চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সি.এন.আর. রাও

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অধ্যাপক রাও
জন্ম
চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও

(1934-06-30) ৩০ জুন ১৯৩৪ (বয়স ৮৯)
মাতৃশিক্ষায়তনমহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় (বিএস)
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (এমএস)
পারডু বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি)
পরিচিতির কারণসলিড স্টেট কেমিস্ট্রি
মেটেরিয়াল সায়েন্স
পুরস্কারমার্লো পদক (১৯৬৭)
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার (১৯৬৯)
হিউজ মেডেল (২০০০)
ভারত বিজ্ঞান পুরস্কার (২০০৪)
ড্যান ডেভিড পুরস্কার (২০০৫)
লেজিওঁ দনর (২০০৫)
আবদুস সালাম পদক (২০০৮)
রয়্যাল মেডেল (২০০৯)
পদ্মশ্রী (১৯৭৪)
পদ্মবিভূষণ (১৯৮৫)
কর্ণাটক রত্ন (২০০১)
ভারতরত্ন (২০১৪)
অর্ডার অফ ফ্রেণ্ডশিপ (২০০৯)
ন্যাশনাল অর্ডার অফ সায়েন্টিফিক মেরিট (২০১২)
অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান (২০১৫)
ভন হিপ্পেল পুরস্কার (২০১৭)
ইএনআই পুরস্কার (২০২০)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্ররসায়ন
প্রতিষ্ঠানসমূহইসরো
আইআইটি কানপুর
ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্তা বারবারা
জওহরলাল নেহরু উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র
ওয়েবসাইটwww.jncasr.ac.in/cnrrao/index.html

চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও, এফএনএ, এফএএসসি, এফআরএস, এফটিডব্লিউএএস, সাম্মানিক এফআরএসসি, এমএই, সাম্মানিক ফেলো[১][২][৩][৪][৫] (জন্ম ৩০শে জুন ১৯৩৪) হলেন একজন ভারতীয় রসায়নবিদ যিনি মূলত কঠিন-অবস্থা রসায়ন এবং কাঠামোগত রসায়নে কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বের ৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন এবং প্রায় ১,৭৭৪টি গবেষণা পত্র ও ৫৬টি বই লিখেছেন।[৬] তাঁকে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বর্ণনা করা হয় যিনি নিজের ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার ছাড়া সম্ভাব্য সমস্ত পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৭][৮]

রাও সতেরো বছর বয়সে মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং উনিশ বছর বয়সে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি ২৪ বছর বয়সে পারডু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৯ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (আইআইএসসি) যোগদানের সময় তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষক।[৯] কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে স্থানান্তরিত হবার পর, তিনি আইআইএসসি-তে ফিরে আসেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত তিনি এর পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এবং তারপর ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস সায়েন্সে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সেখানে কাজ করেছিলেন।

রাও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পুরস্কার এবং সম্মানগুলি পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে মার্লো মেডেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য শান্তি স্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার, হিউজেস মেডেল, ইন্ডিয়া সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড, ড্যান ডেভিড প্রাইজ, রয়্যাল মেডেল, ভন হিপেল পুরস্কার এবং ইএনআই অ্যাওয়ার্ড । তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মশ্রী এবং পদ্মবিভূষণ সম্মানও পেয়েছেন। ২০১৩ সালের ১৬ই নভেম্বর, ভারত সরকার তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন সম্মানের জন্য নির্বাচিত করে। সিভি রমন এবং এপিজে আব্দুল কালাম[১০] এর পরে তৃতীয় বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি এই সম্মানের অধিকারী হয়েছিলেন।[১১][১২][১৩] তিনি ২০১৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তারিখে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।[১৪][১৫]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

