বিষয়বস্তুতে চলুন

কলাপাড়া উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২১°৫৮′৫৩″ উত্তর ৯০°১৪′২৭″ পূর্ব / ২১.৯৮১৩৯° উত্তর ৯০.২৪০৮৩° পূর্ব / 21.98139; 90.24083
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৪:৩৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (অর্থনীতি: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

কলাপাড়া
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২১°৫৮′৫৩″ উত্তর ৯০°১৪′২৭″ পূর্ব / ২১.৯৮১৩৯° উত্তর ৯০.২৪০৮৩° পূর্ব / 21.98139; 90.24083 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগবরিশাল বিভাগ
জেলাপটুয়াখালী জেলা
আয়তন
 • মোট৪৯১.৮৯ বর্গকিমি (১৮৯.৯২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট২,৩৭,৮৩১
 • জনঘনত্ব৪৮০/বর্গকিমি (১,৩০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫২.০৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
১০ ৭৮ ৬৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কলাপাড়া বা খেপুপাড়া বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অনেকে একে খেপুপাড়া নামেও চেনেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এই উপজেলায় অবস্থিত।

খেপুপাড়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলনের শুরুর দিককার উপজেলা খেপুপাড়া। সমবায়ের মাধ্যমে খেপুপাড়ায় ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বায়ুচালিত ধান ভাঙ্গানো কল। খেপুপাড়ার সমবায়ীরা সেখানে আরও গড়ে তুলেছেন তেল কল, ম্যাচ ফ্যাক্টরি, ছাপাখানা, সিনেমা হল এবং আরও অনেক কিছু। খেপুপাড়ার সমবায় আন্দোলন এখন ঝিমিয়ে পড়েছে।

খেপুপাড়ায় দেশের চারটি রাডার স্টেশনের একটি অবস্থিত। ১৯৭৬ সালে খেপুপাড়ায় বিদ্যুত পৌছেছে। টেলিফোন সুবিধাও পৌছে গেছে একইসময়ে।

অবস্থান

উত্তর ও পশ্চিমে আমতলী উপজেলা, পূর্বে রাবনাবাদ চ্যানেল ও গলাচিপা উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২১°৫৯'১০" উত্তর ৯০°১৪'৩২" পূর্ব /২১.৯৮৬১° উত্তর ৯০.২৪২২° পূর্ব

প্রশাসনিক এলাকাসমূহ

কলাপাড়া উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মোট ২টি থানার আওতাধীন।

ক্রম নং প্রশাসনিক থানা আওতাধীন এলাকা
০১ কলাপাড়া থানা পৌরসভা (১টি): কলাপাড়া
ইউনিয়ন (৮টি): ১নং চাকামইয়া, ২নং টিয়াখালী, ৩নং লালুয়া, ৪নং মিঠাগঞ্জ, ৫নং নীলগঞ্জ, ৮নং ধানখালী, ১০নং বালিয়াতলী এবং ১২নং চম্পাপুর
০২ মহিপুর থানা পৌরসভা (১টি): কুয়াকাটা
ইউনিয়ন (৪টি): ৬নং মহিপুর, ৭নং লতাচাপলী, ৯নং ধুলাসার এবং ১১নং ডালবুগঞ্জ

ইতিহাস

নামকরণঃ উপজেলার নাম কলাপাড়া হলেও খেপুপাড়া নামে সমানভাবে পরিচিত। খেপু ও কলাউ নামে রাখাইন দুই ভাই জঙ্গল কেটে এই অঞ্চল মানুষ বসবাসের উপযোগি করে তোলে। কথিত আছে উপজেলা শহরের মধ্য দিয়ে উত্তর দক্ষিণে প্রবাহিত একটি খালের দুই পাড়ে খেপু ও কলাউ বাস করত । পূর্ব পাড়ে কলাউ মগ ও পশ্চিম পাড়ে খেপু মগ। কলাউ মগের নামানুসারে পূর্ব পাড়ের বসতির নাম কলাপাড়া এবং খেপু মগের নামানুসারে পশ্চিম পাড়ের গ্রামের নাম হয় খেপুপাড়া।

খেপু ও কলাউ রাঙ্গাবালী থেকে এখানে এসেছে বলে জানা যায়। কলাউ ছিলেন বড় ভাই আর খেপু ছিলেন ছোট ভাই। দুই জন দুই পাড়ার মাতুব্বর ছিলেন। কলাউ মাতবর প্রায় ৮০ বৎসর বেঁচে ছিলেন। তাঁদের ঘর-বাড়ি ও সমাধি আন্ধারমানিক নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে।

দুই পাড়া বিভক্তকারী খালটি পুরাতন কাঠপট্টি স্লুইজ গেট থেকে শুরু করে কুমারপট্টি কালর্ভাট ও আখড়াবাড়ি কালভার্ট হয়ে চিংগড়িয়ার পাশ দিয়ে এখনো প্রবহমান। কালক্রমে উক্ত দুটি নাম একই শহরের স্থায়ী নামে রূপান্তরিত হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কলাপাড়া উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩৭,৮৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,২০,৫১৪ জন এবং মহিলা ১,১৭,৩১৭ জন। মোট পরিবার ৫৭,৫২৫টি।[]

শিক্ষা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কলাপাড়া উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫২%।[]

কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭১টি। কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ টি, নন রেজিঃ বেসরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় ৭ টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যাঃ ৪ টি, কিন্ডার গার্টেন ৪ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৯ টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪ টি, মহাবিদ্যালয় ( ডিগ্রি) ২ টি , মহিলা মহাবিদ্যালয় (ডিগ্রি) ১ টি, মহাবিদ্যালয় (এইচ,এস.,সি) ৩ টি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ৪ টি, দাখিল ও সিনিয়র মাদ্রাসা সংখ্যা ২৬ টি, এবতেদায়ি মাদ্রাসা ৩৭ টি।

অর্থনীতি

কলাপাড়ার মূল অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। তবে বেশিরভাগ মানুষ সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ বিক্রি করে এদের বেশিরভাগই সংসার চালায়। পাশাপাশি শুটকি তৈরি, ঘরে বসে মহিলারা ঝিনুকের মালা তৈরি, নকশি কাঁথা তৈরি করে থাকে। এছাড়াও এই উপজেলার অন্তর্গত কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র, তাই পর্যটকদের স্বার্থেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক হোটেল। এটাই এদের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। কুয়াকাটার মূল অর্থনীতি সমুদ্রে মাছ ধরা হলেও রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে।

বিবিধ

বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গঃ

১। মোজহার উদ্দিন বিশ্বাস, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় জমিদান করেছেন।

২। সৈয়দ মোঃ হাসেম, সাবেক এমপি।

৩। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রেজাউল করিম বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান, লালুয়া ইউপি।

৪। সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান।

৫। তানিয়া আহমেদ, নাট্যব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী ও পরিচালক।

৬। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব মোহাম্মদ বদিউর রহমান বন্টিন। সাবেক চেয়ারম্যান, চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদ।

৭। এ্যাডভোকেট হাবিবুল্লাহ বিশ্বাস( হাবলু বিশ্বাস)।

৮। মহিবুর রহমান সংসদ সদস্য।

আরও দেখুন

গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা:

১। কুয়াকাটা

২। পায়রা বন্দর

৩। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

৪। রাডার স্টেশন।

৫। পানি জাদুঘর।

৬। মিশ্রি পাড়া

৭। সরকারি মোজহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজ।

৮। শতবর্ষী লালুয়া বিশ্বাস বাড়ির স্থাপনা সমূূহ।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কলাপাড়া উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫ 
  2. "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