দিল্লী সালতানাত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
EmausBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.3) (বট যোগ করছে: he:סולטאנות דלהי
Rubinbot (আলোচনা | অবদান)
১১৩ নং লাইন: ১১৩ নং লাইন:
[[fi:Delhin sulttaanikunta]]
[[fi:Delhin sulttaanikunta]]
[[fr:Sultanat de Delhi]]
[[fr:Sultanat de Delhi]]
[[he:סולטאנות דלהי]]
[[he:סולטנות דלהי]]
[[hi:दिल्ली सल्तनत]]
[[hi:दिल्ली सल्तनत]]
[[hu:Delhi Szultanátus]]
[[hu:Delhi Szultanátus]]

২২:১৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দিল্লি সুলতানি

دلی سلطنت
दिल्ली सलतनत
১২০৬–১৫২৬
দিল্লি সুলতানির ঐতিহাসিক মানচিত্র
দিল্লি সুলতানির ঐতিহাসিক মানচিত্র
রাজধানীদিল্লি
ধর্ম
সুন্নী ইসলাম হানাফি ফিকহ্‌
সরকাররাজতন্ত্র
সুলতান 
• ১২০৬-১২১০
কুতুবুদ্দিন আইবক
• ১৫২৭-১৫২৬
ইব্রাহিম লোদি
ঐতিহাসিক যুগমধ্যযুগ
• প্রতিষ্ঠা
১২০৬
• বিলুপ্ত
১৫২৬
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
মোঙ্গল সাম্রাজ্য
মুঘল সাম্রাজ্য

১২০৬ থেকে ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে রাজত্বকারী একাধিক মুসলিম রাজ্য ও সাম্রাজ্যগুলিকে দিল্লি সুলতানি বা দিল্লি সুলতানেৎ নামে অভিহিত করা হয়। এই সময় বিভিন্ন তুর্কিপাশতুন (আফগান) রাজবংশ দিল্লি শাসন করে। এই রাজ্য ও সাম্রাজ্যগুলি হল: মেমলুক রাজবংশ (১২০৬-৯০), খলজি রাজবংশ (১২৯০-১৩২০), তুঘলক রাজবংশ (১৩২০-১৪১৩), সৈয়দ রাজবংশ (১৪১৩-৫১), এবং লোদি রাজবংশ (১৪৫১-১৫২৬)। ১৫২৬ সালে দিল্লি সুলতানি উত্থানশীল মুঘল সাম্রাজ্যের সঙ্গে মিশে যায়।

মেমলুক

মেমলুক রাজত্বকালেই নির্মিত হয় দিল্লির বিখ্যাত কুতুবমিনার

ভারতে তুর্কি আধিপত্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গজনির শাসনকর্তা মহম্মদ ঘুরি। ভারত বিজয়ের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে মুলতানউচ্ বিজয়ের মাধ্যমে তিনি ভারতে পদার্পণ করেন। এরপর একে একে পেশাওয়ার, লাহোরপশ্চিম পাঞ্জাব জয় করেন। ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে থানেশ্বরের নিকট তরাইনের যুদ্ধক্ষেত্রে দিল্লি ও আজমেঢ়ের চৌহানবংশীয় রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের সম্মুখীন হন। তরাইনের প্রথম যুদ্ধে মহম্মদ ঘুরির বাহিনী পৃথ্বীরাজের বাহিনীর কাছে সম্পূর্ণ পরাজিত হলেও পরের বছর (১১৯২ খ্রিস্টাব্দ) পৃথ্বীরাজ চৌহান মহম্মদ ঘুরির হাতে পরাজিত ও নিহত হন। অতঃপর ভারতে তাঁর বিজিত স্থানগুলির শাসনভার নিজের বিশ্বস্ত অনুচর কুতুবুদ্দিন আইবকের হাতে অর্পণ করে গজনি প্রত্যাবর্তন করেন মহম্মদ ঘুরি। কুতুবুদ্দিনের নেতৃত্বে মিরাট, দিল্লি, রণথাম্বোর, গুজরাট, বুন্দেলখণ্ড প্রভৃতি অঞ্চল অধিকৃত হয়। তাঁর অন্যতম সেনাপতি ইখতিয়াউদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে বিহার ও ১২০৫-০৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা জয় করেন। এইভাবে উত্তর ভারতের এক বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে প্রত্যক্ষ মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

