এম. বিশ্বেশ্বরায়া
এই নিবন্ধটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ইংরেজি ভাষার ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরী করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
মোক্ষগুন্ডম বিশ্বেশ্বরায়া | |
---|---|
![]() Sir M. Visvesvaraya in his 40s | |
19th Diwan, মহীশূর রাজ্য | |
কাজের মেয়াদ 1912–1918 | |
সার্বভৌম শাসক | Krishna Raja Wadiyar IV |
পূর্বসূরী | T. Ananda Rao |
উত্তরসূরী | M. Kantaraj Urs |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Muddenahalli, চিকবল্লাপুর, মহীশূর রাজ্য (now Karnataka, India) | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৬০
মৃত্যু | ১৪ এপ্রিল ১৯৬২ Bangalore, Karnataka, India | (বয়স ১০১)
জাতীয়তা | Indian |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
জীবিকা | Engineer |
পুরস্কার | Bharat Ratna (1955) |
স্যার এম. বিশ্বেশ্বরায়া কেসিআইই এফএএসসি, সাধারণত স্যার এমভি (15 সেপ্টেম্বর 1860 - 14 এপ্রিল 1962) নামে পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, স্টেটসম্যান এবং মাইসুরের 19 তম দিওয়ান 1912 থেকে 1919 সাল পর্যন্ত।
জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]
মহীশূরে তাঁর জন্ম হয় ১৮৬০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।
শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]
মাত্র তেইশ বছর বয়স। তখন প্রথমস্থান অধিকার করে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন তিনি। এশিয়ার ৩য় প্রাচীন - প্রকৌশল কলেজ, পুনে থেকে পাশ করেন তিনি , যা বর্তমানে সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়-এর অন্তর্ভুক্ত।[১]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
অ্যাসিস্ট্যান্ট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, বোম্বাই সরকার[সম্পাদনা]
১৮৮৪ সালে বোম্বাই সরকারের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন কর্মজীবনের শুরুতে । ধুলে থেকে ৩৫ মাইল দূরে দশেরা গ্রাম। সেখানকার পাঞ্জেরা নদীর জল পাহাড় কেটে নিয়ে আসতে হবে এ পারে। তুরপুন দিয়ে পাহাড় কেটে বসাতে হবে বাঁকানো পাইপ। তার মধ্য দিয়ে আসবে জল, কিন্তু জলের প্রবাহও ঠিক রাখতে হবে। কঠিন চ্যালেঞ্জ, অনভিজ্ঞ তরুণ, তার উপর বর্ষাকাল। বর্ষায় পাঞ্জেরা পাহাড়ি নদীর মতোই ভয়ঙ্কর। যে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু হয়েছিল, নদীর বালি জমে বন্ধ হয়ে গেল তার মুখ।
আড়াই মাইল নদী পেরিয়ে ঘোড়ায় চেপে কাজের জায়গায় পৌঁছতে হত। মুষলধারে বৃষ্টিতে এক দিন নদীর দু’পাড় ভেসে গেল। শিবিরে ফিরতে না পেরে ভিল গ্রামবাসীরা ইঞ্জিনিয়ার অতিথিকে জায়গা দিল। জল কমলে তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ভিলদের তৈরি ভেলার সাহায্যে নদী পার হল। কুলিরা ঘোড়া পার করে দিল। অশিক্ষিত অনভিজ্ঞ ভিলরাই ছিল প্রকল্পের শ্রমিক। তাদের সকলের সাহায্যে নির্ধারিত দু’মাসের মধ্যেই নদীর জলকে এ পারে আনার কাজ শেষ করলেন তিনি ।
সুক্কুর পৌরসভা[সম্পাদনা]
১৮৯৪ সালে তৎকালীন বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত সিন্ধু প্রদেশের সাক্কুর জেলায় সাক্কুর পৌরসভার (বর্তমানে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ অন্তর্গত ) জল সরবরাহের প্রকল্প তৈরির কাজ ঠিক মতো চলছিল না। আগে এ কাজের দায়িত্বে ছিলেন এক জন ইংরেজ। সেখানকার আবহাওয়া ছিল
চরম প্রকৃতির— হয় খুব গরম, নয় খুব ঠান্ডা। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য সাহেব কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। জেলার এগজ়িকিউটিভ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এই কাজের জন্য বিশ্বেশ্বরাইয়ার নাম সুপারিশ করেন। কাজটি বিশ্বেশ্বরাইয়াকে আকৃষ্ট করে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সিন্ধু নদ থেকে সাক্কুরে পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প তৈরি হল। সাক্কুর পৌরসভা ও সরকার উভয়েই তা অনুমোদন করল। নদী থেকে পাম্প করে জল পরিস্রুত করে নিকটবর্তী পাহাড়ের চুড়োয় পাইপের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। কিন্তু শোধনাগার তৈরি করার মতো আর্থিক সঙ্গতি পৌরসভার ছিল না। বিশ্বেশ্বরাইয়া উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে সমাধান করলেন। তিনি নদীর পাড়ে একটি কূপ খনন করলেন। নদীর তলা দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ পথ তার সঙ্গে যুক্ত করা হল। বালির মধ্য দিয়ে চুঁইয়ে আসা পরিস্রুত জল সেই কূপের মধ্যে পড়লে তা পাম্পের সাহায্যে পাহাড়ের উপরে অবস্থিত জলাধারে পাঠানো হল। এ ভাবে বিনা খরচে নদীর অশোধিত জল পরিস্রাবণ করে সরবরাহের ব্যবস্থা হল।
সুরাট[সম্পাদনা]
১৮৯৬ সালে সরকার তাঁকে তাপ্তী নদী থেকে সুরাতে জল সরবরাহের দায়িত্ব দেয়।
দিওয়ান , মহীশূর রাজ্য[সম্পাদনা]
১৯১২ সালে বিশ্বেশ্বরাইয়া মহীশূরের দেওয়ান পদে নিযুক্ত হন। কর্নাটকের মান্ডিয়ায় কাবেরী নদীর উপর কৃষ্ণরাজ সাগর বাঁধ বিশ্বেশ্বরাইয়ার অন্যতম কীর্তি। সরকারি অাপত্তি অগ্রাহ্য করে তিনি মহীশূরের রাজা চতুর্থ কৃষ্ণ রাজ ওয়াদিয়ার সাহায্য প্রার্থনা করেন। তাঁর সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করেন আত্মবিশ্বাসী বিশ্বেশ্বরাইয়া।
এ ছাড়াও তাঁর পরিকল্পনার মধ্যে ছিল ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা এবং সেই ময়লা জল চাষের কাজে ব্যবহার, রাস্তা চওড়া করা ও সিমেন্ট কংক্রিট করে ধূলিমুক্ত করা, অস্বাস্থ্যকর অঞ্চল ভেঙে দরিদ্রদের জন্য গৃহনির্মাণ।
সম্মাননা[সম্পাদনা]
১৯১১ সালে কোম্পানিওন অফ অর্ডার অফ ইন্ডিয়ান এম্পায়ার সম্মানে ভূষিত হন।
১৯১৫ সালে নাইট কমান্ডার অফ দি অর্ডার অফ ইন্ডিয়ান এম্পায়ার সম্মানে ভূষিত হন।
১৯৫৫ সালে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন।
তাঁর জন্মতারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি তাঁর সম্মানেই জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস নামে পরিচিত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী T. Ananda Rao |
Diwan of Mysore (1912–1919) |
উত্তরসূরী M. Kantaraj Urs |
External links[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে: এম. বিশ্বেশ্বরায়া। |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে এম. বিশ্বেশ্বরায়া সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: |