নালিতাবাড়ী উপজেলা
নালিতাবাড়ী | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে নালিতাবাড়ী উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫′০″ উত্তর ৯০°১১′৭″ পূর্ব / ২৫.০৮৩৩৩° উত্তর ৯০.১৮৫২৮° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৫°৫′০″ উত্তর ৯০°১১′৭″ পূর্ব / ২৫.০৮৩৩৩° উত্তর ৯০.১৮৫২৮° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | শেরপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩২৯.৫৯ বর্গকিমি (১২৭.২৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৫২,৯৩৫ |
• জনঘনত্ব | ৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৪.২৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮৯ ৭০ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নালিতাবাড়ী উপজেলা বাংলাদেশের শেরপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৫°০৫′০০″ উত্তর ৯০°১১′৪৩″ পূর্ব / ২৫.০৮৩৩° উত্তর ৯০.১৯৫৪° পূর্ব। এর উত্তরে ভারতের মেঘালয় ও গার পাহাড় , পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলা, দক্ষিণে নকলা উপজেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইগাতী উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
এই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -
- কলসপাড় ইউনিয়ন
- কাকরকান্দি ইউনিয়ন
- নন্নী ইউনিয়ন
- নয়াবিল ইউনিয়ন
- নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন
- পোড়াগাও ইউনিয়ন
- বাঘবেড় ইউনিয়ন
- মরিচপুরান ইউনিয়ন
- যোগানীয়া ইউনিয়ন
- রাজনগর ইউনিয়ন
- রামচন্দ্রকোড়া ইউনিয়ন
- রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়ন
ইতিহাস[সম্পাদনা]
পাগলপন্থী বিদ্রোহ[সম্পাদনা]
জানকুপাথর ও দোবরাজপাথর ছিলেন উনিশ শতকের তৃতীয় দশকের দুইজন বিদ্রোহী এবং শেরপুরে সংঘটিত পাগলপন্থি বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক। তারা গারো-হাজংদের নেতা টিপু শাহের অনুগামী ছিলেন এবং ১৮২৭- ১৮৩৩ সালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রজাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন। শেরপুরের পশ্চিমদিকে করৈবাড়ি পাহাড়ের পাদদেশ জানকুপাথরের একটি প্রধান আস্তানা ছিলো।[২] ১৮৩১ সালে ময়মনসিংহের কালেক্টর নতুন বন্দোবস্ত "অষ্টম আইন" হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বিদ্রোহ চালিয়ে যান জানকুপাথর ও দোবরাজপাথর।[২][৩]
তাদের নেতৃত্বে শেষ পর্যায়ে সংগ্রামের রূপ চরম আকার ধারণ করে। ১৮৩৩ সন পর্যন্ত জানকুপাথর করৈবাড়ি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ও দোবরাজপাথর নালিতাবাড়ি উপজেলার নিকটবর্তী কোনো একস্থান থেকে শেরপুর অভিমুখে দ্বিমুখী আক্রমণ পরিচালনা করেন। বিদ্রোহী পাগলপন্থীগণ শেরপুরের জমিদারবাড়ি, কাছারিবাড়ি, জমিদারদের আশ্রিত লাঠিয়াল বাহিনীর সর্বস্ব লুট করে ও থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে শেরপুর জনশূন্য হয়ে পড়ে। এগার-বারটি ক্ষেত্রে সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ইংরেজ সরকার বিদ্রোহ সংশ্লিষ্ট লোকজন ও নিরীহ লোকজনকে পাইকারিভাবে হত্যা শুরু করে এবং বিদ্রোহের নেতাদেরকে ধরিয়ে দেবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। অতপর বিদ্রোহের দলপতিরা ধীরে ধীরে আত্মসমর্পণ করে। জানকুপাথর উত্তরের পাহাড়ে পালিয়ে যান এবং দোবরাজপাথর পূর্বাঞ্চলে আত্মগোপন করেন। দুর্গাপুর উপজেলার 'দোবরাজপুর' গ্রাম দোবরাজপাথরের স্মৃতি বহন করছে।[৪]
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা ; ২৫২৯৩৫; পুরুষ ১২৮৯৬৩, মহিলা ১২৩৯৭২। মুসলিম ২৩৭৮৯৭, হিন্দু ১০৩৫৫, বৌদ্ধ ৪২৫২, খ্রিস্টান ১৬ এবং অন্যান্য ৪১৫। এ উপজেলায় গারো, হাজং, হদি, মন্দাই, কোচ প্রভৃতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৪.২৭%; পুরুষ ৩৭.৭১%, মহিলা ৩০.৭২%। কলেজ ৪, কারিগরি কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৬, মাদ্রাসা ৫২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সরকারি নাজমুল স্মৃতি মহাবিদ্যালয় (১৯৭২), নালিতাবাড়ী শহীদ আবদুর রশিদ মহিলা কলেজ (১৯৯৬), হিরন্ময়ী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৯), তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৭), তারাগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৯), তারাগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫০), গড়কান্দা মহিলা আলিম মাদ্রাসা (১৯৯৪)।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ১, ক্লাব ২০, থিয়েটার গ্রুপ ২, সিনেমা হল ২, সামাজিক সংগঠন ১০, খেলার মাঠ ২০।
স্বাস্থ্য[সম্পাদনা]
কৃষি[সম্পাদনা]
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, সরিষা, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি মিষ্টি আলু, কাউন, তিসি, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫, গবাদিপশু ২১, হাঁস-মুরগি ১৫, হ্যাচারি ২, নার্সারি ৪।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২২০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ১০০ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৫৬.৬৬ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
কৃতী ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- শহীদ নাজমুল আহসান - স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপক;
- আব্দুস সালাম - রাজনীতিবিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- বারোমারী খ্রিস্টান মিশন
- পানিহাটা খিষ্টান মিশন
- মধুটিলা ইকো পার্ক
- নাকুগাও স্থল বন্দর
- রাবার ড্যাম (নালিতাবাড়ী)
- সুতানাল পুকুর (কাকরকান্দি ইউনিয়ন)
বিবিধ[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে নালিতাবাড়ী উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৪২ এবং ৩০৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ আবদুল বাছির, বাংলার কৃষক ও মধ্যবিত্তশ্রেণি, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, প্রথম প্রকাশ, ফেব্রুয়ারি ২০১২, পৃষ্ঠা ১৪০
- ↑ দরজি আবদুল ওয়াহাব, ময়মনসিংহের চরিতাভিধান, ময়মনসিংহ জেলা দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন কর্তৃপক্ষ, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ, এপ্রিল ১৯৮৯, পৃষ্ঠা ২৫১-২৫২।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |