গ্যাংটক
গ্যাংটক | |
---|---|
রাজ্যের রাজধানী | |
![]() কাছাকাছি গণেশ টোক পয়েন্ট থেকে গাংটকের একটি দৃশ্য | |
সিকিমের গ্যাংটকের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°২০′ উত্তর ৮৮°৩৭′ পূর্ব / ২৭.৩৩° উত্তর ৮৮.৬২° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৭°২০′ উত্তর ৮৮°৩৭′ পূর্ব / ২৭.৩৩° উত্তর ৮৮.৬২° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | সিকিম |
জেলা | পূর্ব সিকিম |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | গ্যাংটক পৌর কর্পোরেশন |
• মেয়র | শক্তি সিং চৌধুরী[১] (SDF) |
আয়তন | |
• মোট | ১৯.২ বর্গকিমি (৭.৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[২] | ১,৬৫০ মিটার (৫,৪১০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,০০,২৯০ |
• জনঘনত্ব | ৫,২২৩/বর্গকিমি (১৩,৫৩০/বর্গমাইল) |
ভাষা[৩][৪] | |
• অফিসিয়াল | |
• অতিরিক্ত অফিসিয়াল | |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩৭১০১ |
টেলিফোন কোড | ০৩৫৯২ |
যানবাহন নিবন্ধন | SK-01 |
ওয়েবসাইট | gmcsikkim |
গ্যাংটক (ইংরেজি: Gangtok গ্যাংটক্ ˈgæŋ.tɒk (সাহায্য·তথ্য), নেপালি: गान्तोक গান্তোক্, হিন্দি: गंगटोक গাংগ্টোক্) ভারতীয় রাজ্য সিকিমের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। পূর্ব হিমালয় পর্বতশ্রেণীর শিবালিক পর্বতে ১৪৩৭ মিটার উচ্চতায় গ্যাংটক শহরটি অবস্থিত। শহরের জনসংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। এই শহরের বাসিন্দারা প্রধানত নেপালি, লেপচা ও ভুটিয়া। সিকিম সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এই শহরের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। হিমালয় পর্বতমালার সুউচ্চ শিখরগুলির মাঝখানে মনোরম পরিবেশে গ্যাংটকের অবস্থান। এই অঞ্চলের জলবায়ু সারা বছরই মোটামুটি আরামদায়ক। এই কারণে গ্যাংটক সিকিমের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।
১৮৪০ সালে এনচে মঠ নির্মাণের পর থেকেই বৌদ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গ্যাংটকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ১৮৯৪ সালে তৎকালীন সিকিম চোগিয়াল (রাজা) থুতোব নামগিয়াল গ্যাংটকে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে তিব্বতের লাসা ও ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার মধ্যে বাণিজ্যপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্রামস্থলে পরিণত হয় গ্যাংটক। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর সিকিম ভারতে যোগ না দিয়ে স্বাধীন রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসত্ত্বা বেছে নেয়। এই সময় গ্যাংটক ছিল দেশটির রাজধানী। ১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে যোগ দিলে গ্যাংটক ভারতের বাইশতম রাজধানীতে পরিণত হয়।
গ্যাংটক নামটির সঠিক অর্থ জানা যায় না। যদিও নামটির জনপ্রিয়তম অর্থ হল পাহাড় চূড়া।[৫] বর্তমানে গ্যাংটক তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও শিক্ষার একটি কেন্দ্র। এখানে একাধিক বৌদ্ধ মঠ, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তিব্বততত্ত্ব কেন্দ্র রয়েছে।
সামরিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]
১৯৪৩ সালে তৈরী হওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনী-র XXXIII কর্পস-এর অন্তর্গত ১৭ ম পর্বত বিভাগ এর সদর দপ্তরটি এখানে রয়েছে । এই বিভাগের দায়িত্বে রয়েছে মূলত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Gangtokmunicipalcorporation.org"। Gangtokmunicipalcorporation.org। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: অবৈধ
<ref>
ট্যাগ;FallinGrain
নামের সূত্রের জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "1977 Sikkim government gazette" (PDF)। sikkim.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। Governor of Sikkim। পৃষ্ঠা 188। ২২ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৯।
- ↑ "50th Report of the Commissioner for Linguistic Minorities in India" (PDF)। ১৬ জুলাই ২০১৪। পৃষ্ঠা 109। ২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৯।
- ↑ Bannerjee, Parag (১৪ অক্টোবর ২০০৭)। "Next weekend you can be at ... Gangtok"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিভ্রমণে গ্যাংটক সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |