মৈতৈ ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১০৮ নং লাইন: ১০৮ নং লাইন:


দেবী (২০০২) মৈতৈয়ের [[ইম্ফল]], [[আন্দ্রো]], [[কৌত্রুক]] এবং [[কাকচিং]] উপভাষাগুলির তুলনা করেছেন।
দেবী (২০০২) মৈতৈয়ের [[ইম্ফল]], [[আন্দ্রো]], [[কৌত্রুক]] এবং [[কাকচিং]] উপভাষাগুলির তুলনা করেছেন।

== ধ্বনিতত্ত্ব ==
মৈতৈ নিম্নলিখিত ধ্বনিগুলি ব্যবহার করে:<ref>
{{বই উদ্ধৃতি
|last1=Chelliah|first1=S. L.
|title=Meitei Phonology
|date=1997
|publisher=Mouton de Gruyter
|pages=17–21}}
</ref>

===স্বরধ্বনি===
{|class=wikitable style=text-align:center
!
! [[স্বরধ্বনির সম্মুখতা#সম্মুখ|সম্মুখ]]
! [[স্বরধ্বনির সম্মুখতা#কেন্দ্রিক স্বরধ্বনি|কেন্দ্রিক]]
! [[স্বরধ্বনির সম্মুখতা#পশ্চাৎ স্বরধ্বনি|পশ্চাৎ]]
|-
! [[স্বরধ্বনির সংবৃততা#সংবৃত স্বরধ্বনি|সংবৃত]]
|{{IPAlink|i}} || || {{IPAlink|u}}
|-
! [[স্বরধ্বনির সংবৃততা#মধ্য স্বরধ্বনি|মধ্য]]
| {{IPAlink|e}} || {{IPAlink|ɐ}} || {{IPAlink|o}}
|-
! [[স্বরধ্বনির সংবৃততা#বিবৃত স্বরধ্বনি|বিবৃত]]
| || {{IPAlink|a}} ||
|}

টিকা: মৈতৈ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক লেখায় মধ্য স্বরধ্বনি /ɐ/-কে <ə> হিসাবে লেখা হচ্ছে। কিন্তু ধ্বনিগতভাবে এটা কখনই [ə] নয়, [ɐ]। এটি সমীভবন হয়ে নৈকট্যধ্বনি হয়ে যায়: /ɐw/ = /ow/, /ɐj/ = [ej].।

===ব্যঞ্জনধ্বনি===
{|class=wikitable style=text-align:center
!colspan=3|
! [[ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জনধ্বনি|ওষ্ঠ্য]]
! [[দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি|দন্ত্য]]/<br />[[দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি|দন্তমূলীয়]]
! [[তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি|তালব্য]]
! [[পশ্চাত্তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি|পশ্চাত্তালব্য]]
! [[কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জনধ্বনি|কণ্ঠনালীয়]]
|-
!colspan=3| [[নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি|নাসিক্য]]
| {{IPAlink|m}} || {{IPAlink|n}} || || {{IPAlink|ŋ}} ||
|-
!rowspan=4| [[স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি|স্পর্শ]]
!rowspan=2| <small>[[ঘোষতা (ভাষাবিজ্ঞান)#ঘোষতা|ঘোষ]]</small>
! <small>মহাপ্রাণহীন</small>
| {{IPAlink|b}} || {{IPAlink| d}} || {{IPAlink|dʒ}} || {{IPAlink|ɡ}} ||
|-
! <small>[[শ্বসিত ধ্বনি (ভাষাবিজ্ঞান)|শ্বসিত]]</small>
| {{IPAlink|bʱ}} || {{IPAlink|dʱ}} || {{IPAlink|dʒʱ}} || {{IPAlink|gʱ}} ||
|-
!rowspan=2| <small>[[ঘোষতা (ভাষাবিজ্ঞান)#অঘোষতা|অঘোষ]]</small>
! <small>মহাপ্রাণহীন</small>
| {{IPAlink|p}} || {{IPAlink|t}} || {{IPAlink|tʃ}} || {{IPAlink|k}} || {{IPAlink|ʔ}}
|-
! <small>[[মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি|মহাপ্রাণ]]</small>
| {{IPAlink|pʰ}} || {{IPAlink|tʰ}} || || {{IPAlink|kʰ}} ||
|-
!colspan=3| [[উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি|উষ্ম]]
| || {{IPAlink|s}} || || || {{IPAlink|h}}
|-
!colspan=3| [[তাড়নজাত ব্যঞ্জনধ্বনি|তাড়নজাত]]
| || {{IPAlink|ɾ}} || || ||
|-
!colspan=3| [[পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনি|পার্শ্বিক]]
| || {{IPA||l}} || || ||
|-
!colspan=3| [[নৈকট্যধ্বনি|নৈকট্য]]
| {{IPAlink|w}} || || || {{IPAlink|j}} ||
|}


