আখেরী চাহার শোম্বা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎মূল ঘটনা: বানান সংশোধন, মিসিং ওয়ার্ড
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎তথ্যসূত্র: ফারসী-বাংলা-ইংরেজি অভিধনি
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{মুহাম্মদ}}
{{মুহাম্মদ}}


'''আখেরী চাহার শোম্বা''' হলো [[ইসলাম]] ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস।<ref name="প্রআ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |তারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৪ |শিরোনাম=আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা |ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/112876/আজ-পবিত্র-আখেরি-চাহার-শোম্বা |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথমআলো |সংগ্রহের-তারিখ= ১০ ডিসেম্বর ২০১৫}}</ref> ''আখেরী চাহার শোম্বা'' একটি [[আরবী ভাষা|আরবী]] ও [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ ''আখেরী'', যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ ''চাহার শোম্বা'', যার অর্থ “চতুর্থ বুধবার”।<ref name="প্রআ"/><ref name="সিডা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |তারিখ=১০ ডিসেম্বর ২০১৫ |শিরোনাম=আখেরী চাহার সোম্বা পালিত |সংবাদপত্র=দৈনিক সিলেটের ডাক}}</ref>
'''আখেরী চাহার শোম্বা''' হলো [[ইসলাম]] ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস।<ref name="প্রআ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |তারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৪ |শিরোনাম=আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা |ইউআরএল=http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/112876/আজ-পবিত্র-আখেরি-চাহার-শোম্বা |সংবাদপত্র=দৈনিক প্রথমআলো |সংগ্রহের-তারিখ= ১০ ডিসেম্বর ২০১৫}}</ref> ''আখেরী চাহার শোম্বা'' একটি [[আরবী ভাষা|আরবী]] ও [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ ''আখেরী'', যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ ''চাহার শোম্বা'', যার অর্থ “বুধবার”।<ref name="প্রআ"/><ref name="সিডা">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |তারিখ=১০ ডিসেম্বর ২০১৫ |শিরোনাম=আখেরী চাহার সোম্বা পালিত |সংবাদপত্র=দৈনিক সিলেটের ডাক}}</ref>


== মূল ঘটনা ==
== মূল ঘটনা ==

১৫:৫০, ৩০ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ


আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস।[১] আখেরী চাহার শোম্বা একটি আরবীফার্সি শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরী, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “বুধবার”।[১][২]

মূল ঘটনা

২৩ হিজরির শুরুতে রসূলুল্লাহ (স) গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (স) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।

এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় রসূলুল্লাহ (স) গোসল করেন এবং শেষবারের মত নামাজে ইমামতি করেন। মদীনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন[৩] এবং দলে দলে এসে নবী (স) কে একনজর দেখে গেলেন।[৪] সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।[৩] নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন;[৩] যেমনঃ আবু বকর সিদ্দিক (রা) ৫ হাজার দিরহাম, উমর (রা)৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী (রা) ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা) ১০০ উট দান করেন।[৪]

উল্লেখ্য যে, ২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হযরত মোহাম্মদ (স) ।

পালন বিধি

কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধানের আলোকে 'আখেরি চাহার শোম্বা' পালন করা হয়; যদিও ধর্ম-তত্ত্ববিদগণের মধ্যে এই দিবসটি পালন করা নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে।[৪] দিবসটি মূলতঃ ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসাবে পালিত হয়; যাতে সাধারণতঃ গোসল করে দু’রাকাত শোকরানা-নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত করা হয়।[১] বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, দরবার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এই দিনটি পালন উপলক্ষে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ রাখার পাশাপাশি অফিস-আদালতে ঐচ্ছিকভাবে ছুটির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. "আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা"দৈনিক প্রথমআলো। ১ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  2. "আখেরী চাহার সোম্বা পালিত"। দৈনিক সিলেটের ডাক। ১০ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  3. "অবিস্মরণীয় আখেরী চাহার সোম্বা"দৈনিক ইত্তেফাক। ৪ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  4. "আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা"দৈনিক ইসকিলাব। ৯ ডিসেম্বর ২০১৫। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১৫