জি এম মুশফিকুর রহমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জি এম মুশফিকুর রহমান
জন্ম৩০ নভেম্বর ১৯৬৬
পারুলীয়া গ্রাম, সাতক্ষীরা জেলা, বাংলাদেশ
মৃত্যু৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯
লক্ষ্মীছড়ি আর্মি ক্যাম্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৮৯ পর্যন্ত
পদমর্যাদালেফটেন্যান্ট
ইউনিট১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি
পুরস্কারবীর উত্তম

জি এম মুশফিকুর রহমান বীর উত্তম (১৯৬৬-১৯৮৯) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট ছিলেন।[১][২][৩]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

৩০ নভেম্বর ১৯৬৬ সাতক্ষীরা জেলার পারুলীয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আব্বাস আলী গাজী। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫তম বিএমএ লংকোর্সে যোগদান করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারিতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি বাঘাইহাট জোনের লক্ষ্মীছড়ি ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।[৪]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

জি এম মুশফিকুর রহমান ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অফিসার ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ১, ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। প্রতিদিনই শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হতো। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ রাতে জি এম মুশফিকুর রহমান লক্ষ্মীছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে ১৭ জন রেইডার্স নিয়ে চেলাছড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলেন। ক্যাম্পে যাবার পথে শান্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে হারান তিনি সহ ৩ জন।[৪][৫]

বীর উত্তম খেতাব লাভ[সম্পাদনা]

২৪ সেপ্টেম্বর তাকে 'বীর উত্তম' উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে 'বীর উত্তম' উপাধি পান তিনি।[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "স্বাধীনতার পর একমাত্র বীর উত্তম লে. মুশফিকের আত্মত্যাগের কাহিনী"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৩ 
  2. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শিক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত (মে ২০১৫)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাস। ৩৬/৭ বাংলাবাজার, ঢাকা: এশিয়া পাবলিকেশনস। পৃষ্ঠা ১ম থেকে ৫ম খণ্ড। 
  3. History of Counter Insurgency Operations in Chittagong Hill Tracts (1976-1999)। Appendix 4E1-1। পৃষ্ঠা খণ্ড–২, অধ্যায় ৩, ৪, ৫। 
  4. মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। "পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ-পরিস্থিতির মূল্যায়ন"।
  5. জি এম মুশফিকুর রহমান, বীর উত্তম। চট্টগ্রাম সেনানিবাস, চট্টগ্রাম।: সদরদপ্তর, ২৪ পদাতিক ডিভিশন।