সশস্ত্র বাহিনী দিবস (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস
Armed Forces Day
ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণ (শাশ্বত শিখা), যেখানে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়
আনুষ্ঠানিক নামসশস্ত্র বাহিনী দিবস
পালনকারীবাংলাদেশবাংলাদেশ
তাৎপর্যবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা উদযাপন
উদযাপনরাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান
তারিখ২১ নভেম্বর
সংঘটনবার্ষিক

সশস্ত্র বাহিনী দিবস সাংবার্ষিকভিত্তিতে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।

অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ-ভারতের সেনাদের নিয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর প্রায় তিরানব্বই হাজার সেনা আনুষ্ঠানিকভাবে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। এ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ-এর পরিসমাপ্তি ঘটে।

কর্মসূচী পালন[সম্পাদনা]

ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত শিখা অনির্বাণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের পুষ্পস্তবকের মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। বিকেলে সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, বিরোধী দলীয় নেতা এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ সংবর্ধনায় সমবেত হন। অন্যান্য সেনানিবাস, নৌ ও বিমানঘাঁটিতে অনুরূপ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে অনির্বাণ নামীয় বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রধানমন্ত্রী ও তিন বাহিনীর প্রধান কর্তৃক পুরস্কৃত করা হয়। সকল সেনা ঘাঁটিতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সেনাবিভাগের প্রকাশনা থেকে যুদ্ধসামরিক বাহিনী সম্পর্কীয় বিশেষ নিবন্ধ সহযোগে প্রকাশনা বের করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]