রেলওয়ে পাকশী বিভাগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশে ২,৮০০ কিলোমিটার রেললাইন পরিচালনা করা হয় দুটি রেলওয়ে অঞ্চলের চারটি বিভাগের মাধ্যমে। বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ, রাজশাহী বিভাগখুলনা বিভাগ নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অঞ্চলটি গঠিত এবং ঢাকা বিভাগ, ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ নিয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে গঠিত। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে রেলপথ রয়েছে ১৪২৭ কিলোমিটার। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে দুইটি বিভাগ রয়েছে একটি হচ্ছে রেলওয়ে পাকশী বিভাগ[১] অপরটি হচ্ছে রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

পরিধি[সম্পাদনা]

গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এবং ঈশ্বরদী হয়ে রাজশাহী এবং খুলনা পর্যন্ত বিস্তৃত পাকশী বিভাগ। এই বিভাগের আওতায় রয়েছে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়া (আংশিক), জয়পুরহাট, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলা। পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে এই বিভাগের বিভাগীয় অফিস অবস্থিত।[২]

স্টেশন সংখ্যা[সম্পাদনা]

রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ২১টি জেলায় ১১৩টি বি ক্লাস ও ৩৮টি ডি ক্লাস স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৩টি স্টেশন।[২]

সেকশন সমূহ[সম্পাদনা]

রেলওয়ের পাকশী বিভাগ ১০টি সেকশনে বিভক্ত। যথা:

  1. খুলনা-ঈশ্বরদী সেকশন
  2. যশোর-বেনাপোল সেকশন
  3. ঈশ্বরদী-সান্তাহার সেকশন
  4. সান্তাহার-পার্বতীপুর সেকশন
  5. পার্বতীপুর-চিলাহাটি সেকশন
  6. আমনুরা-রহনপুর সেকশন
  7. আব্দুলপুর-আমনুরা-চাপাইনবাবগঞ্জ সেকশন
  8. পোড়াদহ-গোয়ালন্দ ঘাট সেকশন
  9. কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশন
  10. পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর সেকশন
  11. ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ সেকশন।[২] এবং
  12. জামতৈল-জয়দেবপুর সেকশন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "রেলওয়ের পাকশী বিভাগে যোগ হচ্ছে ১২০টি কোচ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "পাকশী বিভাগে বন্ধ ৪৩ স্টেশন | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০১৮-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৯