সিএনআর রাও বেঙ্গালুরুতে (তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর) কন্নড় দেশস্থ মাধব ব্রাহ্মণ[১৬] পরিবারে[১৭][১৮] হনুমন্ত নাগেশ রাও এবং নাগাম্মা নাগেশ রাওয়ের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[১৯][২০] তাঁর বাবা ছিলেন স্কুল পরিদর্শক।[৯] তিনি ছিলেন একমাত্র সন্তান এবং তাঁর শিক্ষিত বাবা-মা শিক্ষার একটি পরিবেশ তাঁকে দিয়েছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে হিন্দু সাহিত্যে এবং তাঁর বাবার কাছ থেকে ইংরেজিতে শিক্ষালাভ করেছিলেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান না করে তাঁর মায়ের কাছে শিক্ষিত হয়েছিলেন, তাঁর মা বিশেষভাবে পাটিগণিত এবং হিন্দু সাহিত্যে দক্ষ ছিলেন। তিনি ১৯৪০ সালে ছয় বছর বয়সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন।[২১] তিনি নিজের ক্লাসে সর্বকনিষ্ঠ হলেও, সহপাঠীদের গণিত এবং ইংরেজি পড়াতেন। তিনি ১৯৪৪ সালে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় (সপ্তম শ্রেণী) প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তাঁর বয়স তখন দশ বছর ছিল, তাঁর বাবা তাঁকে চার আনা (পঁচিশ পয়সা) দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। তিনি বাসবানাগুড়ির আচার্য পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, এখানেই রসায়নের প্রতি তাঁর আগ্রহের উপর স্থায়ী প্রভাব পড়েছিল। তাঁর বাবা তাঁর মাতৃভাষা শিক্ষার জন্য তাঁকে একটি কন্নড় -মাধ্যমিক কোর্সে নথিভুক্ত করেছিলেন, কিন্তু বাড়িতে তাঁর সঙ্গে সমস্ত কথোপকথনের জন্য ইংরেজি ব্যবহার করতেন। তিনি ১৯৪৭সালে মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তিনি সেন্ট্রাল কলেজ, ব্যাঙ্গালোরে বিএসসি অধ্যয়ন করেন। এখানে তিনি ইংরেজিতে যোগাযোগের দক্ষতা গড়ে তোলেন এবং সংস্কৃতও শিখেছিলেন।[২১]

তিনি ১৯৫১ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে, মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রথমে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (আইআইএসসি) যোগদানের কথা ভেবেছিলেন, রাসায়নিক প্রকৌশলে ডিপ্লোমা বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য। কিন্তু একজন শিক্ষক তাঁকে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে রাজি করান।[২১] তিনি দুই বছর পর সেখান থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[৯] ১৯৫৩ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি খড়গপুরে পিএইচডি করার জন্য বৃত্তি পান। তবে চারটি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইটি, পেন স্টেট, কলম্বিয়া এবং পারডিউ তাঁকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেয়। তিনি পারডুকে বেছে নেন। তাঁর প্রথম গবেষণাপত্রটি ১৯৫৪ সালে আগ্রা ইউনিভার্সিটি জার্নাল অফ রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। মাত্র দুই বছর ন' মাস পর ১৯৫৮ সালে, চব্বিশ বছর বয়সে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[২১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

স্নাতক অধ্যয়ন শেষ করার পর, রাও ১৯৫৯ সালে ব্যাঙ্গালোরে ফিরে আসেন প্রভাষক পদে যোগ দেওয়ার জন্য। তিনি আইআইএসসি-তে যোগদান করেন এবং একটি স্বাধীন গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন। সেই সময়ে গবেষণার সুবিধা এতটাই নগণ্য ছিল যে তিনি এটি বর্ণনা করে বলেছিলেন, "আপনি কিছু সুতো এবং সীল করার জন্য মোম পাবেন, আর কিছুই নেই।"[৯] ১৯৬৩ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কানপুরের রসায়ন বিভাগে স্থায়ী পদ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সের ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি "কঠিন অবস্থা ও কাঠামোগত রসায়ন" ইউনিট প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭৬ সালে আইআইএসসি-তে ফিরে আসেন।[২১] ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি আইআইএসসি-এর পরিচালক ছিলেন। কর্মজীবনের বিভিন্ন সময়ে রাও পারডু ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারায় পরিদর্শক অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহেরু অধ্যাপক এবং ১৯৮৩-১৯৮৪ সালে কেমব্রিজের কিংস কলেজে অধ্যাপক ফেলো ছিলেন।[২২]

১৯৮৯ সালে নিজের প্রতিষ্ঠা করা জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ-এ রাও জাতীয় গবেষণা অধ্যাপক রূপে লিনাস পলিং গবেষণা অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন এবং অনারারি প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত আছেন।[২৩] তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৯] ২০১০ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস সায়েন্স-এ (আইসিএমএস) তিনি পরিচালক, এছাড়াও তিনি এখানে সায়েন্স ইনিশিয়েটিভ গ্রুপের বোর্ডে কাজ করছেন।[২৪]

