ত্রৈলোক্য
(ত্রিলোক থেকে পুনর্নির্দেশিত)
| হিন্দুধর্ম |
|---|
| ধারাবাহিকের অংশ |
 |
ত্রৈলোক্য (সংস্কৃত: त्रैलोक्य, অনুবাদ 'তিন জগৎ') বা ত্রিলোক হলো ভারতীয় দর্শনে ত্রিভুবন।[১][২][৩][৪][৫] এটি "তিনটি গোলক,"[৩] "অস্তিত্বের তিনটি সমতল,"[৬] "তিনটি জগৎ"[৬] এবং "তিনটি অঞ্চল"কেও উল্লেখ করতে পারে।[৪]
তিন জগতের ধারণা (ত্রি-লোক) হিন্দুধর্ম ও জৈনধর্মের পাশাপাশি প্রাথমিক বৌদ্ধ গ্রন্থে দেখা যায়।
হিন্দুধর্ম[সম্পাদনা]
হিন্দু সৃষ্টিতত্ত্বে তিন জগতের ধারণার বিভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। পুরাণে বর্ণিত ত্রিলোক হলো স্বর্গ (দেবতাদের বাসভূমি), মর্ত্য (মধ্যলোক) ও পাতাল (ভূগর্ভ)।[৭] ঋগ্বেদে ত্রিলোক ও ত্রিলোকের দেবতার উল্লেখ রয়েছে।[৮] বেদ অনুসারে ত্রিলোক হলো স্বর্গ, মর্ত্য ও আকাশ।
- ঐতিহ্যগতভাবে, ত্রিলোক বলতে পৃথিবী (ভুলোক), স্বর্গ ও নরক[৯], অথবা পৃথিবী (ভুলোক), স্বর্গ ও পাতাল[১০]
- ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ত্রিলোককে ভূত (অতীত), ভব্য (ভবিষ্যৎ) এবং ভব (বর্তমান) বলে ধারণা করে।[১১]
- বৈষ্ণবধর্মে, ত্রিলোককে প্রায়শই ভুর, ভুভঃ ও স্বহ (স্থূল অঞ্চল, সূক্ষ্ম অঞ্চল এবং স্বর্গীয় অঞ্চল) হিসাবে বর্ণনা করা হয়।[১২]
- নীলনমতাপুরাণে, বামন মহরলোক, জনলোকা এবং তপোলোক এই তিনটি জগতের উপর তার দ্বিতীয় ধাপ কভার করেছে, যেগুলোকে সপ্ত স্বর্গের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১৩]
বৌদ্ধধর্ম[সম্পাদনা]
বৌদ্ধধর্মে, তিনটি জগৎ কর্মের পুনর্জন্মের জন্য নিম্নলিখিত গন্তব্যগুলিকে উল্লেখ করে:
- কামলোক (কামনার জগৎ): মৌলিক আকাঙ্ক্ষা দ্বারা টাইপ করা, নরক প্রাণী, প্রেত (ক্ষুধার্ত ভূত), প্রাণী, মানুষ এবং নিম্ন অর্ধ-দেবতা দ্বারা জনবহুল।
- রূপলোক (রূপের জগৎ): প্রধানত বেসরকারী আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত, ধ্যান-নিবাস দেবতাদের দ্বারা জনবহুল, যারা ধ্যানে ভালভাবে অনুশীলন করে তাদের জন্য সম্ভাব্য পুনর্জন্ম গন্তব্য।
- অরূপলোক (নিরাকার জগৎ): চারটি স্বর্গে জনবহুল অ-নিরাকার রাজ্য, চারটি নিরাকার স্তরের অনুশীলনকারীদের জন্য সম্ভাব্য পুনর্জন্মের গন্তব্য।[৩]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Monier-Williams, 1899। [Tri-]loka"। পৃষ্ঠা ৪৬০, কলাম ১। "Trailoya"। পৃষ্ঠা ৪৬২, কলাম ২।
- ↑ Rhys Davids & Stede,1921-25। "Ti-"। পৃষ্ঠা ৩০১।"Here, tiloka is compared with tebhūmakalit= ("three planes")".
- ↑ ক খ গ Fischer-Schreiber et al. (1991)। পৃষ্ঠা ২৩০। entry for "Triloka." Here, synonyms for triloka include trailokya and traidhātuka.