কুতুবুদ্দিন আইবক (১২০৬-১০ খ্রিস্টাব্দ)

১২০৬ খ্রিস্টাব্দে নিঃসন্তান মহম্মদ ঘুরি মৃত্যু হলে গজনির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে কুতুবুদ্দিন আইবক নিজেকে স্বাধীন সার্বভৌম নরপতি ঘোষণা করেন। ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘সুলতান’ উপাধি গ্রহণ করেন। তাঁর সিংহাসনারোহণের ফলে দিল্লিতে স্বাধীন সুলতানি শাসনের গোড়াপত্তন হয়। ‘আইবক’ কথাটির অর্থ হল ক্রীতদাস। মহম্মদ ঘুরি কুতুবুদ্দিন আইবককে ক্রীতদাস হিসেবে ক্রয় করেছিলেন। এই কারণে ইংরেজ ঐতিহাসিকরা তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজবংশকে দাসবংশ নামে এবং ১২০৬ থেকে ১২৯০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়কে দাসবংশের শাসনকাল হিসেবে অভিহিত করেন। আধুনিক ঐতিহাসিকগণ অবশ্য সার্বভৌম সুলতান কুতুবুদ্দিনের প্রতিষ্ঠিত রাজবংশকে দাসবংশ হিসেবে চিহ্নিত করার পক্ষপাতী নন।

সিংহাসনে আরোহণের পর কুতুবুদ্দিন আইবক মাত্র চার বছর জীবিত ছিলেন। এই সময়কালে তিনি রাজ্য বিজয় বা প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ কোনো কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। তবে দানশীলতার জন্য তিনি লাখবক্স বা লক্ষদাতা নামে পরিচিত ছিলেন। দিল্লি ও আজমেঢ়ে নির্মিত তাঁর দুটি মসজিদ ইসলামের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও শিল্পানুরাগের সাক্ষ্যবহন করছে। এছাড়া দিল্লির উপকণ্ঠে খাজা কুতুবুদ্দিন নামক জনৈক মুসলিম সন্তের স্মৃতিতে তিনি এক স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই স্তম্ভটি বর্তমানে কুতুবমিনার নামে পরিচিত।

ইলতুৎমিস (১২১১-৩৬ খ্রিস্টাব্দ)

কুতুবুদ্দিন আইবকের মৃত্যুর পর ১২১১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর অকর্মণ্য দত্তকপুত্র আরাম শাহ্‌কে সিংহাসনচ্যুত করে দিল্লির মসনদে বসেন কুতুবুদ্দিনের জামাতা ইলতুৎমিস। প্রথম জীবনে ইলতুৎমিস ছিলেন কুতুবুদ্দিনের ক্রীতদাস। পরে তাঁর কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতায় মুগ্ধ হয়ে কুতুবুদ্দিন তাঁর সঙ্গে নিজ কন্যার বিবাহ দান করে তাঁকে বদাউনের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন।

সিংহাসনে আরোহণের পর ইলতুৎমিসকে একাধিক বৈদেশিক আক্রমণ ও আঞ্চলিক বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু ইলতুৎমিস কঠোর হাতে সমস্ত বিদ্রোহ দমন করেন ও বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করেন। শুধু তাই নয় উজ্জয়িনী সহ বেশ কিছু নতুন অঞ্চলও তিনি সুলতানির অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কারণে ভারতের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল মোঙ্গল সেনানায়ক চেঙ্গিজ খাঁর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়।

১২২৯ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদের খলিফা তাঁকে ‘সুলতান-ই-আজম’ উপাধি দিলে দিল্লি সুলতানির গৌরব বৃদ্ধি পায় এবং এই সুলতানি স্বতন্ত্র ও সার্বভৌম অস্তিত্ব মুসলিম জগতে স্বীকৃত হয়। কৃতজ্ঞতাবশত ইলতুৎমিস তাঁর মুদ্রায় নিজেকে ‘খলিফার সেনাপতি’ বলে উল্লেখ করেন।

রাজিয়া সুলতানা (১২৩৬-৪০ খ্রিস্টাব্দ)

খলজি

তুঘলক

অর্থব্যবস্থা

সুলতানা

মোঙ্গল আগ্রাসন

সুলতানির পতন

তথ্যসূত্র

সাহিত্য

বহিঃসংযোগ