আনন্দচন্দ্র আগরওয়ালা
আনন্দ চন্দ্র আগরওয়ালা | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ৫ সেপ্তেম্বর, ১৮৭৪ বরঙাবারী, তেজপুর, শোনিতপুর, অসম |
মৃত্যু | ১৯৪০[১] |
আনন্দ চন্দ্র আগরওয়ালা( ইংরেজি: Ananda Chandra Agarwala; অসমীয়া: আনন্দ চন্দ্র আগরৱালা) অসমের প্রসিদ্ধ কবি,অনুবাদক, প্রশাশক, ইতিহাসবিজ্ঞ ও লেখক ছিলেন। জোনাকি যুগের অসমীয়া লেখকের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থানের অধিকারী ছিলেন। তিনি “ভাঙনি কোওর” ও “বিহগি কবি” নামেও পরিচিত ছিলেন। আনন্দ চন্দ্র আগরওয়ালা ১৯১৬ সনে রায় সাহাব ও ১৯২১ সনে রায় বাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি তেজপুর পৌরসভার সভাপতি ছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি বন্ধুদের সহযোগিতায় “ ধর্ম সঙ্গিত” নামক গ্রন্থের রচনা করেছিলেন। ১৯০৬ সনে তিনি “পুলিশ মেনুয়্যাল” রচনা করেছিলেন।[২] অসমীয়া সাহিত্যে যথেষ্ট অবদান থাকার জন্য ১৯৩৪ সনে মঙ্গলদৈয়ে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার বার্ষিক অধিবেশনে তিনি সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অসমীয়া ভাষা উন্নতি সাধনী সভার সক্রিয় সদস্য ও জোনাকি পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন।[৩]
জন্ম ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]১৮৭৪ সনে ভারতের অসম রাজ্যের শোনিতপুর জেলার অন্তর্গত তেজপুরের বরাঙাবারী অঞ্চলে আনন্দ চন্দ্র আগরওয়ালার জন্ম হয়েছিল।[৪] পিতার নাম কাশীরাম আগরওয়ালা। তিনি রাঙাবারী বিদ্যালয় ও তেজপুরের সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলকাতার মেট্রপলিটান কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কলকাতায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনি অসমীয়া ভাষা উন্নতি সাধনী সভার সক্রিয় সদস্য ও জোনাকি পেপারের নিয়মিত লেখক ছিলেন। সাহিত্য চর্চায় ব্যাস্ত থাকার জন্য তিনি ডিগ্রী অসমাপ্ত করে অসমে চলে এসেছিলেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]শিবসাগর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকের পদে নিযুক্তি ছিলেন। তারপর তিনি সাব-ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর ও শিলচর আরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ছিলেন। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের সহ আরক্ষা অধীক্ষকের পদেও তিনি নিযুক্তি ছিলেন। ১৯৩০ সনে তিনি আরক্ষী অধীক্ষকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ও জোনাকি এবং বিজুলি পত্রিকার সঙ্গে জড়িত হয়ে অসমীয়া সাহিত্যেকে যথেষ্ট অবদান দেন। ১৯৪০ সালে তেজপুরে আনন্দ চন্দ্র আগরওয়ালার মৃত্যু হয়েছিল।
সাহিত্যকর্ম
[সম্পাদনা]
কবিতা সংকলন[সম্পাদনা]
|
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Sisir Kumar Das (১ জানুয়ারি ১৯৯৫)। A History of Indian Literature 1911-1956: Struggle for Freedom: Triumph and Tragedy। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 549–। আইএসবিএন 978-81-7201-798-9। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ ক খ "Eminent Personalities of Assam"। creative.sulekha.com। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৩।
- ↑ ত্রিদিপ গোস্বামী। পদ্মনাথ গোহাঞি বরুৱার পরা রংবং তেরাঙলৈ। অনন্ত হাজরিকা, বনলতা প্রকাশণ। পৃষ্ঠা ৫৪, ৫৫।
- ↑ Swati Mitra (২০১১)। Assam Travel Guide। Goodearth Publications। পৃষ্ঠা 75–। আইএসবিএন 978-93-80262-04-8। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ Ānandacandra Āgarawālā; Rabin Dev Choudhury (১৯৯১)। Aspects of history and culture: Ananda Chandra Agarwala commemoration volume। Ramanand Vidya Bhawan। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।