বৈজ্ঞানিক অবদান[সম্পাদনা]

রাও বিশ্বের অন্যতম একজন কঠিন-অবস্থা রসায়ন এবং পদার্থ রসায়নবিদ। পাঁচ দশক ধরে তিনি এই ক্ষেত্রের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।[২৫] ট্রানজিশন মেটাল অক্সাইডের উপর তাঁর কাজটি এই উপাদানের অভূতপূর্ব অবস্থা এবং এই উপকরণগুলির বৈশিষ্ট্যের সাথে কাঠামোগত রসায়নের মধ্যে সম্পর্ক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছে।[২৬]

La2CuO4- এর মতো দ্বি-মাত্রিক অক্সাইড পদার্থ সংশ্লেষণে রাও প্রথম দিকের একজন দিশারী ছিলেন। প্রথম তরল নাইট্রোজেন-তাপমাত্রার সুপারকন্ডাক্টর ১২৩ কাপরেট সংশ্লেষণ করেছিলেন রাও, ১৯৮৭ সালে। এই বিষয় নিয়ে কাজ করা প্রথম দিকের বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে তিনি একজন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ওয়াই-জংশন কার্বন ন্যানোটিউব সংশ্লেষণ নিয়ে কাজের ক্ষেত্রেও তিনি প্রথম একজন।[৯] তাঁর কাজের ফলে গঠনগতভাবে নিয়ন্ত্রিত ধাতু-অন্তরক রূপান্তরগুলির পদ্ধতিগত অধ্যয়ন সহজে করা গেছে। এই ধরনের অধ্যয়নগুলি প্রয়োগ ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছে, যেমন প্রচণ্ড চুম্বক প্রতিরোধ এবং উচ্চ তাপমাত্রার অতিপরিবাহিতা। অক্সাইড অর্ধপরিবাহীগুলি অসাধারণ আশা জাগিয়েছে। তিনি গত দুই দশকে সঙ্কর উপাদানগুলিতে নিজের কাজ ছাড়াও ন্যানো উপাদানের কাজেও প্রচুর অবদান রেখেছেন।[২৭][২৮]

তিনি ১৭৫০টিরও বেশি গবেষণাপত্রের সহ-লেখক এবং ৫৪টিরও বেশি বইয়ের সহ-লেখন বা সম্পাদনা করেছেন।[৬][২৫][২৯]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

ফেলোশিপ এবং একাডেমিক সোসাইটির সদস্যপদ[সম্পাদনা]

সম্মানসূচক ডক্টরেট[সম্পাদনা]

বোর্দো, কেন, কলোরাডো, খার্তুম, লিভারপুল, নর্থওয়েস্টার্ন, নভোসিবিরস্ক, অক্সফোর্ড, পারডু, স্টেলেনবোশ, ইউনিভার্সিটি জোসেফ ফুরিয়ার, ওয়েলস, রক্লো, নটরডেম, উপসালা, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আন্না, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং, বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাঙ্গালোর, বর্ধমান, বুন্দেলখন্ড, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, ইগনু, আইআইটি বোম্বে, খড়গপুর, দিল্লি, পাটনা, জেএনটিইউ, কল্যাণী, কর্ণাটক, কলকাতা, কুভেম্পু, লখনউ, ম্যাঙ্গালোর, মণিপুর, মহীশূর, ওসমানিয়া, পাঞ্জাব, রুরকি, সিকিম মণিপাল, এসআরএম, তুমকুর, শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর, বিদ্যাসাগর, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, গুরগাঁও,[৩৩] বিশ্বেশ্বরায়া টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি এবং আসাম রয়্যাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি, গুয়াহাটি (২০২২) সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।[২২][২৫][৩৪]

প্রধান বৈজ্ঞানিক পুরস্কারসমূহ[সম্পাদনা]

বৈজ্ঞানিক পুরস্কার[সম্পাদনা]

ভারতীয় সরকারি সম্মান[সম্পাদনা]

বিদেশী সম্মান[সম্পাদনা]

