নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোপেনের জলবায়ু বিভাগ অনুসারে বিশ্বব্যাপী নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলের বিস্তরণ।

নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু হলো ক্রান্তীয় বলয় হতে শুরু করে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলসমূহের মধ্যবর্তী এলাকার সমভাবাপন্ন জলবায়ু। এটি মধ্য অক্ষাংশ এলাকায় (৪০ হতে ৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশের মধ্যে) দৃষ্ট হয়।[১] এখানে শীত - গ্রীষ্মের উষ্ণতার পার্থক্য খুব কম থাকে। বিভিন্ন জলবায়ু বিভাগ অনুসারে এর শীতলতম মাসের জলবায়ুর আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা - প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুকে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করা গেলেও এর মূল বিভাগ মূলতঃ দুটি - উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল ও শীতল নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডল।

কোপেনের জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস কোনো জলবায়ুকে "নাতিশীতোষ্ণ" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার শর্ত হচ্ছে, শীতলতম মাসে এর গড় তাপমাত্রা −৩° সেন্টিগ্রেডের (২৬.৬° ফারেনহাইট)-এর উপরে কিন্তু ১৮° সেন্টিগ্রেডের (৬৪.৪° ফারেনহাইট)-এর নিচে থাকবে। তবে, অন্যান্য জলবায়ুর শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০° সেন্টিগ্রেডের (৩২.০° ফারেনহাইট) ধরা হয়।[২][৩]

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]

উত্তর নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলটি কর্কটক্রান্তি (আনুমানিক ২৩.৫° উত্তর অক্ষাংশ) থেকে সুমেরু বৃত্ত (প্রায় ৬৬.৫° উত্তর অক্ষাংশ) পর্যন্ত বিস্তৃত। অপরদিকে, দক্ষিণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলটি মকরক্রান্তি (আনুমানিক ২৩.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ) থেকে কুমেরু বৃত্ত (প্রায় ৬৬.৫° দক্ষিণ অক্ষাংশ) পর্যন্ত বিস্তৃত।[৪][৫] কিছু কিছু জলবায়ুর শ্রেণিবিন্যাসে, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলকে প্রায়শই মাসিক তাপমাত্রা, শীতলতম মাস এবং বৃষ্টিপাতের উপর ভিত্তি করে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবায়ু অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়; এর মধ্যে রয়েছে আর্দ্র উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ু, ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু, মহাসাগরীয় এবং মহাদেশীয় জলবায়ু

মানবিক[সম্পাদনা]

জনমিতি[সম্পাদনা]

নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল পৃথিবীর বৃহৎ জনগোষ্ঠী বসবাস করে, বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে ভূমির বৃহৎ পরিমাণের কারণে।[৬]

কৃষি[সম্পাদনা]

মৃদু শীতলকাল ও গ্রীষ্মের উষ্ণতা এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের জন্য এখানে প্রচুর কৃষিকাজ হয়ে থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Weather & Climate Change: Climates around the world"Education Scotland। ১৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Latitude & Climate Zones"The Environmental Literacy Council। ৩০ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  3. "Patterns of Climate"Weather-climate.org.uk। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  4. McColltoll, R. W. (২০০৫)। Encyclopedia of World Geography, Volume 1। Facts on File Library of World Geography। New York: Facts on File। পৃষ্ঠা ৯১৯। আইএসবিএন 0-816-05786-9 
  5. "Solar Illumination: Seasonal and Diurnal Patterns"Encyclopedia.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  6. Cohen, Joel E.; Small, Christopher (২৪ নভেম্বর ১৯৯৮)। "Hypsographic demography: The distribution of human population by altitude"Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America95 (24): 14009–14014। ডিওআই:10.1073/pnas.95.24.14009পিএমআইডি 9826643পিএমসি 24316অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:1998PNAS...9514009C 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]