ঈশ্বরবাদ
ঈশ্বর |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
ঈশ্বর সম্পর্কিত মৌলিক ধারণাদি |
সৃজক · পালক · ধ্বংসক · ভানেচ্ছা · একেশ্বর · দুরাত্মাঈশ্বর · জনকেশ্বর · স্থপতীশ্বর · অনাংশী · জননীশ্বর · পরমসত্ত্বা · প্রতিপালক · সর্ব · প্রভু · ত্রিত্ব · অজ্ঞেয় · ব্যাক্তিকেশ্বর বিভিন্ন ধর্মেইব্রাহিমীয় · ইহুদীয় · হিন্দু ধর্মে · জরাথুস্ত্রীয় ধর্মে · আজ্জাবাঝীয় · বৌদ্ধ ধর্মে · খ্রিস্টীয় · জৈন ধর্মে · শিখ ধর্মে · ইসলামীয় · বাহাই |
ঈশ্বর-বিশ্বাস সম্পর্কিত সাধারণ ধারণাসমূহ |
একেশ্বরবাদ · অনীহবাদ · নাস্তিক্যবাদ একাত্মবাদ · অজ্ঞেয়বাদ · সর্বেশ্বরবাদ · বহু-ঈশ্বরবাদ · আস্তিক্যবাদ · তন্ত্রবাদ · মরমীবাদ · অধিবিদ্যা · দুর্জ্ঞেয়বাদ · বিশ্বাসবাদ · ভূতবাদ |
ঐশ্বর্য্য বিষয়ক |
নিত্যতা · ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব · ঈশ্বরের লিঙ্গ ঈশ্বরের নাম · পরমকরুণাময়ত্ব অসীমশক্তিমানতা · সর্বস্থতা সর্বজ্ঞতা |
দৈনন্দিন জীবনচর্চায় ঈশ্বর |
বিশ্বাস · উপাসনা · সংযম · তীর্থভ্রমণ · ধর্মদান · প্রার্থনা |
ঈশ্বর সম্পর্কিত বিষয়াদি |
যন্ত্রণাহীন মৃত্যুবাদ · ঈশ্বরানুসূয়া স্নায়ুধর্মতত্ত্ব · অস্তিত্ত্ববাদ দর্শন · দুরাত্মাপ্রশ্ন ধর্ম · প্রত্যাদেশ · ধর্মশাস্ত্র জনগ্রাহী মাধ্যমাদিতে ঈশ্বর |
ঈশ্বরবাদ বা যৌক্তিক একেশ্বরবাদ (ইংরেজি: Deism) হল একটি দার্শনিক অবস্থান যা ধর্মীয় জ্ঞানের উৎস হিসেবে ধর্মগ্রন্থের অবতরণ এবং ঐশ্বরিক প্রতিনিধিদের প্রত্যাখ্যান করে এবং একইসাথে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, প্রাকৃতিক জগৎকে পর্যবেক্ষণ করা এবং তার কার্যকারণ বিশ্লেষণই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একক সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট।[১][২][৩][৪][৫] এটি এমন একটি বিশ্বাস যাতে বলা হয়, ঈশ্বর অবশ্যই আছেন কিন্তু তিনি মানুষকে কোনো কাজের নির্দেশ দেন না। ঈশ্বরবাদে আরও বলা হয় যে, মানুষের উচিত যুক্তি এবং কারণের উপর নির্ভর করা, পবিত্র ধর্মগ্রন্থভিত্তিক কোন ধর্মের উপর নয়। যারা ঈশ্বরবাদের অনুসরণ করে তাদের ঈশ্বরবাদী বলা হয়।
ঈশ্বরবাদীগণ বিশ্বাস করেন যে কোন এক শাশ্বত শক্তি বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। তবে তারা বিশ্বাস করে না যে, বিশ্বের সৃষ্টি কোন আকস্মিক ঘটনার ফলে ঘটেছে। তারা সাধারণত অলৌকিকতার মত অতিপ্রাকৃত ঘটনাগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। যেমন - ভূত, জ্বীন, জাদু ইত্যাদি। তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর বিশ্ব পরিচালনায় প্রাকৃতিক নীতির ব্যবস্থা করে রেখেছেন এবং সেগুলোতে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত হন না। ঈশ্বরবাদীগণ কুরআন ও বাইবেলের মত ধর্মগ্রন্থগুলোকে ঈশ্বরের রচিত নয় বরং মানব রচিত বলে মনে করেন।
ইতিহাসের বিখ্যাত ঈশ্বরবাদীদের মধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি থমাস জেফারসন,[৬] মার্কিন রাজনৈতিক নেতা ও বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, বিখ্যাত ফরাসি বিজেতা নেপোলিয়ন,ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার,[৬] ব্রিটিশ দার্শনিক টমাস পেইন, এবং অভিনেতা মার্লোন ব্র্যান্ডো অন্যতম।
ধ্রুপদী ঈশ্বরবাদের ইতিহাস
[সম্পাদনা]ঈশ্বরবাদের আবির্ভাবের ঐতিহাসিক পটভূমি
[সম্পাদনা]প্রাচীন সময় থেকে ঈশ্বরবাদী চিন্তাধারা বিদ্যমান ছিল। প্রাচীন গ্রিকদের মধ্যে হেরাক্লিটাস একটি প্রতীক ও যৌক্তিক রীতির ধারণা করেন এবং বলেন, "জ্ঞান, যা দ্বারা সকল বিষয়ে সকল কিছু চালিত হয়" তা "ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত উভয় ক্ষেত্রেই তা জিউস (ঈশ্বর)" বলে গণ্য হত। প্লেটোর বিবেচনায় ঈশ্বর হলেন স্থপতি। প্রাচীন গ্রিসের বাইরে অনেক সংস্কৃতিতে সম্মানের সহিত ঈশ্বরবাদ সম্পর্কিত কিছু মতবাদ রয়েছে। যাই হোক, "ঈশ্বরবাদ" শব্দ দিয়ে বর্তমানে যা বুঝানো হয় তা ১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপে, বিশেষ করে ব্রিটেনে, প্রাকৃতিক ধর্মতত্ত্ব বা মুক্তচিন্তার আন্দোলন বুঝাতে ব্যবহৃত হত।[৭]
ঈশ্বরবাদের পূর্বসূচনা
[সম্পাদনা]বাইবেলের সমালোচনা বিষয়ক প্রারম্ভিক লেখনীতে, যেমন টমাস হবসের লেভিয়াথান ও স্পিনোজার থিওলজিকো-পলিটিকাল ট্রিটিজ, এবং অন্যান্য অল্প-পরিচিত লেখক, যেমন রিচার্ড সিমন, ও আইজাক লা পেইরেরের লেখনী সমালোচনামূলক ঈশ্বরবাদের উন্নয়নের ভিত শক্ত করেছে।
