গোলাপগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫১′৩০″ উত্তর ৯২°১′১৫″ পূর্ব / ২৪.৮৫৮৩৩° উত্তর ৯২.০২০৮৩° পূর্ব / 24.85833; 92.02083
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
প্রশাসনিক এলাকা
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:


== প্রশাসনিক এলাকা ==
== প্রশাসনিক এলাকা ==
গোলাপগঞ্জ উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন পরিসদ নিয়ে গঠিত।<ref>[http://www.dcsylhet.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=125&Itemid=143 http://www.dcsylhet.gov.bd/index.php]</ref>
গোলাপগঞ্জ উপজেলা ১ টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত।<ref>[http://www.dcsylhet.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=125&Itemid=143 http://www.dcsylhet.gov.bd/index.php]</ref>
* গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
* ১. বাঘা ইউপি
* ১. বাঘা ইউপি
* ২. গোলাপগঞ্জ ইউপি
* ২. গোলাপগঞ্জ ইউপি

০৪:১৪, ১৬ জুন ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গোলাপগঞ্জ উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫১′৩০″ উত্তর ৯২°১′১৫″ পূর্ব / ২৪.৮৫৮৩৩° উত্তর ৯২.০২০৮৩° পূর্ব / 24.85833; 92.02083 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
জনসংখ্যা
 • মোট৩,১৬,১৪৯
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩১০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯১ ৩৮
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

গোলাপগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অধীনে সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের অধীনে সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলার নাম গোলাপগঞ্জ। এর অবস্থা ২৪.৮৬° উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২.০২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। উপজেলার আয়তন আয়তন: ১০৫.৫৭ বর্গ মাইল,২৪৭ বর্গ কিলোমিটার বা ৬৭৫৬৯.৪৩ একর

  • পতিত জমি ২১,৪২৬ একর
  • আবাদি জমি ৪০,৫১৫ একর
  • বন - ১০০ একর
  • জলাভূমি - ৫,৫২৬[১]

প্রশাসনিক এলাকা

গোলাপগঞ্জ উপজেলা ১ টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত।[২]

  • গোলাপগঞ্জ পৌরসভা
  • ১. বাঘা ইউপি
  • ২. গোলাপগঞ্জ ইউপি
  • ৩. ফুলবাড়ী ইউপি
  • ৪. লক্ষীপাশা ইউপি
  • ৫. বুধবারী বাজার
  • ৬. ঢাকা দক্ষিণ
  • ৭. লক্ষনবন্দ ইউপি
  • ৮. ভাদেশ্বর ইউপি
  • ৯. পশ্চিম আমুড়া ইউপি
  • ১০. উত্তর বাদেপাশা ইউপি
  • ১১. শরীফগঞ্জ ইউপি

গ্রাম ২৮৫ টি ও ১০১টি মউজা।

ইতিহাস

গোলাপগঞ্জ নামের উৎপওি সম্পর্কীয় ইতিহাস আজো রহস্যাবৃত। এ সম্পর্কে এখনও কোন প্রামান্য দলিল পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র স্থানীয় জনশ্রতিই এর একমাত্র ঐতিহাসিক এবং তাও কোন কোন ক্ষেত্রে বিতর্কিত। অনেকের মতে কোন ব্যক্তি বিশেষের বিশেষ করে কোন রাজা,বাদশাহ,স্থানীয় শাসক কিংবা বিজেতের নাম গোলাপগঞ্জ নামের সঁঙ্গে জড়িয়ে আছে। ‘শ্রী গৌরাঙ্গের পূবাঞ্চল পরিভ্রমন এবং আসাম ও ঢাকাদক্ষিণ লীলা প্রসঁঙ্গ’ গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়,পাঠান আমল থেকে সিলেট জেলায় দেওয়ান পদ বিশিষ্ট একজন স্থানিয় রাজস্ব কর্মকর্তা অবস্তান করতেন। তিনি ছিলেন দিললী সম্রাটের প্রতিনিধি।রাজা গীরিষ চন্দ্রের পূর্ব পুরুষগন বহুদিন যাবত এ পদে বহাল পর পাঠান সম্রাট শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহ শুরের রাজত্বকালে ১৫৪০ সালে গোলাব রায় নামে একজন নতুন দেওয়ান এপদে নিযুক্তি লাভ করেন। তিনি ছিলেন খুবই ধর্মপরায়ন ব্যক্তি,তাঁরই নামানুসারে ‘গোলাবগঞ্জ” নামের সৃষ্টি হয়। পরবর্তিতে ‘গোলাবগঞ্জ” থেকে “গোলাপগঞ্জ” নামে পরিচিতি লাভ করে।পূবে থানা প্রশাসন ছিল হেতিমগঞ্জ। ১৯০৬ সালে তদানীন্তন বৃটিশ সরকার সুরমা বিধৌত উপকুলবর্তী অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিজরিত এক মনোরম স্থান গোলাপগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে থানা কার্যালয় স্থানান্তরিত করেন।[৩][৪]

