বারোমাস্যা, পুরুলিয়া
বারোমাস্যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুরুলিয়া জেলার পুঞ্চা থানার অন্তর্গত মানবাজার ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি প্রত্নস্থল। এই স্থানতি পুরুলিয়া শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকবিড়রা প্রত্নস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বারোমাস্যা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে কয়েকটি পাথরের দেউলের ধ্বংসস্তূপ বর্তমান।[১]:১৮৩ বারোমাস্যার পুরাক্ষেত্রের প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্তে এখনো উপনীত হওয়া না গেলেও অনুমান করা হয় এই অঞ্চলের ভাস্কর্য ও স্থাপত্য আনুমানিক দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর।[১]:১৮৫
মূর্তি[সম্পাদনা]
বারোমাস্যা অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত জৈন সম্প্রদায়ের মূর্তিগুলিকে একটি আধুনিক জৈন মন্দিরে স্থান দেওয়া হয়েছে। নিম্নে তাদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল[১]:১৮৩, ১৮৪ -
মূর্তি | বৈশিষ্ট্য |
---|---|
মহাবীর | পদ্মাসনে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় উপবিষ্ট। লাঞ্ছনচিহ্ন সিংহ। |
মহাবীর | আড়াই ফুট উচ্চতার কায়োৎসর্গ মুদ্রায় দন্ডায়মান মূর্তি। মূর্তির দুপাশে চামরধারীর দুইটি নারীমূর্তি। |
শীতলনাথ | ভগ্নমূর্তি। কায়োৎসর্গ মুদ্রায় পদ্মের ওপর দন্ডায়মান ছিল। মূর্তির মস্তক ও হাত দুটি ভগ্ন। ভগ্ন অংশের উচ্চতা চার ফুট। মূর্তির দুপাশে চামরধারীর দুইটি মূর্তি। |
শান্তিনাথ | এক ফুট উচ্চতার মূর্তি। লাঞ্ছনচিহ্ন হরিণের মূর্তি বর্তমান। |
দেবীমূর্তি | দেড় ফুট উচ্চতার হস্তীপৃষ্ঠে উপবিষ্টা মূর্তি। |
চৈত্য[সম্পাদনা]
এই অঞ্চল থেকে দুইটি চৈত্য পাওয়া গেছে - একটির উচ্চতা দুই ফুট, অপরটির উচ্চতা এক ফুট। চৈত্যের চারপাশে চারজন করে তীর্থঙ্করের মূর্তি বর্তমান। নিচের লাঞ্ছনচিহ্নগুলি অস্পষ্ট হওয়ায় মূর্তিগুলিকে শনাক্ত করা যায় না।[১]:১৮৪