- ↑ ক খ Blavatsky (1892)। পৃষ্ঠা ৩৩৬-৩৩৭, "Trailokya" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মে ২০১২ তারিখে.
- ↑ Purucker (1999),"Trailokya"
- ↑ ক খ Berzin (2008) renders khams-gsum (Wylie; Tibetan) and tridhatu (Sanskrit) as "three planes of existence" and states that it is "[s]ometimes called 'the three realms.'" Tridhatu is a synonym of triloka where dhatu may be rendered as "dimension" or "realm" and loka as "world" or even "planet."
- ↑ ত্রিলোক; স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল। English & Bengali Online Dictionary & Grammar।
- ↑ সংস্কৃত: "ये देवासो दिव्येकादश स्थ पृथिव्यामध्येकादश स्थ । अप्सुक्षितो महिनैकादश स्थ ते देवासो यज्ञमिमं जुषध्वम् ॥११॥";The Rig Veda, Mandala 1, Hymn 139 , Verse 11, Translated by Ralph T.H. Griffith, Wikisource, “O ye Eleven Gods whose home is heaven, O ye Eleven who make earth your dwelling, Ye who with might, Eleven, live in waters, accept this sacrifice, O Gods, with pleasure."
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৭-১১-১৮)। "Trailokya: 19 definitions"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৮।
- ↑ Maruvada, Surya N. (২০২০-০৩-০২)। Who is Who in Hindu Mythology - VOL 2: A Comprehensive Collection of Stories from the Pur??as (ইংরেজি ভাষায়)। Notion Press। আইএসবিএন 978-1-64805-686-4।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৯-০৬-২০)। "Vaivasvata Manvantara: the Mārīca creation [Chapter 38]"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৮।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০০৮-০৯-২৭)। "Triloka, Tri-loka: 12 definitions"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৮।
- ↑ www.wisdomlib.org (২০১৯-০১-২৮)। "Story of Vāmana"। www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৮।
উৎস[সম্পাদনা]
- Berzin, Alexander (March 6, 2008). Berzin Archives Glossary. Retrieved Sunday July 13, 2008 from "Berzin Archives" at http://www.berzinarchives.com/web/en/about/glossary/glossary_tibetan.html.
- Blavatsky, H.P. (1892). Theosophical Glossary. London: Theosophical Publishing Society. Retrieved 2008-07-14 from "The Theosophical Glossary (United Lodge of Theosophists, Phoenix, Arizona)" at http://theosophicalglossary.net/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে.
- Fischer-Schreiber, Ingrid, Franz-Karl Ehrhard, Michael S. Diener and Michael H. Kohn (trans.) (1991). The Shambhala Dictionary of Buddhism and Zen. Boston: Shambhala Publications. আইএসবিএন ০-৮৭৭৭৩-৫২০-৪.
- Monier-Williams, Monier (1899, 1964). A Sanskrit-English Dictionary. London: Oxford University Press. আইএসবিএন ০-১৯-৮৬৪৩০৮-X. Retrieved 2008-07-13 from "Cologne University" at http://www.sanskrit-lexicon.uni-koeln.de/scans/MWScan/index.php?sfx=pdf.
- Purucker, G. de (ed.-in-chief) (1999). Encyclopedic Theosophical Glossary: A Resource on Theosophy. Theosophical University Press. Retrieved from "The Theosophical Society" at http://www.theosociety.org/pasadena/etgloss/etg-hp.htm.
- Rhys Davids, T.W. & William Stede (eds.) (1921-5). The Pali Text Society’s Pali–English Dictionary. Chipstead: Pali Text Society. Retrieved 2008-07-13 from "U. Chicago" at http://dsal.uchicago.edu/dictionaries/pali/.
- W. E. Soothill & L. Hodous (1937-2000). A Dictionary of Chinese Buddhist Terms. Delhi: Motilal Banarsidass. আইএসবিএন ৮১-২০৮-০৩১৯-১.
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Bullitt, John T. (2005). The Thirty-one Planes of Existence. Retrieved 2007-04-30 from "Access to Insight" at http://www.accesstoinsight.org/ptf/dhamma/sagga/loka.html.
- 31 Planes of Existence by Bhante Acara Suvanno
- 31 Planes of Existence - chart
