কপিলাবস্তু
অবয়ব
বৌদ্ধ তীর্থস্থান |
---|
চারটি প্রধান তীর্থ |
চারটি অতিরিক্ত তীর্থ |
অন্যান্য তীর্থস্থান |
পরবর্তীকালের তীর্থস্থান |
কপিলাবস্তু (পালি: Kapilavatthu) একটি স্থানের নাম যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ তার বাল্যকাল অতিবাহিত করেন। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ ও পঞ্চম শতাব্দীর শেষ বা লৌহ যুগের শেষের দিকে শাক্যদের বংশের রাজধানী ছিল কপিলাবস্তু। এখানে গৌতম বুদ্ধের পরিবারের গৃহ, উদ্যানসহ আরো বেশকিছু পারিবারিক স্থাপনা রয়েছে। এই স্থানটি তার জন্মস্থান লুম্বিনী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে, যা পরবর্তীতে একটি অশোক স্তম্ভ দ্বারা স্থানটি চিহ্নিত করা হয় এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়[১]।
স্থান | কপিলাবস্তু |
---|---|
পরিচিতি | প্রাচীন শহর |
রাজধানী | শাক্য বংশ |
বিশেষ খ্যাতি | গৌতম বুদ্ধের অবস্থান |
কপিলাবস্তু নামের অর্থ
[সম্পাদনা]বৌদ্ধ সূত্র অনুসারে কপিলভাথু (Kapilvatthu) নামের অর্থ হল “টাউনি এলাকা”। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে লালচে বালি থাকার কারণে এই নামকরণ করা হয়েছে।
কপিলাবস্তুর অবস্থান
[সম্পাদনা]- ১৮৭০-এর দশকে আর্চিবল্ড কার্লাইল গোরক্ষপুরের উত্তর-পশ্চিমে বুলিয়া তাল নামে একটি হ্রদের কাছে একটি প্রাচীন নগরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান। এই স্থানকে তিনি কপিলাবস্তু বলে মনে করেন।
- পরবর্তীতে ডা. অ্যান্টন ফ্যুরার জোর দিয়ে বলেন যে, বুলিয়া তাল কপিলাবস্তু নয়। আবার শুরু হয় অনুসন্ধানের কাজ।
- আবার শুরু হয় অনুসন্ধান। খুঁজে দেখতে হবে নেপালের তরাই অঞ্চলে। ফ্যুরার এই কাজের দায়িত্ব দেন পূর্ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ওরফে পি. সি. মুখার্জি নামে এক বাঙালিকে। তিনি সেই ধ্বংসাবশেষ খুঁজেও পেলেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- কপিলবস্তু জেলা, নেপালের লুম্বিনী অঞ্চল-এর একটি জেলা শহর।
- লুম্বিনী, গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান।
- নিগ্রোধর্ম, একটি বৌদ্ধ মঠ, যেখানে কপিলাবস্তু ভ্রমণের সময় গৌতম বুদ্ধ অবস্থান করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Lumbini, the Birthplace of the Lord Buddha"। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১১।
বহি:সংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে কপিলাবস্তু সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।