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

  • রাও তাঁর স্ত্রীর সাথে ড্যান ডেভিড পুরস্কারের অর্থ ব্যবহার করে সিএনআর রাও এডুকেশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।[২১] এই প্রতিষ্ঠানটি জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ-এ অবস্থিত এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষকদের সেরা বিজ্ঞান শিক্ষক পুরস্কার প্রদান করে।[৫৯]
  • রাও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস সায়েন্স (আইসিএমএস) প্রতিষ্ঠা করেন যারা ২০১০ সাল থেকে সি এন আর রাও প্রাইজ লেকচার ইন অ্যাডভান্সড মেটেরিয়ালস প্রদান করছে[৬০]
  • ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেস স্বল্পোন্নত দেশগুলির বিজ্ঞানীদের জন্য ২০০৬ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য টিডব্লি এএস-সিএনআর রাও পুরস্কার শুরু করেছে।[৬১]
  • শানমুঘা আর্টস, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি ২০১৪ সালে রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানের জন্য এসএএসটিআরএ-সিএনআর রাও পুরস্কার চালু করেছে[৬২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালে ইন্দুমতি রাওয়ের সঙ্গে সিএনআর রাওয়ের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান সঞ্জয় ও সুচিত্রা। সঞ্জয় ব্যাঙ্গালোরের আশেপাশের স্কুলগুলিতে বিজ্ঞানের জনপ্রিয়কারী হিসাবে কাজ করেন।[৬৩] সুচিত্রা মহারাষ্ট্রের পুনেতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইজার)-এর ডিরেক্টর কৃষ্ণ এন. গণেশকে বিয়ে করেছেন।[৬৪] রাও নিজে টেকনোফোবিক (উন্নত প্রযুক্তি অপছন্দ), তিনি কখনই নিজের ইমেল নিজে দেখেন না। তিনি আরও বলেন, তিনি শুধু নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্যই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন।[৬৫]

বিতর্ক[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে, রাও এবং তার দল চারটি গবেষণাপত্রের একটি সিরিজ প্রকাশ করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল প্রসিডিংস অফ দ্য ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস (কেমিক্যাল সায়েন্স), প্রামানা, এবং কারেন্ট সায়েন্স, সবই ইন্ডিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস দ্বারা প্রকাশিত।[৬৬] সোসাইটি ফর সায়েন্টিফিক ভ্যালুস-এর কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল যে তিনটি গবেষণাপত্রে প্রাপ্তির তারিখগুলির কোনও উল্লেখ ছিল না, যা সাধারণত সেই জার্নালে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে।[৬৭] অনুসন্ধানের পরে, দেখতে পাওয়া গেছে যে কাগজের পাণ্ডুলিপিগুলি আসলে জার্নালের প্রকাশের তারিখের পরে এসেছে, যা ইঙ্গিত করে যে সেগুলিতে পুরোনো তারিখ বসানো হয়েছিল। সোসাইটি এই মামলাটিকে "অগ্রাধিকার দাবি করার জন্য ভুল উপায়ের ব্যবহার" হিসাবে ঘোষণা করেছে।[৬৬]

রাও লেখাচুরির অভিযোগের অভিযুক্ত হন।[৬৮][৬৯][৭০] বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে রাও এবং সালুরু বাবা কৃপানিধি, তাঁদের ছাত্র[৭১] বসন্ত চিতারা এবং এলএস পঞ্চকরলার সাথে, ২০১১ সালে অ্যাডভান্সড মেটেরিয়ালস জার্নালে "ইনফ্রারেড ফটোডিটেক্টরস বেসড গ্রাফিন অক্সাইড এবং গ্রাফিন ন্যানোরিবন" শিরোনামে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।[৭২] প্রকাশের পর জার্নাল সম্পাদকরা ২০১০ সালের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স লেটার্সে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে ভূমিকা এবং পদ্ধতিতে অক্ষরে অক্ষরে নকল করা বাক্য খুঁজে পান।[৭৩] নেচার-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আইআইএসসির পিএইচডি ছাত্র বসন্ত চিতারা পাঠ্যটি লিখেছিলেন।[৭৪] একই জার্নালে পরে লেখকেরা ক্ষমা চেয়ে চেয়েছিলেন।[৭৫] রাও বলেছিলেন যে তিনি পাণ্ডুলিপিটি পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর পক্ষ থেকে একটি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হয়েছিল কারণ তিনি প্রধানত ফলাফল এবং আলোচনার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।[৭৪]

