বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা
গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা পত্রিকার একটি সংখ্যার প্রচ্ছদ
ধরনসাপ্তাহিক পত্রিকা
মালিকমথুরানাথ মৈত্রেয়
প্রকাশকহরিনাথ মজুমদার
প্রতিষ্ঠাকালএপ্রিল ১৮৬৩; ১৬২ বছর আগে (1863-04)
ভাষাবাংলা ভাষা
সদর দপ্তরকুমারখালী, কুষ্টিয়া, ব্রিটিশ ভারত

গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা বাংলা ভাষার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার দ্বারা প্রকাশিত হতো।[] প্রাথমিকভাবে এটি কলকাতার গিরিশ বিদ্যারত্ন প্রেসে ছাপা হতো। প্রকাশনাটি ১৮৬৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মথুরানাথ প্রেসে স্থানান্তরিত হয়।[] এরপর কুষ্টিয়া থেকে সংবাদ পরিবেশন করা হতো। তবে বর্তমানে আর পত্রিকাটির অস্তিত্ব নেই।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

হরিনাথ মজুমদার ব্রিটিশ মালিকানাধীন একটি নীল উৎপাদন কারখানার কর্মচারী ছিলেন।[] চাকরি ছেড়ে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি ছোট শহর কুমারখালীতে চলে আসেন।[] তিনি ছাত্রদের পড়াতে শুরু করেন এবং নিজের পত্রিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন।[] ১৮৬৩ সালে তিনি ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ মাসিক হিসেবে প্রকাশ করেন।[] ১৮৬৪ সালের জুন-জুলাই মাসের দিকে তিনি এটিকে পাক্ষিক এবং ১৮৭১ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে এটিকে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশ করতে শুরু করেন। সাপ্তাহিক কাগজটির দাম ছিল ১ পয়সা। পত্রিকাটিতে প্রজাদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা তুলে ধরা হতো।[] ১৮৭৩ সালে, কুমারখালী প্রেসের মালিক মথুরানাথ মৈত্রেয়, মজুমদারকে প্রেসটি দান করেন।[] প্রেসের মালিক মৈত্রেয় ছিলেন ইতিহাসবিদ অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়ের পিতা।

লেখক মীর মশাররফ হোসেন প্রেস বিল্ডিং-এর অভ্যন্তরে তার বিখ্যাত উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর কিছু অংশ লিখেছিলেন। এই উপন্যাস এবং কুষ্টিয়ার লালনের গান এখানেই প্রথম প্রকাশিত হয়।[]

বাংলাদেশ সরকার প্রেসটি সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর নির্মাণের জন্য ৬ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছিল।[] বর্তমানে ছাপাখানাটি কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে স্থান্তর করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 "গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা এবং একজন কাঙ্গাল হরিনাথ"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩
  2. 1 2 মো. মাসুদ পারভেজ (২০১২)। "গ্রামবার্তা প্রকাশিকা"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১ওসিএলসি 883871743ওএল 30677644M
  3. 1 2 3 অনন্ত ইউসুফ (২৪ এপ্রিল ২০১৬)। "150 years old press that still works"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬
  4. শিপ্রা দস্তিদার (২০১২)। "হরিনাথ, কাঙাল"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১ওসিএলসি 883871743ওএল 30677644M
  5. "কিংবদন্তি কাঙাল হরিনাথের ভিটি হতে পারে তীর্থভূমি"banglanews24.com। ১৯ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩
  6. পার্থিব, সুকান্ত (১৬ এপ্রিল ২০১৭)। "গুরু কাঙাল হরিনাথ"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩
  7. এ.এইচ.এম. আরিফ, কুষ্টিয়া (১৮ জুলাই ২০২৩)। "অবশেষে জাদুঘরে যাচ্ছে পত্রিকার ছাপাখানা"আলোকিত বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২৪