ন্যাটো
Organisation du traité de l'Atlantique nord | |
![]() লোগো | |
![]() | |
![]() ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র | |
সংক্ষেপে | NATO, OTAN |
---|---|
নীতিবাক্য | Animus in consulendo liber |
গঠিত | ৪ এপ্রিল ১৯৪৯ |
ধরন | সামরিক জোট |
সদরদপ্তর | ব্রাসেল্স, বেলজিয়াম |
সদস্যপদ |
|
দাপ্তরিক ভাষা | |
জেনস স্টলটেনবার্গ | |
এয়ার চীফ মার্শাল স্টুয়ার্ট পিচ, রয়্যাল এয়ার ফোর্স | |
জেনারেল টড ডি. ওলটার্স, ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স | |
Général André Lanata, French Air Force | |
ব্যয় (২০১৮) | US$১.০ trillion[২] |
ওয়েবসাইট | www |
"Hymne de l'OTAN " |
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো (ইংরেজি: North Atlantic Treaty Organisation বা NATO; ফরাসি: Organisation du traité de l'Atlantique Nord বা OTAN) ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। [৩][৪] ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। এছাড়া তুরস্কও এই জোটের সদস্য। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ১২টি। ন্যাটোর বর্তমান সদর দপ্তর যদিও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, পূর্বে এর সদর দপ্তর ছিলো ফ্রান্সের প্যারিসে। এই সামরিক জোটের এস্যোসিয়েট সদস্য দেশ রাশিয়া সদস্য নয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও আলবেনিয়াই কেবল মুসলিম দেশ। জেসন স্টলবারবার্গ বর্তমানে ন্যাটো মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। [৫]
ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত। ন্যাটোর বর্তমান সদস্য-দেশের সংখ্যা ৩০। সর্বশেষ যোগ দেয় উত্তর মেসিডোনিয়া ২৭/০৩/২০২০ তারিখে। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আলবেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া ন্যাটোতে যোগ দেয়। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ।[৬]
উদ্দেশ্য সমূহ[সম্পাদনা]
প্রতিষ্ঠার প্রথম দুই বছর ন্যাটো একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছিল, কিন্ত কোরিয় যুদ্ধের পর ন্যাটো সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই জন সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডারের অধীনে একটি সমন্বিত সামরিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। ন্যাটোর প্রথম মহাসচিব ছিলেন লর্ড ইসমে। তিনি ১৯৪৯ সালে বলেন যে, "এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হল রাশিয়ানদের দূরে রাখা, আমেরিকানদের কাছে আনা এবং জার্মানদের দাবিয়ে রাখা"।
১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা হলে ন্যাটো যুগোস্লাভিয়ার দিকে মনোনিবেশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বসনিয়ায় ন্যাটো মধ্যস্ততামূলক সামরিক অভিযান চালায় এবং পরে ১৯৯৯ সালে যুগোস্লাভিয়ায় অভিযান চালায়।
সদস্য দেশসমূহ[সম্পাদনা]
প্রতিষ্ঠাতা দেশ (১২টি দেশ)
বেলজিয়াম
কানাডা
ডেনমার্ক
ফ্রান্স
আইসল্যান্ড
ইটালি
লুক্সেমবার্গ
নেদারল্যান্ড
নরওয়ে
পর্তুগাল
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্র
সদস্য দেশ
গ্রীস
তুরস্ক
জার্মানী
স্পেন
চেক রিপাবলিক
হাঙ্গেরী
পোল্যান্ড
বুলগেরিয়া
এস্তোনিয়া
লাটভিয়া
লিথুয়ানিয়া
রোমানিয়া
স্লোভাকিয়া
স্লোভেনিয়া
আলবেনিয়া
ক্রোয়েশিয়া
মন্টিনিগ্রো
উত্তর মেসোডেনিয়া
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "English and French shall be the official languages for the entire North Atlantic Treaty Organization." Final Communiqué following the meeting of the North Atlantic Council on 17 September 1949 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে. "... the English and French texts [of the Treaty] are equally authentic ..." The North Atlantic Treaty, Article 14 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে
- ↑ "Defence Expenditure of NATO Countries (2010–2018)" (PDF)। Nato.int। ৩০ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "What is NATO?"। NATO Headquarters, Brussels, Belgium। ২৬ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৭।
- ↑ Cook, Lorne (২৫ মে ২০১৭)। "NATO: The World's Largest Military Alliance Explained"। MilitaryTimes.com। The Associated Press, US। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৭।
- ↑ Fogh bliver ny Nato-chef (Danish ভাষায়). প্রকাশক: Politiken. 4 April 2009. Archived from the original on 5 April 2009। সংগৃহীত হয়েছে: 4 April 2009.
- ↑ "The SIPRI Military Expenditure Database"। Milexdata.sipri.org। ২৮ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১০।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/NATO
সর্বশেষ সম্মেলন:বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে, ১২-০৭-২০১৮।