রাহুল সিদ্ধার্থন ( ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিকাল সায়েন্সেস, চেন্নাই ), ওয়াইবি শ্রীনিবাস (উড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট), এবং ডিপি সেনগুপ্ত (আইআইএসসি-তে প্রাক্তন অধ্যাপক) এর মতো বিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে নকল করা অংশটির ফলাফলের উপর কোন প্রভাব নেই,[৭৬][৭৭] তথাপি সিদ্ধার্থন মতামত দেন যে রাও এবং কৃপানিধির প্রতিক্রিয়াগুলি অতি উৎসাহমূলক ছিল। রাও এবং কৃপানিধি প্রকাশ্যে চিতারাকে দোষারোপ করেন এবং প্রকাশনাকে চুরি নয় বলে মন্তব্য করেন।[৭৬] রাও মন্তব্য করেছিলেন, "এটিকে সত্যই চুরি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়, এটি পাঠ্যের কয়েকটি বাক্য অনুলিপি করার একটি উদাহরণ।" এমনকি তিনি কৃপানিধিকে দোষারোপ করেছিলেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে এতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই কারণ এটি তাঁর অজান্তেই কৃপানিধি লিখেছিলেন।[৭৮] তাঁর দাবিগুলি ন্যায়সঙ্গত ছিলনা, কারণ তিনি সেই লেখার বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট লেখক ছিলেন।[৭১][৭৬]

রাও-এর সহ-লিখিত নিবন্ধগুলিতে চুরির উদাহরণের আরও অভিযোগ করা হয়েছে।[৭৯] এস. ভেঙ্কটপ্রসাদ ভাট এবং কৃপানিধির সাথে রচিত, ফলিত পদার্থবিদ্যা এক্সপ্রেস[৮০]-এ সৌর কোষের উপর ন্যানো পার্টিকেলের প্রভাব সম্পর্কে রাও-এর ২০১০ সালের গবেষণা পত্রে ম্যাথিউ ইত্যাদি গবেষকের ২০০৮ সালে লেখা অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স লেটারস -এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির লেখার মতো পাঠ্য রয়েছে,[৮১] সেটিকে উদ্ধৃত করাও হয়নি।[৭৬] রাও ২০১১ সালের ঘটনার উল্লেখ করে বলেছিলেন যে "[যদি] আমি আমার সারা জীবনে কখনও একটি ধারণা বা ফলাফল চুরি করে থাকি, (তাহলে) আমাকে ফাঁসি দিন।"[৮২] কিন্তু রাও-এর নিবন্ধে ম্যাথিউ ইত্যাদি গবেষকের অনুরূপ অধ্যয়ন এবং নকল করা পরিসংখ্যান রয়েছে।[৭৬] চিতারা, নিধি লাল এবং কৃপানিধির সঙ্গে তাঁর লেখা ২০১১ সালের জার্নাল অফ লুমিনেসেন্সের একটি নিবন্ধে,[৮৩] ২০টি এমন বাক্য রয়েছে যেগুলির জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়নি। সেগুলি ইটস্কোস ইত্যাদি গবেষকের ন্যানোটেকনোলজি পত্রিকায় (জুন ২০০৯ সংখ্যা) প্রকাশিত নিবন্ধ এবং হেলিওটিস ইত্যাদি গবেষকের অ্যাডভান্সড মেটেরিয়াল (জানুয়ারি ২০০৬ সংখ্যা) পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধগুলি থেকে অনুলিপি করা বলে মনে করা হয়। চিতারা এবং কৃপানিধির সাথে লেখা ন্যানোটেকনোলজির আরেকটি নিবন্ধে[৮৪] হুয়াং ইত্যাদির মতো গবেষকের ১৯৯৫ সালের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স লেটারস-এর নিবন্ধ থেকে ছয়টি লাইন ব্যবহার করা হয়েছে।[৭৯]

বিতর্ক সত্ত্বেও রাওকে ভারত সরকার ভারতরত্ন প্রদান করেছিল এবং তিনি জওহরলাল নেহেরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ (জেএনসিএএসআর)-এর অধ্যাপক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।[৮৫] ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে, দুই ভাই-বোন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আদিত্য ঠাকুর এবং আইনের ছাত্রী তনয়া ঠাকুর রাও-এর ভারতরত্ন প্রাপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্ট, লখনউ বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে "চুরির প্রমাণিত মামলা সহ একজন বিজ্ঞানীকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রদান করা ঠিক নয়।"[৮৬] কিন্তু আদালত তাঁদের আবেদন নাকচ করে সেটিকে "প্রচার পাওয়ার জন্য আবেদন দাখিল করা" বলে রায় দেয়।[৮৭] ২০১৫ সালে পুরস্কার প্রত্যাহার করার জন্য আরেকটি আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন আবেদনটি খারিজ করে দেয়।[৮৮]

