বোয়ালখালী
বোয়ালখালী | |
---|---|
শহর এবং উপজেলা সদর | |
বাংলাদেশে বোয়ালখালী শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২২′৪৭″ উত্তর ৯১°৫৫′০৩″ পূর্ব / ২২.৩৭৯৬৩৫° উত্তর ৯১.৯১৭৪৮১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
উপজেলা | বোয়ালখালী উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | বোয়ালখালী পৌরসভা |
• পৌরমেয়র | জহুরুল ইসলাম জহুর [১] |
আয়তন | |
• মূল শহর | ১৪.৪৮ বর্গকিমি (৫.৫৯ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১৫.৩৮ বর্গকিমি (৫.৯৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মূল শহর | ৫১,১৫৭ |
• পৌর এলাকা | ৫১,৬৯৫ |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
বোয়ালখালী বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ছোট শহর। এ শহরটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত চট্টগ্রাম জেলার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর। কর্ণফুলী নদীর পাশে অবস্থিত এ শহরটি বোয়ালখালী উপজেলার প্রধান ও সবচেয়ে বড় শহরাঞ্চল। প্রশাসনিক ভাবে বোয়ালখালী শহর হলো বোয়ালখালী উপজেলার সদর দফতর। চট্টগ্রাম শহর থেকে এ শহরের দূরত্ব ১৫ কি.মি.।
নামকরণ
[সম্পাদনা]কথিত আছে হযরত বু-য়ালী কালান্দর শাহ নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয়।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১০ সালের ২৯ আগস্ট বোয়ালখালী থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এ থানাকে বোয়ালখালী উপজেলায় উত্তীর্ণ করা হলে বোয়ালখালীকে উপজেলার সদর করা হয়। এর আগে এ অঞ্চল পটিয়া মহকুমার অংশ ছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সালের অক্টোবরে বোয়ালখালী পৌরসভা গঠিত হলে এ উপজেলা শহর পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর কালুরঘাট, ফকিরনী দীঘির পাড় ও কানুনগো পাড়া প্রভৃতি জায়গায় সম্মুখ সমরে অনেকে হতাহত হয়। ১৩ অক্টোবর কধুরখীল দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণে পাকবাহিনী গণহত্যা সংঘটিত করে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ২টি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।[৩]
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]বোয়ালখালী শহরের অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৪১′০৯″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২২.৬৮৫৯০০° উত্তর ৯০.৬৪৬১১৯° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ৮ মিটার। বোয়ালখালীর পশ্চিমে রয়েছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম, পূর্বে করলডেঙ্গা পাহাড়, দক্ষিণে বৃহত্তর পটিয়া, উত্তর পূর্বে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া এবং বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চল। বোয়ালখালী শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কর্ণফুলি নদী। এছাড়া শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নূর মাঝির খাল, ছন্দরিয়া খাল, চোরাখালী খাল, কাটাখালী, বেইচ্চাখালী খাল, রায়খালী খাল, বুড়ির মার খাল এবং মর্দনা খাল।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]এ শহরটি বোয়ালখালী পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এ বিভক্ত। বোয়ালখালী শহরের পুরোটাই বোয়ালখালী পৌরসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যার ফলে বোয়ালখালী শহরের আয়তন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।[৪]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বোয়ালখালী শহরের অবস্থান কর্ণফুলি নদীর পাড়ে। জেলা সড়ক Z1059 (১১.১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ) পটিয়া উপজেলা থেকে বোয়ালখালী শহরের উপর দিয়ে কানুনগোপাড়া গিয়ে পৌঁছেছে।[৫] বোয়ালখালীসহ দক্ষিণনাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্রিটিশ আমলের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত রেল সড়ক সেতু। এ সেতু যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করেছে। প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে আছে কানুনগোপাড়া-হাওলা ডি.সি সড়ক, শরৎসেন সড়ক, কালুরঘাট-ভান্ডালঝুড়ি সড়ক। এছাড়া নদী পথে যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম হিসাবে ইঞ্জিন চালিত বোট, সাম্পান ও নৌকা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কর্ণফুলি নদী তীরবর্তী হওয়ায় নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম শহর থেকে বাস, ট্যাক্সি যোগে যাতায়াত করা যায়। কর্ণফুলি নদী পথে বোয়ালখালীতে মালামাল পরিবহন করা যায়।[৬]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডীর পূর্ব দিকে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন টেক্সটাইল, লবণ কারখানাসহ বৃহৎ শিল্প কারখানা। কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে পেপার মিলস, ডক ইয়ার্ড, সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, টেক্সটাইল মিলসসহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষুদ্র থেকে ভারী শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে।[৭]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]- মুক্তকেশী দেবী
- রমেশ চন্দ্রশীল
- বিনয়বাঁশী জলদাস
- শেফালী ঘোষ
- কবরী সরোয়ার
- এ.কি.এম হারুনুর রশিদ
- আহমদ শরীফ
- বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী
- বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোলায়মান
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র"। boalkhali.chittagong.gov.bd। ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪।
- ↑ "বোয়ালখালীর পটভূমি"। ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বোয়ালখালীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে"। দৈনিক পূর্বদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "এক নজরে পৌরসভা"। ২৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩।
- ↑ "::RMMS::"। rhd.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "যোগাযোগ ব্যবস্থা"। boalkhali.chittagong.gov.bd। ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪।
- ↑ "ব্যবসা-বাণিজ্য"। boalkhali.chittagong.gov.bd। ৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪।