ইয়াসির আরাফাত
ইয়াসির আরাফাত | |
---|---|
ياسر عرفات | |
![]() ১৯৯৬ সালে আরাফাত | |
১ম ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট | |
কাজের মেয়াদ ৫ জুলাই ১৯৯৪ – ১১ নভেম্বর ২০০৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | |
উত্তরসূরী | রুহি ফাত্তুহ (অস্থায়ী) মাহমুদ আব্বাস |
১ম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট | |
কাজের মেয়াদ ২ এপ্রিল ১৯৮৯ – ১১ নভেম্বর ২০০৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | মাহমুদ আব্বাস আহমেদ কুরেই |
উত্তরসূরী | রুহি ফাত্তুহ (অস্থায়ী) মাহমুদ আব্বাস |
৩য় ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ – ২৯ অক্টোবর ২০০৪ | |
পূর্বসূরী | ইয়াহিয়া হামুদা |
উত্তরসূরী | মাহমুদ আব্বাস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মোহাম্মদ আবদেল রহমান আবদেল রউফ আরাফাত আল-কুদওয়া আল-হুসেইনি ৪ অথবা ২৪ আগস্ট ১৯২৯ কায়রো, মিশর |
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর ২০০৪ ক্লামার, ও-দো-সেন, ফ্রান্স | (বয়স ৭৫)
সমাধিস্থল | আরাফাতের কম্পাউন্ড |
রাজনৈতিক দল | ফাতাহ |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুহা আরাফাত (বি. ১৯৯০) |
সন্তান | ১ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কিং ফুয়াদ I বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | সিভিল ইঞ্জিনিয়ার |
পুরস্কার | ![]() |
স্বাক্ষর | ![]() |
ডাকনাম | আবু আম্মার[১] |
মুহাম্মদ আবদেল রহমান আব্দেল রউফ আরাফাত আল-কুদওয়া আল-হুসেইনী (/ˈærəfæt/ ARR-ə-fat, /əlsoʊsˈɑːrəfɑːt/ AR-ə-FAHT;[২] আরবি: محمد ياسر عبد الرحمن عبد الرؤوف عرفات القدوة الحسيني; জন্ম: আগস্ট ২৪, ১৯২৯ – মৃত্যু: নভেম্বর ১১, ২০০৪), প্রচলিত নাম ইয়াসির আরাফাত, ছিলেন একজন ফিলিস্তিনী নেতা।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]আরাফাত মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর চেয়ারম্যান হিসাবে আরাফাত ইসরায়েলী দখলদারির বিরুদ্ধে সারাজীবন সংগ্রাম করেন। তিনি প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় আরাফাত ধর্মনিরপেক্ষ ফাতাহ দলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৮-১৯৬০ সালের মধ্যে তিনি এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের সম্পূর্ণ বিরোধী থাকলেও পরে আরাফাত ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত ২৪২ মেনে নিয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে আরাফাতের ফাতাহ দল জর্ডানের সাথে মতপার্থক্যজনিত কারণে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে আরাফাত বিতর্কিত হয়ে পড়েন। জর্ডান থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি লেবাননে অবস্থান নেন, যেখানে তিনি ও তার ফাতাহ দল ইসরাইলের ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের আগ্রাসন ও আক্রমণের শিকার হন। দল-মত-নির্বিশেষে ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ আরাফাতকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে সম্মান করে থাকে। তবে অনেক ইসরাইলী তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে অভিহিত করে থাকে।[৩]
জীবনের শেষভাগে আরাফাত ইসরাইলী সরকারের সাথে কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা শুরু করেন। ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলন, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি এবং ২০০০ সালের ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলন এর মাধ্যমে আরাফাত ইসরাইলীদের সাথে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রয়াস নেন। ইসরাইলীদের সাথে এই সমঝোতা স্থাপনের জন্য আরাফাতের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার নতজানু নীতির তীব্র নিন্দা করে। ১৯৯৪ সালে আরাফাত অসলো শান্তি চুক্তির জন্য আইজাক রবিন ও শিমন পেরেজ এর সাথে একত্রে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু একই সময়ে হামাস ও অন্যান্য সংগঠনের উত্থান ঘটে, যারা ফাতাহ ও আরাফাতের ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল করে দিয়ে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে নেয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]
১৯৯৪ সালে ঐতিহাসিক অসলো চুক্তি স্বাক্ষরের পর আইজাক রবিন, শিমন পেরেজ ও ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[৪][৫]
অসুস্থতা ও মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০০২ হতে ২০০৪ সালের শেষভাগ পর্যন্ত আরাফাত ইসরাইলী সেনাবাহিনীর হাতে তার রামাল্লার দপ্তরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকেন। ২০০৪ এর শেষদিকে আরাফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং কোমায় চলে যান। আরাফাতের অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি; কিন্তু চিকিৎসকদের মতে ,তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা এবং সিরোসিসে ভুগছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের নভেম্বর ১১ তারিখে প্যারিসে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগে ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু হতে পারে, বলছে সুইস গবেষকরা। সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা বলছেন তারা ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ-এর গবেষণার পর তার হাড়ে বিষাক্ত পোলোনিয়ামের সন্ধান পেয়েছেন।প্যারিসের একটি হাসপাতালে ২০০৪ সালের ১১ই নভেম্বর মারা যান ইয়াসির আরাফাত। তখন মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন বিতর্ক বেশ কিছুদিন যাবত চলে আসছিল। বিষপ্রয়োগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে এমন সন্দেহ ওঠায় মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ কবর থেকে গত বছর (২০১২) তোলা হয়েছে। এক বছর তাতে গবেষণার পর সুইস বিজ্ঞানী বলছেন তার হাড়ে যে পরিমাণ পোলিনিয়াম নামে একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া গেছে তা মানবদেহের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ১৮ গুন বেশি। এখন নতুন করে তাই আবার বিতর্কের সূত্রপাত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]
- ↑ হেলেনা কোবান (ইয়াসির আরাফাতের বিয়ের আগে): "ইয়াসির আরাফাত বিবাহিত নন, তবে তাকে 'আবু আম্মার' বলা হয়। এটি আম্মার ইবনে ইয়াসির নামে এক বীর মুসলিম যোদ্ধার নামের বিপরীত বিন্যাস। ধারণা করা হয়, যদি ইয়াসির আরাফাতের কোনো পুত্র থাকতো, তবে সে পূর্ববর্তী আম্মারের মতো বীরত্বপূর্ণ হতো", Cobban 1984, পৃ. 272
- ↑ "Definition of Arafat"। www.dictionary.com। ১১ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২১।
- ↑ Hockstader, Lee (2004-11-11)। "A Dreamer Who Forced His Cause Onto World Stage"। Washington Post Foreign Service। The Washington Post Company। সংগ্রহের তারিখ 2007-10-31। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Yitzhak Rabin - Biographical"। Nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১১।
- ↑ Nobel Prize.org 1994 Nobel Prize Laureates
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- আরব জাতীয়তাবাদী
- কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ
- ১৯২৯-এ জন্ম
- ২০০৪-এ মৃত্যু
- নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরুষ
- স্নায়ুযুদ্ধের নেতা
- ফাতাহ সদস্য
- ফিলিস্তিনি মুসলিম
- কায়রোর ব্যক্তি
- ফাতাহর সামরিক কমান্ডার
- নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী
- ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা
- ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার সদস্য
- ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী
- ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের ব্যক্তি
- ফিলিস্তিনি শতকোটিপতি
- ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি