মার্ক বুচার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মার্ক বুচার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমার্ক অ্যালান বুচার
জন্ম (1972-08-23) ২৩ আগস্ট ১৯৭২ (বয়স ৫১)
ক্রয়ডন, সারে, ইংল্যান্ড
ডাকনামবুচ, বাজ
উচ্চতা৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক, অধিনায়ক
সম্পর্কএআর বুচার (বাবা),
জিপি বুচার (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৮৪)
৫ জুন ১৯৯৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৩০ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯২-২০০৯সারে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ টি২০
ম্যাচ সংখ্যা ৭১ ২৮০ ১৯১ ১৩
রানের সংখ্যা ৪,২৮৮ ১৭,৮৭০ ৪,৪৬০ ২১০
ব্যাটিং গড় ৩৪.৫৮ ৪০.৭০ ৩১.৮৫ ১৭.৫০
১০০/৫০ ৮/২৩ ৩৮/৯৫ ২/২৮ –/২
সর্বোচ্চ রান ১৭৩* ২৫৯ ১৩৯ ৬০
বল করেছে ৯০১ ৭,৭০৩ ২,৫২৭
উইকেট ১৫ ১২৫ ৪৯
বোলিং গড় ৩৬.০৬ ৩৩.৮৯ ৪৫.১০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৪২ ৫/৮৬ ৩/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬১/– ২৬৩/– ৬৩/– ৪/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৫ জুলাই ২০১৫

মার্ক অ্যালান বুচার (ইংরেজি: Mark Butcher; জন্ম: ২৩ আগস্ট, ১৯৭২) লন্ডনের ক্রয়ডন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, সারে ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মার্ক বুচার[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কাউন্টি ক্রিকেটে ১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে দলের পক্ষে অভিষিক্ত হন।[২][৩] ২০০৬ সালে সহকারী কোচ হিসেবে তার বাবা অ্যালান বুচার সারে দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়ে তিনি ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সারে দলে খেলেন। কাউন্টি ক্রিকেটের সবগুলো খেলাই সারে দলে খেলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৪] এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি অংশগ্রহণ করেন।[৪] ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে তিনি তার সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৭১ টেস্টে ৩৪ ঊর্ধ্ব গড়ে ৮ সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন তিনি।[৫] কিন্তু তিনি কখনো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেননি। ১৯৭০-৭১ থেকে শুরু হওয়া প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকের পর টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ স্বত্ত্বেও ওডিআই না খেলার দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন।[৬]

শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে দুইটি অর্ধ-শতক করেন। এরপর শীত মৌসুমে দলের অন্যান্য সদস্যের ন্যায় তিনিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যর্থ হন। তিনি মাত্র ১৫ গড়ে রান সংগ্রহ করেন।[৩] কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজে তিনি বেশ ভাল করেন। সিরিজে তিনি এক শতক ও দুই অর্ধ-শতক করেন। এরপর শীতের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে শতক করলেও পরের টেস্টগুলোয় তিনি সুবিধা করতে পারেননি। পরবর্তী ১২ টেস্টে কোন অর্ধ-শতকের সন্ধান পাননি।

বুচার ইংল্যান্ড দলকে একটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে নিয়মিত অধিনায়ক নাসের হুসেনের আঘাতজনিত অনুপস্থিতির কারণে তিনি এ দায়িত্ব পান।[৫] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের পর ২০০০-এর শীতে দল থেকে বাদ পড়েন।

অবসর[সম্পাদনা]

হাঁটুর আঘাতের কারণে আগস্ট, ২০০৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।[৭] অবসর পরবর্তীকালে স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পান ও টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে খেলা বিশ্লেষণে নিয়োজিত থাকেন। জানুয়ারি, ২০১০ সালে এমসিসি’র আজীবন সম্মানিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন।[৮]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Surrey players". CricketArchive. Retrieved 1 May, 2017.
  2. http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/4/4225/f_Batting_by_Team.html
  3. http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/4/4225/f_Batting_by_Season.html
  4. http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/4/4225/Test_Matches.html
  5. http://content-uk.cricinfo.com/ci/content/player/9327.html
  6. Lynch, Steven (৫ এপ্রিল ২০০৪)। "Most Tests without an ODI, and Zaheer's road"Cricinfo (ইংরেজি ভাষায়)। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১২ 
  7. "Knee injuries force Butcher to retire" (ইংরেজি ভাষায়)। CricInfo। ৯ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-০৬ 
  8. "Ashes adversaries awarded MCC life membership" Retrieved 2 September 2010.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]