২০১৩ সালের ১৭ই নভেম্বর, তাঁর ভারতরত্ন ঘোষণার পর একটি সংবাদ সম্মেলনে, তিনি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের "মূর্খ" বলে অভিহিত করেছিলেন যা একটি জাতীয় ক্ষোভের কারণ হয়েছিল। তিনি বললেন, “আমরা যা করেছি তা সত্ত্বেও এই বোকারা [রাজনীতিবিদরা] আমাদের এত কম দিয়েছে কেন? সরকার আমাদের যে অর্থ দিয়েছে আমরা [বিজ্ঞানীরা] তার থেকে আরও অনেক বেশি কিছু করেছি।"[৮৯] নিজের প্রতিরক্ষায় রাও জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি কেবল রাজনীতিবিদদের বিজ্ঞানের গবেষণা তহবিলের জন্য বিনিয়োগকে উপেক্ষা করার "মূর্খতাপূর্ণ" উপায় সম্পর্কে কথা বলেছেন।[৯০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Fellowship: Prof. Chintamani Nagesa Ramachandra Rao"। Indian Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. "The Royal Society: Chintamani Rao"। The Royal Society। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Founding Fellow: Rao, Chintamani Nagesa Ramachandra"। The World Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. "Royal Society of Chemistry: Our Honorary Fellows"। Royal Society of Chemistry। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. "Member: C. N. R. Rao"। Academia Europaea। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Indian Research Information Network System" 
  7. Sathyamurthy, N.; Rao, C. N. R. (২০১৯)। "Face to Face with Professor C N R Rao" (ইংরেজি ভাষায়): 775–791। ডিওআই:10.1007/s12045-019-0840-2 
  8. Pulakkat, Hari (২০১৩-১১-১৮)। "Bharat Ratna nominee CNR Rao won all possible awards but the Nobel prize"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  9. Ganguli, A.K.; Ramakrishnan, T.V. (২০১৬)। "Living Legends in Indian Science: C.N.R. Rao" (পিডিএফ): 926–931। 
  10. Dhar, Aarti (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "C.N.R. Rao, Sachin conferred Bharat Ratna"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  11. "Sachin, eminent scientist CNR Rao get Bharat Ratna"The Times of India। ১৬ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  12. "Sachin first sportsperson to win country's highest civilian honour Bharat Ratna"Hindustan Times। ১৬ নভেম্বর ২০১৩। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  13. "Bharat Ratna for Prof CNR Rao and Sachin Tendulkar"Prime Minister's Office। ১৬ নভেম্বর ২০১৩। ১৯ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  14. "Sachin Tendulkar and CNR Rao conferred Bharat Ratna"The Times of India। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  15. "CNR Rao, Sachin receive Bharat Ratna"The Hindu। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  16. "Chemistry By Othello"। Outlook India। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  17. "Second Bharat Ratna for Chikkaballapur"। Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৩ 
  18. "Udupi: New govt should invest more on science: Bharat Ratna Dr C N R Rao"। Dajiworld। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪ 
  19. "Bangalorean CNR Rao to get Bharat Ratna"The Times of India। ১৬ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  20. "Scientist wonders why nobody asks him about Dan David prize"Deccan Herald। ১৮ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩ 
  21. David, Stephen (৩ জুন ২০১০)। "How I made it: CNR Rao, Scientist"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  22. INSA। "Indian Fellow"Indian National Science Academy। ১৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৩ 
  23. "Professor C N R Rao to be awarded with Bharat Ratna"Biharprabha News। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৩ 
  24. Madur (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "The Key Figure in Structural Chemistry – CNR Rao"karnataka.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  25. Johnson R (২০ জুলাই ২০১২)। "Author Profile: C. N. R. Rao"Journal of Materials Chemistry Blog। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৩ 
  26. Rao, C N R (১৯৮৯)। "Transition Metal Oxides" (ইংরেজি ভাষায়): 291–326। ডিওআই:10.1146/annurev.pc.40.100189.001451 
  27. Rao, C. N. R.; Cheetham, A. K. (২০০১-১১-২৩)। "Science and technology of nanomaterials: current status and future prospects": 2887–2894। ডিওআই:10.1039/b105058n 
  28. Rao, C N R; Cheetham, A K (২০০৮-০২-২৭)। "Hybrid inorganic-organic materials: a new family in condensed matter physics": 083202। ডিওআই:10.1088/0953-8984/20/8/083202 
