শরিফুল হক ডালিম
শরিফুল হক ডালিম | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪৬ |
জাতীয়তা | |
পেশা | সামরিক কর্মকর্তা |
কর্মজীবন | ১৯৬৪–১৯৭৫[১] |
প্রতিষ্ঠান | |
অপরাধের অভিযোগ | শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড |
অপরাধের শাস্তি | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত |
অপরাধীর অবস্থা | পলাতক |
দাম্পত্য সঙ্গী | নিম্মি ডালিম |
শরিফুল হক ডালিম (জন্ম: ১৯৪৬[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ) মেজর ডালিম নামে পরিচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। [২] শেখ মুজিব নিহত হবার পর মেজর ডালিম পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) বাংলাদেশে বেতারে নিজেই হত্যার সাথে জড়িত থাকার ঘোষণা দেন। ৭৫'র পরবর্তি বিভিন্ন সরকার তাকে বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে তাকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান
[সম্পাদনা]শরিফুল হক ডালিম প্রথমে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর তিনি বিমান বাহিনী থেকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। । [২]
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) ছিলেন। ২০ এপ্রিল, ১৯৭১ তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। [২][৩] মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও কৃতিত্বের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
অপরাধ
[সম্পাদনা]শেখ মুজিব হত্যা
[সম্পাদনা]৭৫'-এ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সাথে মেজর ডালিম সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। [২]
শেখ মুজিব হত্যা মামলা
[সম্পাদনা]শেখ মুজিব হত্যা মামলায় মেজর ডালিমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন। [৪]
৭৫' পরবর্তী অবস্থান
[সম্পাদনা]- ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে সেনাবাহিনীতে পুণঃনিয়োগ করা হয় এবং লেঃ কর্ণেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
- ১৯৭৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত হবার পর গণচীনে তাকে কূটনীতিক হিসাবে প্রেরণ করা হয়।
- ১৯৮০ সালে লন্ডন হাই কমিশনের সাথে তিনি এ্যটাচ্ড হন।
- ১৯৮২ সালে কমিশনার হিসাবে হংকং এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
- ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রদূত হিসাবে কেনিয়ায় পোষ্টেড হন। একই সাথে তাকে তানজানিয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়।
- ইউনেপ (UNEP) এবং হেবিটাট (HABITAT) এ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
- সোমালিয়ায় যুদ্ধকালীন সময়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসাবে প্রেরিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের বিশেষ দায়িত্বও তিনি পালন করেন।
- ১৯৯৫ সালে তিনি সরকারি চাকুরি থেকে অবসর লাভ করেন।
সূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;md
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ ঘ "মেজর ডালিমের ওয়েবসাইট"। ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ৬২। আইএসবিএন 9789849025375।
- ↑ "রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যা"। প্রথম আলো। ১৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |