহী আদেশ ৯৯৮০ এবং ৯৯৮১ জারি করেন, যা ফেডারেল সরকারের সংস্থাগুলোতে বৈষম্য নিষিদ্ধ করে এবং মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে বর্ণবৈষম্য দূর করে।
তদন্তে ট্রুম্যান প্রশাসনের কিছু অংশে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, এবং ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এটি একটি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়, যদিও ট্রুম্যান নিজেকে সরাসরি জড়িত করা যায়নি। তিনি ১৯৫২ সালে পুনঃনির্বাচনের যোগ্য ছিলেন, কিন্তু জনমত জরিপে দুর্বল অবস্থানের কারণে তিনি প্রার্থী না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ট্রুম্যান অবসর গ্রহণ করেন; এই সময়ে তিনি তার রাষ্ট্রপতি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা এবং স্মৃতিচারণমূলক বই প্রকাশে ব্যস্ত ছিলেন। দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বাস করা হত যে ট্রুম্যানের অবসরজীবন আর্থিক সংকটে কাটে, যার ফলে কংগ্রেস সাবেক রাষ্ট্রপতিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করে। তবে, পরবর্তীতে প্রমাণ উঠে আসে যে তিনি উল্লেখযোগ্য সম্পদ অর্জন করেছিলেন, যার কিছু অংশ তার রাষ্ট্রপতিত্বকালেই। ট্রুম্যান যখন দপ্তর ছাড়েন, তার প্রশাসন ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এই বিতর্ক সত্ত্বেও, গবেষকরা তাকে মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে প্রথম কোয়ার্টাইলে (সেরা ২৫%) স্থান দেন। তাছাড়া, তার রাষ্ট্রপতিত্বের সমালোচনামূলক পুনর্মূল্যায়নের ফলে ইতিহাসবিদ এবং সাধারণ মানুষের কাছে তার সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ১৮৮৪-এ জন্ম
- ১৯৭২-এ মৃত্যু
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি
- স্নায়ুযুদ্ধের ব্যক্তি
- মিসৌরিতে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন ব্যবসায়ী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন স্মৃতিকথাকার
- কংগ্রেশনাল স্বর্ণ পদক প্রাপক
- একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতায় মৃত্যু
- টাইম সাময়িকীর বর্ষসেরা ব্যক্তি
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতা
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০শ শতাব্দীর রাষ্ট্রপতি