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৬:২৫, ১২ মে ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মৈতৈ
মণিপুরী, মেইতেই লোন্‌
ꯃꯩꯇꯩꯂꯣꯟ
অঞ্চলউত্তর-পূর্ব ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার
জাতিমৈতৈ
মাতৃভাষী
1.25 million ১২ লক্ষ ৫০ হাজার (২০১০)[১] থেকে ১৪ লক্ষ ৮৫ হাজার (২০০১ জনগণনা)[২]
মৈতৈ লিপি,
পূর্ব নাগরী লিপি
লাতিন বর্ণমালা
সরকারি অবস্থা
সরকারি ভাষা
(মণিপুর)
ভাষা কোডসমূহ
আইএসও ৬৩৯-২mni
আইএসও ৬৩৯-৩দুইয়ের মধ্যে এক:
mni – Meitei
omp – Old Manipuri
ভাষাবিদ তালিকা
omp Old Manipuri
গ্লোটোলগmani1292[৩]

মৈতৈ /ˈməɪtəɪ/[৪] (মৈতৈ ভাষায়: মেইতেই লোন্‌, মণিপুরী ভাষা নামেও পরিচিত[৫][৬]) উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের প্রধান ভাষা। সরকারী দপ্তরে এই ভাষা ব্যবহার করা হয়। মণিপুর ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, বাংলাদেশমায়ানমারে ভাষাটি প্রচলিত। ইউনেস্কো [৭]

মৈতৈ একটি চীনা-তিব্বতি ভাষা যার সঠিক শ্রেণীবিভাগটি এখনও স্পষ্ট নয়। এই ভাষার সঙ্গে কুকি ভাষা এবং তাংখুল ভাষার অভিধানিক মিল আছে।[৮]

মৈতৈ ভাষা মণিপুরের সমস্ত জাতিগুলি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এটি ব্যবহার করে, এবং এই ভাষাটি এই জাতিগুলিকে সমন্বিত উপাদান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ভারতীয় সরকার কর্তৃক স্বীকৃত এবং ১৯৯২ সালের সংবিধানের ৭১তম সংশোধনী দ্বারা ৮ম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতোকত্তর (পিএইচডি) স্তর অবধি মৈতৈ ভাষা একটি বিষয় হিসাবে পড়ানো হয়, এবং স্নাতক স্তর অবধি মৈতৈ মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয়। সরকারী বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী অবধি মৈতৈ ভাষায় শিক্ষাদান করা হয়।[৯]

ব্যুৎপত্তি

মৈতৈয়ের অনেক স্থানীয় ভাষাভাষীরা "মণিপুরী" নামটি থেকে "মৈতৈ" (বা "মৈতৈলোন্") নামটি বেশি পছন্দ করেন। "মৈতৈলোন" শব্দটি মৈতৈ জাতির নাম এবং মৈতৈ শব্দ "লোন্‌" ভাষা থেকে এসেছে। মৈতৈ শব্দটি হয়ত "মি" মানুষ + "থৈ" আলাদা; স্বতন্ত্র শব্দ দুটি থেকে এসেছে। পশ্চিমি ভাষাবিদরাও "মৈতৈ" নামটি ব্যবহার করেন।[১০]

আবার রাজ্যের নাম "মণিপুর" থেকেও এর নাম "মণিপুরী" বলা হয়।[১০] "মণিপুর" শব্দটির একটি পৌরাণিক লোক-ব্যুৎপত্তি আছে, যেখানে বলা হয় নাগদেবতা বাসুকির মাথা থেকে একটি উজ্জ্বল হীরক "মণি" নিক্ষিপ্ত করা হয় এবং যার ফলে সারা পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দেয়।[১০] ভারতের সরকারী ক্ষেত্রে এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভাষার নামটি "মণিপুরী" হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কখনও "মণিপুরী" শব্দটি বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা এবং বিষ্ণুপ্রিয়া জাতির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও "মণিপুরী" শব্দটি মণিপুর রাজ্য সম্বন্ধীয় যে কোন বিষয় ব্যবহার করা হয়।

উপভাষা

মৈতৈ ভাষার বহু উপভাষা আছে, কিন্তু ইদানিংকালে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং অসবর্ণ বিবাহের ফলে উপভাষাগুলির মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা প্রায় নগণ্য হয়ে গেছে। এর ব্যতিক্রম হচ্ছে ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে পাওয়া উপভাষার বাক্-পার্থক্য।[১১] মৈতৈয়ের উপভাষার সঠিক সংখ্যা অজানা।[১২]

