সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
প্রাক্তন নাম | রিপন কলেজ |
---|---|
ধরন | কলেজ |
স্থাপিত | ১৮৮৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় |
অধিভুক্তি | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | ইন্দ্রনীল কর |
ঠিকানা | ২৪/২, মহাত্মা গান্ধী রোড, বৈঠকখানা , , , ৭০০০০৯ , ২২°৩৪′১৫″ উত্তর ৮৮°২২′০২″ পূর্ব / ২২.৫৭০৭৪৩৪° উত্তর ৮৮.৩৬৭৩২৪৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ওয়েবসাইট | surendranathcollege |
সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কলকাতার এক কলেজ। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ। ১৮৮৪ সালে জাতীয়তাবাদী নেতা স্যার সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে ছিলেন মীরা দত্তগুপ্ত। তিনি ১৯৩১ সালে কলেজে মেয়েদের পৃথক শাখা খোলেন।
ইতিহাস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি ঘেঁটে জানা যায় যে, পূর্বে কলেজটির নাম ছিল রিপন কলেজ যা ভারতের অন্যতম প্রাচীন আইন কলেজ, তৎকালীন ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড রিপনের নামানুসারে হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৮-১৯৪৯ শিক্ষাবর্ষে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত করা হয় "সুরেন্দ্রনাথ কলেজ"। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং ভারত তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি বিজন কুমার মুখার্জী এই আইন কলেজের ছাত্র ছিলেন।
শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ তার সুবিখ্যাত অমৃত বচন প্রদান করে ভারতে ফিরে কলকাতায় এ কলেজের বেদীতে তার ১ম বক্তব্য প্রদান করেছিলেন।
পদস্থ অনুষদ ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত রচয়িতা মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত।
- স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী: ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা, ভারতীয় জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের অগ্রদূত।
- বুদ্ধদেব বসু: ঔপন্যাসিক।
- অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়: সাবেক বাংলা বিভাগীয় অনুষদের প্রধান।
- অজিত ঘোষ: সাবেক বাংলা বিভাগীয় অনুষদের প্রধান।
- বিষ্ণু দে: কবি ও জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব।
- ভবতোষ দত্ত: উচ্চপদস্থ অর্থনীতিবিদ।
- মীরা দত্তগুপ্ত: উচ্চপদস্থ সমাজ সংস্কারক ও রাজনীতিবিদ।
- হীরেন মুখোপাধ্যায়: সাবেক ইতিহাস বিভাগীয় অনুষদের প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য।
- রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী: প্রখ্যাত জাতীয়তাবাদী নেতা, লেখক ও সাবেক অধ্যক্ষ।
স্মরণীয় ব্যক্তিবর্গ
[সম্পাদনা]রাজনীতিবিদ
[সম্পাদনা]- ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শব্দসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ।
- ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ: ভারতের ১ম রাষ্ট্রপতি।
- খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
চিকিৎসক
[সম্পাদনা]- সামন্ত লাল সেন: প্রখ্যাত বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ডাক্তার, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী।
বুদ্ধিজীবী
[সম্পাদনা]লেখক
[সম্পাদনা]- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়: জনপ্রিয় বাঙ্গালী ঔপন্যাসিক।
- নিমাই ভট্টাচার্য: ঔপন্যাসিক।
- নীরদচন্দ্র চৌধুরী: বিখ্যাত লেখক, সিবিই (কমাণ্ডার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার)।
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: ঔপন্যাসিক; সভাপতি, সাহিত্য অকাদেমী।
- বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়: ঔপন্যাসিক।
- মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় (শঙ্কর) : ঔপন্যাসিক।
- ফররুখ আহমদ: কবি।
- নিমাই ভট্টাচার্য: লেখক সাংবাদিক
- অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসু: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ গবেষক।
- শৈলেন ঘোষ: লেখক।
শিল্পী ও কলাকুশলী
[সম্পাদনা]- চিন্তামণি কর: বিখ্যাত ভাস্কর শিল্পী; অধ্যক্ষ, সরকারী চারু ও কারু মহাবিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত।
ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- তালিমেরান আও: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল, অলিম্পিক গেমস্, ১৯৪৬।
- শৈলেন মান্না: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল, অলিম্পিক গেমস্, ১৯৫২।
- সমর (বদ্রু) বন্দ্যোপাধ্যায়: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল, অলিম্পিক গেমস্, ১৯৫৬।
- শান্ত মিত্র: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল।
- অমল চক্রবর্তী: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল।
- প্রসুন ব্যানার্জী: অধিনায়ক, ভারতীয় ফুটবল দল।