ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাতীয় মহাসড়ক ১০৫ shield}}
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা সিটি বাইপাস
পথের তথ্য
এএইচ১-এর অংশ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত
প্রধান সংযোগস্থল
উত্তর প্রান্ত:কড্ডা, গাজীপুর
দক্ষিণ প্রান্ত:মদনপুর, নারায়ণগঞ্জ
অবস্থান
প্রধান শহরঢাকা
মহাসড়ক ব্যবস্থা

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে হলো ঢাকা বিভাগে অবস্থিত ৪৮ কিমি (৩০ মা) বিশিষ্ট একটি নির্মাণাধীন নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশযোগ্য মহাসড়ক। প্রকল্পটি এশিয়ান হাইওয়ে ১-এর একটি অংশ। এটি নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবেশ সড়ক ও মহাসড়কে ভারী যানজট কমানো।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের আগে এখানে ঢাকা বাড়ায়বাইপাস সড়ক নামে একটি রাস্তা ছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার অনেক আগে থেকেই এই সড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরের কথা ভাবছিলো এবং এ নিয়ে নানা আলোচনাও চলছিলো।[১] 'সাপোর্ট টু জয়দেবপুর–দেবগ্রাম–ভুলতা–মদনপুর রোড' নামের রূপান্তর প্রকল্পটি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৪ বছর পর প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।[২] প্রাথমিকভাবে এই সড়কে সরকার ৪৫ কিলোমিটার উড়ালসেতু মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৳২৮২১ কোটি। কিন্তু দুই মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।[৩] ৬ ডিসেম্বর ২০১৮-এ সরকার সড়কটিকে একটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তর করার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ, শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাথে একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, সবাই প্রাথমিকভাবে সম্মত হয় যে এই চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি ৳৩৫০০ কোটি নির্মিত হবে। এতে সরকারের বিনিয়োগ ছিলো ৳২৩০ কোটি। নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে ওভারপাস, আন্ডারপাস ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিলো।[১] এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শের জন্য দায়বদ্ধ।[৪] যাইহোক, ভূমি অধিগ্রহণ এবং অর্থায়ন কাজের জন্য জুন ২০২০-এর প্রকল্পের সময়সীমা পেরিয়ে যায়। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরও ৪ বছর বাড়ানো হয়। এছাড়াও সরকার প্রকল্প বাজেটে তার অংশে বিনিয়োগ আরো ৳৬৭৪.৩৪ কোটি বাড়ায়।[২] ২২ জুন ২০২১ তারিখে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি সংশোধনের পরে প্রকল্পটি আবার অনুমোদন করে।[৫] ২৪ এপ্রিল ২০২২-এ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের জন্য ৳১০৭৫ কোটি ঋণ সহায়তা ঘোষণা করে এবং তারা ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৳৪২.৫০ কোটি প্রদান করে। সরকার বাজেটে তার নিজস্ব বিনিয়োগ আরও ৳২৭৫.৬৬ কোটি বাড়ায়।[৬] সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ, শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করে। প্রকল্পের জন্য গঠিত কোম্পানিকে এক্সপ্রেসওয়ে স্থাপনের পর ২৩ বছর ধরে টোল আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।[৭]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

২০২১ সালের জুনে দ্য ডেইলি স্টার জানায় যে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ৭৩% সম্পূর্ণ হয়েছে।[২] ২৪ এপ্রিল ২০২২-এর পর বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের ঋণ সহায়তার কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের গতি বেড়ে যায়।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হক, নিজামুল (২০ জানুয়ারি ২০১৯)। "ঢাকা বাইপাস রূপান্তর হচ্ছে এক্সপ্রেস সড়কে"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  2. অধিকারী, তুহিন শুভ্র (২২ জুন ২০২১)। "ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ অবশেষে শুরু"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  3. সাদিক, মফিজুল (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "৪৫ কিলোমিটার উড়াল মহাসড়ক নিয়ে ২ বিভাগের টানাপড়েন!"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  4. "ঢাকা বাইপাস সড়ক উন্নয়নের দায়িত্ব পেল ৩ কোম্পানি"নয়া দিগন্ত। ৪ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  5. "ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে"জনকণ্ঠ। ২৭ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  6. "গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস বাইপাস হচ্ছে"যুগান্তর। ২৪ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  7. শিকদার, খলিল (১ জুন ২০২২)। "৮ লেনের ঢাকা বাইপাস"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২