এই ভাষার প্রধান উপভাষাগুলি হল প্রমিত মৈতৈ, লোই এবং পাঙ্গাল। মৈতৈয়ের উপভাষাগুলির মূল পার্থক্যগুলি হল নতুন ধ্বনির বিস্তার এবং সুরাঘাতীয় অপসরণ। প্রমিত মৈতৈকে অন্য দুটি উপভাষার চেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল বলে মনে করা হয়। উপভাষাগুলির সামান্য পার্থক্যগুলি নিম্নলিখিত সারণিতে দেওয়া হল:[১৩]

প্রমিত মৈতৈ[১৪] লোই পাঙ্গাল বাংলা
চাঃবা চাঃপা চাঃবা খাওয়া
কপ্পা কপ্মা কব্বা কাঁদা
সাঃবিবা সাঃপিপা সাঃবিবা বানানো
থাম্বা থাম্পা থাম্বা রাখা
চুপ্পিবা চুপ্পিপা চুবিবা চুম্বন দেওয়া

দেবী (২০০২) মৈতৈয়ের ইম্ফল, আন্দ্রো, কৌত্রুক এবং কাকচিং উপভাষাগুলির তুলনা করেছেন।

ধ্বনিতত্ত্ব

মৈতৈ নিম্নলিখিত ধ্বনিগুলি ব্যবহার করে:[১৫]

স্বরধ্বনি

সম্মুখ কেন্দ্রিক পশ্চাৎ
সংবৃত i u
মধ্য e ɐ o
বিবৃত a

টিকা: মৈতৈ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক লেখায় মধ্য স্বরধ্বনি /ɐ/-কে <ə> হিসাবে লেখা হচ্ছে। কিন্তু ধ্বনিগতভাবে এটা কখনই [ə] নয়, [ɐ]। এটি সমীভবন হয়ে নৈকট্যধ্বনি হয়ে যায়: /ɐw/ = /ow/, /ɐj/ = [ej].।

ব্যঞ্জনধ্বনি

ওষ্ঠ্য দন্ত্য/
দন্তমূলীয়
তালব্য পশ্চাত্তালব্য কণ্ঠনালীয়
নাসিক্য m n ŋ
স্পর্শ ঘোষ মহাপ্রাণহীন b d ɡ
শ্বসিত dʒʱ
অঘোষ মহাপ্রাণহীন p t k ʔ
মহাপ্রাণ
উষ্ম s h
তাড়নজাত ɾ
পার্শ্বিক Error: {{আধ্বব}}: ভাষা ট্যাগ অনুপস্থিত
নৈকট্য w j

তথ্যসূত্র

  1. Moseley, C. (Editor) (২০১০)। Atlas of the world's languages in danger (3rd ed)। Paris: UNESCO Publishing। 
  2. এথ্‌নোলগে Meitei (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
    এথ্‌নোলগে Old Manipuri (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
  3. হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Manipuri"গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। 
  4. Laurie Bauer, 2007, The Linguistics Student’s Handbook, Edinburgh
  5. "At a Glance « Official website of Manipur" 
  6. Abstract of speakers' strength of languages and mother tongues – 2000, Census of India, 2001
  7. Moseley, C. (Editor) (২০১০)। Atlas of the world’s languages in danger (3rd ed)। Paris: UNESCO Publishing। 
  8. Burling, Robbins. 2003. The Tibeto-Burman Languages of Northeastern India. In Thurgood & LaPolla (eds.), The Sino-Tibetan Languages, 169-191. London & New York: Routledge.
  9. Devi, S. (মে ২০১৩)। "Is Manipuri an Endangered Language?" (পিডিএফ)Language in India13 (5): 520–533। 
  10. Chelliah (1997: 2)
  11. Thoudam, P. C. (২০০৬)। Demographic and Ethnographic Information: Problems in the analysis of Manipuri language। Central Institute of Indian Language। 
  12. Haokip, P. (এপ্রিল ২০১১)। "The Languages of Manipur: A Case Study of the Kuki-Chin Languages"। Linguistics of the Tibeto-Burman Area34 (1): 86–118। 
  13. Ningoma, M. S. (১৯৯৬)। Manipur Dialects। Sealang Projects। 
  14. Primeros, A. J. (১৮৮৮)। A Manipuri Grammar, Vocabulary and Phrase Book। Shillong: Assam Secretariat Press। 
  15. Chelliah, S. L. (১৯৯৭)। Meitei Phonology। Mouton de Gruyter। পৃষ্ঠা 17–21।