ঈশ্বরবাদের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বসূচনা ছিল চারবারির প্রথম লর্ড এডওয়ার্ড হারবার্টের (মৃ. ১৬৪৮) লেখনী। তাকে "ইংরেজি ঈশ্বরবাদের জনক" বলা হয়, এবং তার বই দে ভেরিতেত (সত্যে, যা বহিঃপ্রকাশ, সম্ভাব্যতা, ও মিথ্যা থেকে ভিন্ন) (১৬২৪) ছিল ঈশ্বরবাদ সম্পর্কিত প্রথম প্রধান লেখনী।[৮][৯]
ধর্ম লোকে হারবার্ট পাঁচটি বিষয় বিশ্বাস করতেন[১০]
- একজন প্রধান ঈশ্বর রয়েছেন।
- তার উপাসনা করতে হবে।
- ধর্ম ও ধার্মিকতা স্বর্গীয় উপাসনার প্রধান অংশ
- আমাদেরকে আমাদের পাপের জন্য দুঃখিত হতে হবে এবং পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
- স্বর্গীয় ঈশ্বর ইহকালে ও পরকালে পুরস্কার ও শাস্তির বিধান করেন
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Deism"। Encyclopedia Britannica। ২০১২।
In general, Deism refers to what can be called natural religion, the acceptance of a certain body of religious knowledge that is inborn in every person or that can be acquired by the use of reason and the rejection of religious knowledge when it is acquired through either revelation or the teaching of any church.
- ↑ "Deism"। Jewish Encyclopedia। ১৯০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১০।
DEISM: A system of belief which posits God's existence as the cause of all things, and admits His perfection, but rejects Divine revelation and government, proclaiming the all-sufficiency of natural laws.
- ↑ Aveling, Francis, সম্পাদক (১৯০৮)। "Deism"। The Catholic Encyclopedia। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১০।
The deists were what nowadays would be called freethinkers, a name, indeed, by which they were not infrequently known; and they can only be classed together wholly in the main attitude that they adopted, viz. in agreeing to cast off the trammels of authoritative religious teaching in favour of a free and purely rationalistic speculation.... Deism, in its every manifestation was opposed to the current and traditional teaching of revealed religion.
- ↑ "Webster's 1828 Dictionary"। ১৮২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-১০।
The doctrine or creed of a deist; the belief or system of religious opinions of those who acknowledge the existence of one God, but deny revelation: or deism is the belief in natural religion only, or those truths, in doctrine and practice, which man is to discover by the light of reason, independent and exclusive of any revelation from God. Hence deism implies infidelity or a disbelief in the divine origin of the scriptures.
- ↑ "Deism"। The Encyclopedia of Christian Civilization। ২০১১। ডিওআই:10.1002/9780470670606.wbecc0408/abstract।
Deism is a rationalistic, critical approach to theism with an emphasis on natural theology. The Deists attempted to reduce religion to what they regarded as its most foundational, rationally justifiable elements. Deism is not, strictly speaking, the teaching that God wound up the world like a watch and let it run on its own, though that teaching was embraced by some within the movement.
- ↑ ক খ Gay, Peter (১৯৬৬)। "A Religion of Rationality"। Age of Enlightenment। Time-Life Books। পৃষ্ঠা 36।
- ↑ "The Challenge of the Seventeenth Century" in The Historical Jesus Question by Gregory W. Dawes (Westminster: John Knox Press, 2001). Good discussions of individual deist writers can be found in The Seventeenth Century Background and The Eighteenth Century Background by Basil Willey.
- ↑ Willey, Basil (1934). The Seventeenth Century Background.
- ↑ Orr, John (1934). English Deism: Its Roots and Its Fruits. pp. 59 ff.
- ↑ Justo L. González (1984). The Reformation to the present day. HarperCollins. p. 190. আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৬-০৬৩৩১৬-৫.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ঈশ্বরবাদ - দর্শনের ইন্টারনেট বিশ্বকোষ (ইংরেজি ভাষায়)
- ঈশ্বরবাদীর বিশ্ব সংঘ (ইংরেজি ভাষায়)
ধর্ম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |