বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট
চেয়ারম্যানএম.এ মতিন
মহাসচিবস.উ.ম আবদুস সামাদ
প্রতিষ্ঠা২১ ডিসেম্বর, ১৯৯০
সদর দপ্তর২০৭, ড্রীম আবুল হোসেন টাওয়ার (তৃতীয় তলা), ফকিরাপুল(প্রথম লেইন), বক্স কালভার্ট রোড, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।[১]
ছাত্র শাখাবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (ছাত্র)
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীকাফেলা (ছাত্রী)
ভাবাদর্শসুন্নি মতাদর্শ
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তিনা
জাতীয় সংসদের আসন
০ / ৩০০
নির্বাচনী প্রতীক
দলীয় পতাকা
ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট
বাংলাদেশের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল।[১]

প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২১ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বাংলাদেশে সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের লক্ষ্য।

চেয়ারম্যান

এম.এ মতিন

প্রতিষ্ঠাকালীন (প্রথম) চেয়ারম্যান ছিলেন আল্লামা হাফেয মুহাম্মদ আব্দুল জলিল

মহাসচিব

স. উ. ম. আবদুস সামাদ[২][৩]

লোগো[সম্পাদনা]

লোগোর উপরিভাগে আরবি অক্ষরে “ক্বাদ জা—আকুম মিনাল্লা-হি নূর”-এ আয়াতাংশটি এবং নিম্নাংশে লেখা আছে ‘বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’।গোলাকৃতির লোগোর মাঝখানে বাংলাদেশের মানচিত্র এবং দলীয় নির্বাচনী প্রতীক মোমবাতি খচিত আছে।[৪]

পতাকা[সম্পাদনা]

পতাকার সাইজ ৩:২ অনুপাতে।পতাকার রং এক চতুর্থাংশ সবুজ আড়াআড়িভাবে এবং তিন চতুর্থাংশ কালো লম্বালম্বীভাবে। আর কালো অংশের উপর সাদা অক্ষরে কালেমায়ে তাইয়্যেবা খচিত থাকবে।[৫]

নির্বাচনী প্রতীক[সম্পাদনা]

দলটির নির্বাচনী প্রতীক মোমবাতি[১][৬]

জোট[সম্পাদনা]

দলটি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটে জোটের শরীক ছিল।[৭][৮] বর্তমানে দলটি কোনো জোটে নেই।

অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনসমূহ[সম্পাদনা]

  • ছাত্র সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
  • ছাত্রী সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী কাফেলা
  • যুব সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা
  • মহিলা সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্ট
  • শ্রমিক সংগঠনঃ বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক ফ্রন্ট
  • শিশু-কিশোর সংগঠনঃ ফুটন্ত ফুলের আসর
  • সমাজ সেবাধর্মী সংগঠনঃ আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন

প্রেসিডিয়াম সদস্যের মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট, আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গৃহ আক্রমণ করার পর হত্যা করা হয় যিনি ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।[৯] ২০১৪ সালের আগস্টে ইসলামী ছাত্রসেনা প্রধান মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন যে সারা বাংলাদেশে অর্ধদিবস ধর্মঘট পালিত হবে এবং ফারুকীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হবে।[১০][১১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন"নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ। ৪ মে ২০১৬। ৩১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৬ 
  2. "স্বাধীনতা বিরোধী অপতৎপরতা রোধে ইসলামী শক্তির উত্থান জরুরি:বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স. উ . ম আব্দুস সামাদ"। সুপ্রভাত। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ"। দৈনিক পূর্বদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. গঠনতন্ত্র:মনোগ্রাম। পৃষ্ঠা ৮। 
  5. গঠনতন্ত্র:পতাকা। পৃষ্ঠা ৮-৯। 
  6. গঠনতন্ত্র:প্রতীক। পৃষ্ঠা ৮। 
  7. "এরশাদের নেতৃত্বে 'ইসলামী মূল্যবোধের' নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ"। bangla.bdnews24.com। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮ 
  8. "লালদীঘিতে পাঁচ লাখ জনসমাগমের টার্গেট ইসলামী ফ্রন্টের"। মানবকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "Islami Front leader slaughtered at Dhaka home"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-০৪ 
  10. "Chhatra Sena calls strike for Sunday"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১ 
  11. "Islami Chhatra Sena to enforce hartal on Sunday"www.dhakatribune.com। ২০১৬-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১