জনসংখ্যার উপাত্ত

শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নম্বর প্রতিষ্ঠানের ধরন মোট সংখ্যা
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘরের লেখ
কলেজ
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
কিন্ডার গার্টেন ২৩
প্রাইমারি স্কুল ১৬৮
উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ২২
হাফেজিয়া মাদ্রাসা -
কোয়ামি মাদ্রাসা ৪৫
দাখিল মাদ্রাসা ১০
১০ আলিয়া মাদ্রাসা
১১ ফাজিল মাদ্রাসা
১২ ইবতেদাই মাদ্রাসা
১৩ ফুরকানিয়া মাদ্রাসা ৪৫

স্বাস্থ্য

নম্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ধরন সংখ্যা
ক্লিনিক
এফ ডব্লিউ সি
প্রাইমারি হেলথ কেয়ার
হাসপাতাল

কৃষিপন্য ও ফার্ম

  • গোলাপগঞ্জের মাছের চাষ ও ধরার এলাকা ১৮৩৬ একর।
  • ধান উৎপাদন জমি ২৯,৭৯৮ একর।
  • সবজি চাষ হয় ৭৭০ একর এলাকায়।[৫]

যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা

অর্থনীতি

পর্যটন আকর্ষণ

সিলেটের পাহাড় টিলা বেস্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অপরূপ লীলাভূমি গোলাপগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হলো “গোলাপগঞ্জ বোটানিক্যাল গার্ডেন”। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ধারাবহরস্থ মাশা মডেল টাউনে প্রেসক্লাব সংলগ্ন ১৫ একর জায়গায় ফলজ, বনজ, ফুলজ ও ঔষধি গাছের সমাহার নিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘গোলাপগঞ্জ বোটানিক্যাল গার্ডেন’। নানা প্রজাতির বৃরে সমাহার ল্য করা গেলেও কালক্রমে এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বনজ ফলজ ঔষধি বৃরে বিলুপ্ত প্রজাতি গাছের ক্ষেএে বোটানিক্যাল গার্ডেন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। গোলাপগঞ্জে এ গার্ডেন স্থাপিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা এখানে আসবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এ গার্ডেনের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদজ বনানঞ্চলের পরিচিতি লাভ করবে। এ গার্ডেনে শোভা পাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সাথে হারিয়ে যাওয়া অনেক ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ। গোলাপগঞ্জ বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যটকদের কাছে সমাদর লাভ করবে।[৬]

স্থাপনা

  • দেওয়ানের পুল
  • মদন মোহন জিউ ও মহাপ্রভুর আখড়া - বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের জন্মের প্রায় শত বছর পর এই উপজেলার রাণাপিং মৌজার গোয়াসপুর ঘোগা গ্রামে প্রায় ১ একর জায়গায় মদন মোহন জিউ ও মহাপ্রভুর আখড়া স্থাপিত হয়।
  • শ্রী চৈতন্য মন্দির, মিশ্রপাড়া - এই উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামে হিন্দু ধর্মালম্বীদের তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত 'শ্রী চৈতন্যদেবের মন্দির অবস্থিত। অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে তৎকালীন সিলেটের গোলাব রায়ের উদ্যোগে এখানে একটি মন্দির নির্মীত হয়। হিন্দুধর্মালম্বীদের একটি ঐতিহাসিক তীর্থস্থান হিসেবে প্রতিবছর এ মন্দিরে হাজার হাজার পর্যটক বেড়াতে আসেন। বাংলা বছরের চৈত্র মাসের এক রবিবার তিনি ঢাকাদক্ষিণে এসেছিলেন। তাঁর এ আগমনকে কেন্দ্র করে চৈত্র মাসের প্রতি রবিবার এখানে মেলা ও ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
  • হযরত জাহান শাহ্ মৌলার মাজার
  • সুন্দিশাইল ২৩ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ - গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের সুন্দিশাইল গ্রামে গড়ে উঠেছে ২৩ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সুন্দিশাইল মোকামটিলায় আক্রমণ চালিয়ে দুইদিনে ২৩ জনকে শহীদ করে পাকবাহিনী। ২৬ অক্টোবর স্থানীয় মোকামটিলায় অবস্থিত হযরত জাহান শাহ্ মৌলার মাজারসংলগ্ন মসজিদে মুসল্লিরা আসরের নামাজ পড়ে বের হচ্ছিলেন। এসময় পাকবাহিনীর স্থানীয় এক দোসরের নেতৃত্বে একদল পাকসেনা গণহত্যা চালিয়ে এক সাথে ২১ জন রোজাদার সাধারণ মুসল্লিকে শহীদ করে। মোকামটিলায় পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমণে যারা শহীদ হয়েছেন তারা হলেন খুর্শেদ আলী, আসদ আলী, তুতা মিয়া, চাঁন্দ মিয়া, মুবেশ্বর আলী, কুটু চাঁন্দ মিয়া, ওয়ারিছ আলী, মস্তন আলী, ওহাব আলী, সুনু মিয়া, সমুজ আলী, মাতাই মিয়া, আনু মিয়া, কুটলা মিয়া, মুতলিব আলী, মানিক মিয়া, চুনু মিয়া, খালিক মিয়া, লুলু মিয়া। অপর চারজন শহীদের নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়নি। একই স্থানে আগের দিন আরো দু’জনকে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। গোলাপগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় এ গণহত্যায় শাহাদাৎ বরণকারী শহীদদের স্মরণে ১৯৭২ সালে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে গড়ে উঠে স্মৃতিস্তম্ভ। এ স্মৃতিস্তম্ভে প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ। [৪]
  • শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মক্তদা ও মোস্তফা শিশুপার্ক - এই উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন স্থানে গড়ে উঠেছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মক্তদা ও মোস্তফা শিশু পার্ক। ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর শহীদদের স্মরণে পার্কটি গড়ে তোলেন লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মিসবাহুল কাদির ফাহিম। জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পার্কটি বাস্তবায়ন করে ইউনিয়ন পরিষদ। ২০০৯ সালে এটি উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব রাগীব আলী। যাদের স্মরণে এ শিশুপার্কটি গড়ে তেলা হয় তারা হলেন- লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদ চৌধুরীর পুত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মক্তদা কামাল চৌধুরী ও বাউসী গ্রামের ওয়াছির আলীর পুত্র শহীদ মোস্তফা মিয়া।[৪]

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. http://www.bbs.gov.bd
  2. http://www.dcsylhet.gov.bd/index.php
  3. Notification No 528 Part 105 of Govt. Gazette 2.10.1906 established as Golapgonj.
  4. গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য - আনোয়ার শাহজাহান, প্রকাশকাল. প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ১৯৯৬
  5. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
  6. http://golapganj.wordpress.com/2010/11/23/প্রাকৃতিক-সৌন্দয্যের-অপর/ প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অপরূপ লীলাভূমি গোলাপগঞ্জ বোটানিক্যাল গার্ডেন

বহিঃসংযোগ