  29. ABC (২৪ নভেম্বর ২০১১)। "CNR Rao is the winner of the 2011 Ernesto Illy Trieste Science Prize"abc.org.br। The Brazilian Academy of Sciences। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৩ 
  30. "Indian Fellow: Professor Chintamani Nagesa Ramachandra Rao"। Indian National Science Academy। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  31. "Honorary Fellows: Professor C N R Rao"। Institute of Physics। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  32. "APS Member History"search.amphilsoc.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৬ 
  33. "Satyarthi's '3D' model: Dream, discover, do"Times of India। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৫ 
  34. Eastmojo, Team (৩০ মার্চ ২০২২)। "Assam Royal Global University confers 1723 degrees in 1st convocation"Eastmojo 
  35. "Chintamani N.R. Rao"The Pontifical Academy of Sciences। ২০২০-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  36. Ramasami T (২০০৫)। "India Science Award and Dan David Prize for C. N. R. Rao" (পিডিএফ): 687। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২৩ 
  37. The Hindu: Karnataka News: Dan David prize for C.N.R. Rao[অধিগ্রহণকৃত!]. Hinduonnet.com (4 March 2005). Retrieved 13 March 2012.
  38. "Dan David Prize"। ১১ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৮ 
  39. "Abdus Salam Medal"। The World Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  40. Jayaraman, K. S. (২০১০)। "Need young scientists to lead: C N R Rao"। ডিওআই:10.1038/nindia.2009.365 
  41. "Awards | Jawaharlal Nehru Centre for Advanced Scientific Research"। ২৪ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  42. "Bharat Ratna Professor Rao receives the Eni International Award for Research in Energy Frontiers | Department Of Science & Technology"। Dst.gov.in। ২০২১-০৫-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১১ 
  43. "RAO, Chintamani Nagesa Ramachandra"। Indian Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  44. "Professor C.N.R. Rao FRS Biography"। Bangladesh Academy of Sciences। ৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ 
  45. C.N.R. Rao – Elsevier। Elsevier। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৫, ২০১৫ 
  46. "About Us"World Cultural Council। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৮, ২০১৬ 
  47. Honoris Causa ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ আগস্ট ২০১১ তারিখে. Caluniv.ac.in. Retrieved 13 March 2012
  48. "CNR Rao Awarded Nikkei Asia Prize"Convergence। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩ 
  49. "Khwarizmi International Award 21st Session −2008 – Khwarizmi International Award (KIA)"123.54। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২০ 
  50. China's top science award for Dr.C.N. R. Rao ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে. Retrieved 24 January 2013
  51. "CNR Rao is 1st Indian elected for Chinese Academy of Science"Deccan Herald। ২২ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৩ 
  52. "Welcome to IITP" 
  53. "Indian Association of Nanoscience and Nanotechnology (IANN)"www.iannindia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১১ 
  54. "IANN Platinum Medal: First Awardee Prof C N R Rao – Indian Association of Nanoscience and Nanotechnology (IANN)"sites.google.com। ২০২১-১১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১১ 
  55. "First UAE research prize for scientist CNR Rao"Outlook। ১৮ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  56. "Karnataka Government"karnataka.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  57. "CNR Rao thrilled over award – Times of India"The Times of India। ২৮ মার্চ ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  58. R. A. Mashelkar (১৭ নভেম্বর ২০১৩)। "Tribute to a master alchemist"Business Line। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩ 
  59. "Jawaharlal Nehru Centre for Advanced Scientific Research"www.jncasr.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  60. "Materials Research Society of India"www.mrsi.org.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  61. "TWAS-C.N.R. Rao Award for Scientific Research"TWAS (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  62. "SASTRA-CNR Rao Award to be presented on February 28"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  63. Anon. (২০১৩-১১-১৬)। "Know Bharat Ratna C.N.R Rao, scientist par excellence"www.indiatvnews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  64. "C.N.R Rao, scientist par excellence (Profile)"Business Standard News। ১৬ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩ 
