সৈয়দ নাফিস আল-হুসাইনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সৈয়দ নাফিস আল হুসাইনি

নাফিস রকম
سید نفیس الحسینی
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
আনোয়ার হুসাইন

(১৯৩৩-০৩-১১)১১ মার্চ ১৯৩৩
মৃত্যু৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮(2008-02-05) (বয়স ৭৪)
সমাধিস্থলসৈয়দ আহমদ শহীদ মাজার
ধর্মইসলাম
জাতীয়তা ব্রিটিশ ভারত
 পাকিস্তানি
পিতামাতা
  • সৈয়দ মুহাম্মদ আশরাফ আলী (পিতা)
আখ্যাসুন্নি
আন্দোলনআলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত
যে জন্য পরিচিতচারুলিপি, নাফিস নাস্তালিক লিপি
পেশাক্যালিগ্রাফার
ইসলামি পণ্ডিত
কবি
মুসলিম নেতা
পুরস্কারপ্রাইড অব পারফরম্যান্স
সিতারা-ই-ইমতিয়াজ
পেশাক্যালিগ্রাফার
ইসলামি পণ্ডিত
কবি

সৈয়দ নাফিস আল-হুসাইনি (১১ মার্চ ১৯৩৩ - ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮) (উর্দু: سید نفیس الحسینی) একজন বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার, ইসলামে পণ্ডিত, কবি এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়াও তিনি মক্কার মসজিদ আল হারামের একটি দরজায় চারুলিপি খোদাই করেছিলেন।[১]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

নাফিস আল-হুসাইনি ১৯৩৩ সালে শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার আসল নাম আনোয়ার হুসাইন, তবে তিনি ইসলামি বিশ্বে নাফিস আল-হুসাইনি শাহ নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি ভোপালওয়ালার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ফয়সালাবাদে এসে এফএ পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।[১]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নাফিস আল-হুসাইনি ১৯৪৮ সালে চারুলিপির মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি তার পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ আশরাফ আলীর কাছ থেকে চারুলিপি শিল্পের উত্তরাধিকার লাভ করেন, যিনি নাসখের বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং পবিত্র কোরআনের চারুলিপিতে দক্ষতার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি লাহোরে তার কার্যালয় স্থাপন করেন। তিনি নাসখ এবং নাস্তালিক লিপিগুলিতে বিশেষ স্থান এবং দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। এগুলি ছাড়াও তিনি কুফিক, সুলুস , রুকআ লিপি এবং ইজাজায় শিল্পকর্ম তৈরি করেছিলেন। নাফিস আল-হুসাইনি অনেক দেশ সফর করেছিলেন এবং বিচারক হিসাবে ইরান ও মিশরে আন্তর্জাতিক চারুলিপি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।[১][২] তিনি নাস্তালিকের একটি লিখন পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিলেন, যার নাম ছিল "নাফিস নাস্তালিক"।[৩]

তিনি আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াতের কেন্দ্রীয় উপ-আমির হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৪]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

  • প্রাইড অব পারফরম্যান্স (১৯৮৫)[৫]
  • সিতারা-ই-ইমতিয়াজ
  • ১৯৮০ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ আর্টস-এর চারুলিপি প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার[৪]
  • পাকিস্তান পাবলিক রিলেশনস সোসাইটি আয়োজিত ১৯৮২ সালে কুরআনের চারুলিপি সর্ব-পাকিস্তান প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০০৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি লাহোরে মারা যান। লাহোরের বাদশাহী মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়, যাতে সারা দেশ থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিল। এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে খানকাহ সৈয়দ আহমেদ শহিদের কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. : مولانا مجیب الرحمن انقلابی (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "حضرت سید نفیس الحسینی شاہؒ ……ایک عہد ساز شخصیت"। dailypakistan.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  2. algazali.org। "سیّدنفیسُ الحسینی رحمہ اﷲ"। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  3. "Nafees Nasta'leeq - Center for Language Engineering" (পিডিএফ)। crulp.nu.edu.pk। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  4. "حضرت سید نفیس الحسینی شاہ"। nawaiwaqt.com.pk। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০ 
  5. "عالم دین سید نفیس الحسینی نفیس رقم کی9 ویں برسی آج منائی جائے گی"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০২০