সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন | |
---|---|
সংক্ষেপে | এ আই এম আই এম |
প্রেসিডেন্ট | আসাদউদ্দিন ওয়াইসি |
প্রতিষ্ঠাতা | নবাব মাহমুদ নওয়াজ খান |
প্রতিষ্ঠা | ১২ নভেম্বর ১৯২৭ |
সদর দপ্তর | দারুসালাম, আঘাপুরা, হায়দ্রাবাদ, তেলঙ্গানা, ভারত. |
সদস্যপদ | 1,08,473 (2018)[১] |
মতাদর্শ | ইসলামী গণতন্ত্র
রক্ষণশীলতা মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের এডভোকেসি মুসলমান ও দলিতদের অধিকার রক্ষা করা,[১] |
লোকসভা | ২ / ৫৪৫
|
রাজ্যসভা | ০ / ২৪৫
|
তেলঙ্গানা | ৭ / ১১৯
|
মহারাষ্ট্র | ২ / ২৯৪
|
বিহার বিধান সভা | ১ / ২৪৩
|
নির্বাচনী প্রতীক | |
![]() | |
ওয়েবসাইট | |
www |
সর্বভারতীয় মজলিসে-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা এম আই এম (অনুবাদ: মুসলিম ইউনিয়ন পরিষদের অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল) ভারতের স্বায়ত্তশাসনের রাজধানী তেলঙ্গানার একটি আঞ্চলিক ভিত্তিক রাজনৈতিক দল। এর প্রধান কার্যালয় আঘাপুর হায়দ্রাবাদ তেলঙ্গানায়।
নীতি[সম্পাদনা]
‘মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ ও সংহত করার কথা বলে।[২]
প্রাক-ইতিহাস[সম্পাদনা]
নিজাম শাসিত হায়দরাবাদে ১৯২৭ সালে মিমের জন্ম। উসমান আলি খান, সপ্তম আসাফ জাহর পরামর্শে নবাব মেহমুদ নওয়াজ খান দলটি গঠন করেন। ১৯৩৮ সালে বাহাদুর ইয়ার জং মিমের সভাপতি নির্বাচিত হলে দলের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক চরিত্র আরও প্রকট হয়। বাহাদুর জঙের মৃত্যুর পরে (১৯৪৪) সভাপতি হন কাসমি রিজভি। এই রিজভির নেতৃত্বাধীন ‘রাজাকার’রাই ছিল ইসলামি আধাসেনা, যারা হায়দরাবাদের ভারতভুক্তির বিরোধিতা করে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয় ‘ঝটিকা বাহিনী’ হিসেবে। মিম চেয়েছিল, হায়দরাবাদ হবে স্বাধীন ‘দক্ষিণ পাকিস্তান’। ১৯৪৮ সালে মিম নিষিদ্ধ হয়। রিজভি ন’বছর কারাবাসের পরে দেশত্যাগ করে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার শর্তে মুক্তি পান। দেশত্যাগের আগে রিজভি মিমের দায়িত্ব তাঁর উকিল আবদুল ওয়াহিদ ওয়াইসির হাতে তুলে দেন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
আবদুল ওয়াহিদ ওয়াইসি ‘অল ইন্ডিয়া মজলিশ এ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ নামে দলের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তার পর থেকে মিমের নেতৃত্ব ওয়াইসি পরিবারের হাতে। আবদুল ওয়াহিদের মৃত্যুর পরে (১৯৭৫) তাঁর পুত্র সুলতান সালাউদ্দিন ওয়াইসি দলের দায়িত্ব নেন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লাগাতার সাত বার তিনি হায়দরাবাদ কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত সাংসদ ছিলেন। তাঁর পর তাঁর বড় ছেলে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি দলের সভাপতি হন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে যাচ্ছেন। তার আগে ১৯৯৪ থেকে দু’বার অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য ছিলেন। বিজেপি সরকার তাঁকে ২০১৪ সালে সংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত করে।
২০১৪ তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে এম আই এম সাত আসন জিতেছে এবং ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তেলেঙ্গানার রাজ্য-স্তরীয় দল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ MIM (২০১৪-০১-২০)। "About the Party | All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen"। Aimim.in। ২০১৪-০৬-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৫-১৭।
- ↑ "MIM"।
- ↑ Special Correspondent। "MIM gets State party recognition"। The Hindu।