মোহাম্মদ রুহুল আমিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Abdur Rahman Polash (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Abdur Rahman Polash (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
রুহুম আমিন বাংলাদেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন
রুহুম আমিন বাংলাদেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন

== যেভাবে শহীদ হলেন ==

[[ডিসেম্বর ৬|৬ ডিসেম্বর]] মুক্তিবাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের পর 'পদ্মা', 'পলাশ' এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর একটি গানবোট 'পাভেল' খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌঘাঁটি পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। [[ডিসেম্বর ১০|১০ ডিসেম্বর]] দুপুর ১২টার দিকে গানবোটগুলো [[খুলনা]] শিপইয়ার্ডের কাছে এলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৩টি জঙ্গিবিমান জাহাজগুলোর দিকে ছুটে আসে। পাকিস্তানী বিমান ভেবে পদ্মা ও পলাশ থেকে গুলি করার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযানের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন মনেন্দ্রনাথ ভারতীয় বিমান মনে করে গুলিবর্ষণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিমানগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে নেমে আসে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জাহাজগুলোর উপর আচমকা গুলিবর্ষণ শুরু করে। কিন্তু ভারতীয় জাহাজটি সম্পূর্ন অক্ষত থেকে যায়, কারণ বিমানগুলো সেটিকে লক্ষ করে হামলাই করেনি। প্রথম গোলা এসে পড়ে 'পদ্মা'য় এবং পরবর্তীতে 'পলাশে'। গোলা সরাসরি 'পদ্মা'র ইঞ্জিন রুমে আঘাত করে ইঞ্জিন বিধ্বস্ত করে। হতাহত হয় অনেক নাবিক। 'পদ্মা'-র পরিণতিতে পলাশের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রায় চৌধুরী নাবিকদের জাহাজ ত্যাগের নির্দেশ দেন। রুহুল আমিন এই আদেশে ক্ষিপ্ত হন। তিনি উপস্থিত সবাইকে যুদ্ধ বন্ধ না করার আহ্বান করেন। কামানের ক্রুদের বিমানের দিকে গুলি ছুঁড়তে বলে ইঞ্জিন রুমে ফিরে আসেন। কিন্তু অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। বিমানগুলো উপর্যুপরি বোমাবর্ষণ করে পলাশের ইঞ্জিনরুম ধ্বংস করে দেয়। আহত হন তিনি। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান 'পলাশ'কে বাঁচানোর। তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংশাবশেষ পিছে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসা নদীতে। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌঁছান। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে রাজাকারের দল অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহত এই বীর সন্তান রাজাকারদের হাতে শহীদ হন। তার মৃতদেহ বেশকিছুদিন সেখানে পড়ে ছিলো অযত্নে, অবহেলায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে তাকে দাফন করে এবং সেখান একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শিরোনাম= বাংলাদেশে ও সাত বীরশ্রেষ্ঠ'র কথা |শেষাংশ= |প্রথমাংশ= |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=২০০৭ |প্রকাশক= জনপ্রিয় প্রকাশনী, ৩৮ বাংলাবাজার (২য় তলা) |অবস্থান= ঢাকা|আইএসবিএন= ৯৮৪-৭০০১৫-০০৭৩-০|পাতা= ৪০|পাতাসমূহ= |সংগ্রহের-তারিখ= |ইউআরএল=}}</ref>


== বীরশ্রেষ্ঠ সম্মান ==
== বীরশ্রেষ্ঠ সম্মান ==

২২:০৯, ১৩ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রুহুম আমিন বাংলাদেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন

বীরশ্রেষ্ঠ সম্মান

১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। রুহুল আমিন সেই সাতজনের অন্যতম।[১]

পুরস্কার ও সম্মাননা

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নামে রো রো ফেরির নামকরণ করা হয়েছে।[২] বীরশ্রেষ্ঠ আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের জন্মস্থান নোয়াখালীর বাগপাদুরা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে তার নামে আমিননগর[৩]৷ বাড়ির সম্মুখে বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের দেয়া ২০ শতাংশ জমিতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা পরিষদ ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার৷ রুহুল আমিনের নামে চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।[৪]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল"বাংলাপিডিয়াবাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। ১৮ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "Traffic chaos before Eid"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৫ 
  3. "Trust Bank Limited"atm.web.com.bd। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৫ 
  4. "Stadium / Bir Shrestha Shahid Ruhul Amin Stadium"thecricketsport.com। the Cricket Sport। ১৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