বিষয়বস্তুতে চলুন

মিসবাহ-উল-হক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মিসবাহ উল হক থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মিসবাহ-উল-হক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মিসবাহ-উল-হক খান নিয়াজী
জন্ম (1974-05-28) ২৮ মে ১৯৭৪ (বয়স ৫০)
মিয়ানওয়ালী, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৬)
৮ মার্চ ২০০১ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৩-২৬ অক্টোবর ২০১৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪২)
২৭ এপ্রিল ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২০ ডিসেম্বর ২০১৩ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই শার্ট নং২২
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭)
২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টি২০আই২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৮–বর্তমানবালুচিস্তান
২০০৬–২০০৮পাঞ্জাব
২০০৩–বর্তমানফয়সালাবাদ
২০০৩–বর্তমানসুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন
২০০০–২০০৩খান রিচার্চ ল্যাবরেটরিজ ক্রিকেট টিম
১৯৯৮–২০০১সারগোদা ক্রিকেট দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৪ ১৪১ ৩৯ ১৮৯
রানের সংখ্যা ২,৯৮৯ ৪,৩৮৪ ৭৮৮ ১৩,৭২৭
ব্যাটিং গড় ৪৭.৪৪ ৪৫.১৯ ৩৭.৫২ ৫০.৪৬
১০০/৫০ ৫/২২ ০/৩৩ –/৩ ৩৭/৭৩
সর্বোচ্চ রান ১৬১* ৯৬* ৮৭* ৭৮৪
বল করেছে ২৪ ৩১৮
উইকেট
বোলিং গড় ৮০.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৭/– ৬১/– ১৪/– ১৭৭/–
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ১২ জানুয়ারি ২০১৪

মিসবাহ-উল-হক খান নিয়াজী (পশতু: مصباح الحق خان نیازی; জন্ম: ২৮ মে, ১৯৭৪) পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারটেস্ট ক্রিকেট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। মধ্যমসারির ব্যাটসম্যানরূপে খেলতেই তিনি অধিক পছন্দ ও স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করেন। অত্যন্ত স্থির মেজাজ নিয়ে মাঠে নামেন মিসবাহ। পাকিস্তানের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজিতে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন তিনি।

ক্রিকেট জীবন

[সম্পাদনা]

২০১০ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার পর থেকে মিসবাহ বাদ পড়ে যান।[] এরফলে তিনি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বিতর্কিত ইংল্যান্ড সফরে দলে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ সফরে পাকিস্তানের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে পড়েছিল। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দলকে পুনরায় নেতৃত্ব দেন। অনেক ক্রিকেটানুরাগীই মিসবাহকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেয়ায় বিস্মিত হয়েছিলেন। ওয়াসিম আকরাম তার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সবকিছুই সঠিকভাবে ও পরিকল্পনামাফিক সম্পন্ন হবে।[] পাকিস্তানের সাবেক কোচ জিওফ লসনও বিশ্বাস করেন যে এরফলে মিসবাহ পাকিস্তানের জন্যে তার সেরা খেলা উপহার দিতে সক্ষম হবেন এবং তার অধিনায়কত্বও আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।[]

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

মিসবাহ-উল-হকের টেস্ট শতকের পরিসংখ্যান নিম্নে প্রদান করা হলো:[]

  • * অপরাজিত থাকার চিহ্ন বহন করে
মিসবাহ-উল-হকের টেস্ট সেঞ্চুরি
# রান খেলা নং প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ সাল
[১] ১৬১*  ভারত কলকাতা, ভারত ইডেন গার্ডেনস ২০০৭
[২] ১৩৩* ১০  ভারত ব্যাঙ্গালোর, ভারত এম. চিনাস্বামী স্টেডিয়াম ২০০৭
[৩] ১০২* ২৫  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাসেতেরে, সেন্ট কিটস ওয়ার্নার পার্ক ২০১১
[৪] ১০০ ৩৯  দক্ষিণ আফ্রিকা আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়াম ২০১৩
[৫] ১৩৫ ৪৩  শ্রীলঙ্কা আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়াম ২০১৪
[৬] ১০১ ৫০  অস্ট্রেলিয়া আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়াম ২০১৪
[৭] ১০১ ৫০  অস্ট্রেলিয়া আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়াম ২০১৪

টি-২০ আন্তর্জাতিক অর্ধ-শতক

[সম্পাদনা]
ম্যাচ রান বল অবস্থা বিরুদ্ধে শহর/দেশ মাঠ বছর
৫৫ ৩৫ রান আউট  ভারত ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংস মিড ক্রিকেট স্টেডিয়াম ২০০৭
৬৬* ৪২ অপরাজিত  অস্ট্রেলিয়া জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা দি ওয়ান্ডারার্স ২০০৭
১০ ৮৭* ৫৩ অপরাজিত  বাংলাদেশ করাচি, পাকিস্তান জাতীয় স্টেডিয়াম, করাচি ২০০৮

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

টেষ্ট পুরস্কার

[সম্পাদনা]

ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার

[সম্পাদনা]
ক্রমিক বিপক্ষ মাঠ তারিখ ম্যাচ পারফরমেন্স ফলাফল
 নিউজিল্যান্ড বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন, ১৫ জানুয়ারি ২০১১ প্রথম ইনিংস: ৯৯(১৬×৪); ২ ক্যাচ
দ্বিতীয় ইনিংস: ৭০* (৭×৪)
ড্র[]

ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কার

[সম্পাদনা]
ক্রমিক বিপক্ষে মৌসুম অবদান
পিএসও কেনিয়া ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতা

 অস্ট্রেলিয়া; কেনিয়া

২০২
১৩৯ রান (৩ ম্যাচ);

ব্যাট করেননি;

পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজে

 ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০১৩
২৬০ রান (৫ ম্যাচ এবং ৫ ইনিংস);

ব্যাট করেননি;

ওডিআই পুরস্কার

[সম্পাদনা]

ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার

[সম্পাদনা]
সিরি. নং রিরুদ্ধে মাঠ তারিখ ম্যাচে অবদান ফলাফল
 নিউজিল্যান্ড ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ার ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ৯৩* (৭×৪, ১×৬) জয়ী[]
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংস্টন ওভাল, ব্রিজটাউন ২৮ এপ্রিল ২০১১ ৬২*; DNB; জয়ী[]
 দক্ষিণ আফ্রিকা কিংসমেড ডারবান ২১ মার্চ ২০১৩ ৮০; DNB; জয়ী[]
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিউসেজর, গ্রস ইজলেট ১৯ জুলাই ২০১৩ ৭৫; DNB; টাই[]
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিউসেজর, গ্রস ইজলেট ২৪ জুলাই ২০১১ ৬৩; DNB; জয়ী[১০]
 জিম্বাবুয়ে হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে ৩১ আগস্ট ২০১৩ ৬৭; DNB; জয়ী[১১]

ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরসআর

[সম্পাদনা]
ক্রমিক বিরুদ্ধে মৌসুম সিরিজের অবদান
পিএসও কেনিয়ায় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট

 অস্ট্রেলিয়া; কেনিয়া

২০০২
১৩৯ রান (৩ ম্যাচে);

DNB;

ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাকিস্তান

 ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০১৩
২৬০ রান (৫ ম্যাচ এবং ৫ ইনিংস);

DNB;

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]