মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিপ্লবী ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অসম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩৫ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
প্রকাশ |
প্রকাশ |
||
<s>'''লিখেছেন'''</s> |
|||
==জন্ম শিক্ষাজীবন== |
|||
মৃগেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম [[মেদিনীপুর জেলা|মেদিনীপুরের জেলার]] পাহাড়িপুরে। তার পিতার নাম বেণীমাধব দত্ত।<ref name="সংসদ"/> মৃগেন্দ্রনাথ মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্র ছিলেন। |
|||
==ঘটনা== |
==ঘটনা== |
০৮:৪২, ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত | |
---|---|
চিত্র:মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত.jpeg | |
জন্ম | ২৭ অক্টোবর, ১৯১৫ |
মৃত্যু | ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত জন্ম:- ২৭ অক্টোবর ১৯১৫ - মৃত্যু:- ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ইনি বার্জ হত্যার দ্বিতীয় তরুণ যুবক, বার্জ হত্যার পরের দিন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মৃগেন্দ্রনাথ। মৃগেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম হয়েছিল ২৭ অক্টোবর ১৯১৫ সালে মেদিনীপুর জেলার পাহাড়িপুরে। তার পিতার নাম ছিল বেণীমাধব দত্ত। মৃগেন্দ্রনাথ মেদিনীপুর টাউন স্কুলের ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি গোপন বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলে যোগদান করেন ও দলের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। এদিকে পেডি ও ডগলাস বিপ্লবীদের হাতে নিহত হয়েছেন। পেডি ও ডগলাস নিহত হবার পর বার্জকে মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট বানানো হয়।
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার সাথীরা একসময় ম্যাজিস্ট্রেট বার্জকে হত্যা করার দায়িত্ব পান। কারন বার্জ সাহেব বিপ্লবীদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লবীদের ওপর নানা অত্যাচার ও দেশের মানুষের নির্যাতন, যে করেই হোক বার্জকে পৃথিবী থেকে সরাতেই হবে। মৃগেন্দ্রানাথ দত্ত বাদে আরো চার জন তরুণ যুবক ছিল। তারা হলেন-- ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ ও অনাথবন্ধু পাঁজা। ১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন।
মৃগেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গী অনাথবন্ধু পাঁজা খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে বার্জ সাহেব মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।
মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত ঘটনাস্থলে মারা যান নি। অনাথবন্ধু পাঁজা সেখানেই মারা যান। পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত। একের পর এক বলিদানের কারনে অগ্নিযুগের তরুণরা স্বাধীনতার স্বপ্নে আত্মহারা হয়েছিল।
(তথ্যসূত্র সংগৃহীত কপি)
প্রকাশ
লিখেছেন
ঘটনা
১৯৩৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর শ্বেতাঙ্গ ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ সাহেব মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং-এর বিরুদ্ধে মেদিনীপুর ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলতে নামেন। খেলা প্রাকটিসের ছল করে বল নিয়ে মাঠে নামেন মৃগেন্দ্রনাথ ও তার সঙ্গী অনাথবন্ধু পাঁজা। মাঠেই দুই বন্ধু বার্জ সাহেবকে আক্রমণ করলে তিনি মারা যান। জোন্স নামে একজন আহত হন। পুলিস প্রহরী দুজনের উপর পাল্টা গুলি চালায়। এতে তারা দুজন নিহত হন এবং অপর সঙ্গীরা পলায়ন করতে সক্ষম হন। এই ঘটনার পর ব্রজকিশোর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ রায়, নির্মলজীবন ঘোষ, নন্দদুলাল সিং, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন, সনাতন রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা হয়। বিচারে ব্রজকিশোর, রামকৃষ্ণ ও নির্মলজীবনের ফাঁসি হয়। নন্দদুলাল, কামাখ্যা ঘোষ, সুকুমার সেন এবং সনাতন রায়-এর যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮১।