  65. Pallava Bagla (১৬ নভেম্বর ২০১৩)। "Bharat Ratna awardee CNR Rao: the scientist who finds computers 'distracting'"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩ 
  66. "Society For Scientific Values – Newsletters Online"www.scientificvalues.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  67. Mahajan, Shobhit (১২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "A Man Of Science, But With No Art Of Storytelling"Outlook। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  68. "PM's science adviser apologises for plagiarism in science journal – Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৪ 
  69. "Plagiarism cloud over CNR Rao"dna (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০২-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৪ 
  70. "CNR Rao, 3 others in plagiarism row"Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৪ 
  71. Basant Chitara; L. S. Panchakarla (২০১১)। "Infrared Photodetectors Based on Reduced Graphene Oxide and Graphene Nanoribbons": 5419–5424। ডিওআই:10.1002/adma.201101414পিএমআইডি 21786342 
  72. Pallela, Kamalakar; Talari, Sneha (২০১৬)। "Plagiarism: a serious ethical issue for Indian students"। IEEE: 1–6। আইএসবিএন 978-1-5090-2498-8ডিওআই:10.1109/ISTAS.2016.7764048 
  73. Ghosh, Surajit; Sarker, Biddut K. (২০১০-০৪-১৯)। "Position dependent photodetector from large area reduced graphene oxide thin films" (ইংরেজি ভাষায়): 163109। arXiv:1002.3191অবাধে প্রবেশযোগ্যডিওআই:10.1063/1.3415499 
  74. Jayaraman, K. S. (২০১২-০২-২৪)। "Indian science adviser caught up in plagiarism row" (ইংরেজি ভাষায়): nature.2012.10102। ডিওআই:10.1038/nature.2012.10102 
  75. Chitara, Basant; Panchakarla, L. S. (২০১১-১২-০১)। "Apology: Infrared Photodetectors Based on Reduced Graphene Oxide and Graphene Nanoribbons" (ইংরেজি ভাষায়): 5339। ডিওআই:10.1002/adma.201190182অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  76. Siddharthan, Rahul (৯ মার্চ ২০১২)। "No Science in cut and paste"The Hindu 
  77. Subramanian, Aishhwariya (২০১২-০২-২২)। "Plagiarism row: Scientists swear by honesty"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  78. "No plagiarism, student copied a few sentences: C N R Rao"Deccan Herald (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  79. Prasad, R. (১১ মার্চ ২০১২)। "More cases of plagiarism come to light"The Hindu 
  80. Bhat, S. Venkataprasad; Krupanidhi, S. B. (২০১০-১০-২২)। "A Comparative Study of the Effect of Metallic Au and ReO 3 Nanoparticles on the Performance of Silicon Solar Cells" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়): 115001। ডিওআই:10.1143/APEX.3.115001 
  81. Matheu, P.; Lim, S. H. (২০০৮-০৯-১৫)। "Metal and dielectric nanoparticle scattering for improved optical absorption in photovoltaic devices" (ইংরেজি ভাষায়): 113108। ডিওআই:10.1063/1.2957980 
  82. Prashanth, G.N. (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Plagiarism row: Charges shocking, unfair, says Rao"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০ 
  83. Chitara, Basant; Lal, Nidhi (২০১১)। "Electroluminescence from GaN–polymer heterojunction" (ইংরেজি ভাষায়): 2612–2615। ডিওআই:10.1016/j.jlumin.2011.04.027 
  84. Chitara, Basant; Ivan Jebakumar, D S (২০০৯-১০-০৭)। "Negative differential resistance in GaN nanocrystals above room temperature": 405205। ডিওআই:10.1088/0957-4484/20/40/405205পিএমআইডি 19738301 
  85. styleshout.com, Erwin Aligam -। "Rao C.N.R – Home"www.jncasr.ac.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৪ 
  86. "PIL filed by class 12 students against Bharat Ratna to CNR Rao to be heard today"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  87. "Meet Mr & Mrs Petition Thakur"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  88. "Mrsubhash Chandra Agrawal vs Ministry Of Home Affairs on 16 February, 2016"indiankanoon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩ 
  89. "All you need to know about Bharat Ratna awardee CNR Rao"Firstpost.India। ১৮ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৩ 
  90. "CNR Rao does damage control after outbursts; Jaipal Reddy agrees with Rao's views on funding"The Times of India। ১৮ নভেম্বর ২০১৩। ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৩ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Shanti Swarup Bhatnagar Laureates of Karnataka