মদন উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৪২′৪৭″ উত্তর ৯০°৫৮′১২″ পূর্ব / ২৪.৭১৩০৬° উত্তর ৯০.৯৭০০০° পূর্ব / 24.71306; 90.97000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মদন
উপজেলা
মানচিত্রে মদন উপজেলা
মানচিত্রে মদন উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪২′৪৭″ উত্তর ৯০°৫৮′১২″ পূর্ব / ২৪.৭১৩০৬° উত্তর ৯০.৯৭০০০° পূর্ব / 24.71306; 90.97000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোণা জেলা
আয়তন
 • মোট২২৫.৮৫ বর্গকিমি (৮৭.২০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[১]
 • মোট১,৪২,০৭২
 • জনঘনত্ব৬৩০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট২৭.১৪%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৭২ ৫৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মদন উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

এই উপজেলার উত্তরে মোহনগঞ্জ উপজেলাআটপাড়া উপজেলা, দক্ষিণে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলাতাড়াইল উপজেলা, পূর্বে খালিয়াজুড়ি উপজেলা, পশ্চিমে কেন্দুয়া উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

মদন উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মদন থানার আওতাধীন।[২]

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় রঞ্জিত হাওড়-বাওর ও মগড়া, জেলাই, কৈজানী প্রভৃতি নদী নালায় বেষ্টিত সূফী সাধক সৈয়দ আহাম্মদ বসরী (র:) এর স্মৃতি বিজড়িত, ঐতিহাসিক সমৃদ্ধি নিয়ে মদন থানা নেত্রকোণা জেলার অন্যান্য থানাগুলো থেকে স্বতন্ত্র। ভৌগোলিক পরিবেশে খালিয়াজুরী, আটপাড়া, কেন্দুয়া থেকে পৃথক না হলেও বৈচিত্র্যতায় অনেক ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। ১৯৭০ খৃষ্টাব্দে দেশের আঞ্চলিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ময়মনসিংহের জেলা কালেক্টর যে সকল স্থানগুলোতে থানা স্থাপনের অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন, তন্মোধ্যে পরগনা নাসিরুজিয়ালের জন্য মদন একটি, কিন্তু সেটি রেভেনিউ বোর্ড নামঞ্জুর করলে বর্তমান মদন থানাভূক্ত ফতেপুর নামক স্থানে ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দে থানা স্থাপনের প্রস্তাব প্রেরিত হয়। নিকলী, বাজিতপুর, ফতেপুর ও মাদারগঞ্জ এ চারটি থানা নিয়ে হোসেনপুর বা নিকলী মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব ছিল। এই ফতেপুরেই ঈসা খাঁর পরিষদ দেওয়ান মসহিদ জালারে বংশধর ফতেইয়ার খাঁর আবাস্থল। এই ফতেইয়ার খাঁর নামানুসারের স্থানের নামকরণ হয় ফতেপুর। তৎরূপ একই বংশের দেওয়ান জাহাঙ্গীরের নামানুসারে মদন থানার জাহাঙ্গীরপুর নামক গ্রামের নামকরণ হয়েছে।১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে কেন্দুয়ায় পুলিশ প্রশাসন কেন্দ্র স্থাপনের বর্তমান মদন উপজেলার আখশ্রী গ্রামে কেন্দুয়া থানার একটি ফাড়ি স্থাপিত হয়েছিল। সে সময় মদন ও ফতেপুর ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত ছিল। কালের প্রবাহে মদনের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। এতে যোগাযোগসহ শাসন প্রক্রিয়ারও পরিবর্তন আসে। নায়েকপুরে আখশ্রী থেকে ফাড়ি থানা প্রত্যাহার করা হয় এবং পূর্ণাঙ্গ থানা স্থাপন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। খালিয়াজুরী, আটপাড়া ও কেন্দুয়ার ১৩১টি গ্রাম নিয়ে ১৯১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর মদন থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। [No. 417. P.J. Dated 14th December 1918] প্রজ্ঞাপনমূলে মদন থানাকে পুলিশ বিভাগ অনুমোদন প্রদান করে। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে মদন থানায় সার্কেল উন্নয়ন ও রাজস্ব বিভাগ খোলা হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে মদনকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। ৯১ বর্গমাইল আয়তনে ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে মদন উপজেলার কার্যক্রম চলছে। ১১ জুলাই ২০০১ সালে মদন থানা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। মহুয়া মলুয়ার দেশ খ্যাত নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার সাধারণ মানুষ খুবই সাংষ্কৃতিকমনা। এ উপজেলায় নৌকা বাইচ, ষাড়ের লড়াই, বাউলগান, যাত্রা, নাটক বছরের বিভিন্ন সময় পালাক্রমে অনুষ্ঠিত হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:[সম্পাদনা]

বিবিধ:[সম্পাদনা]

জল ভ্রমনের জন্য মদন বিখ্যাত।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মদন"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫ 
  2. "ইউনিয়নসমূহ - মদন উপজেলা"madan.netrokona.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]