বিষয়বস্তুতে চলুন

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Twenty20 International থেকে পুনর্নির্দেশিত)
একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে দুইটি সেঞ্চুরি করেন।

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক বা টি২০ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলার একটি ক্ষুদ্র সংস্করণবিশেষ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রত্যেককে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হতে হয়।[] এ পদ্ধতির ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী দুইটি জাতীয় ক্রিকেট দলের ইনিংস সর্বোচ্চ ২০ ওভারব্যাপী স্থায়ী হয়।[] খেলাটি টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলার উপযোগী প্রণীত নিয়মে অনুষ্ঠিত হয়। মূলতঃ ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাপক দর্শক সমাগমের উদ্দেশ্যে ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র সংস্করণের প্রচলন ঘটানো হয়। পরবর্তীতে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ তারিখে প্রথমবারের মতো টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে পরাজিত করেছিল। খেলায় অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিং অপরাজিত ৯৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন।[] এর দুই বছর পর প্রথম প্রতিযোগিতারূপে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার সূচনা ঘটে। টেস্ট ক্রিকেটএকদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে রক্ষার্থে প্রতি বৎসর একটি দল টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করতে পারবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৬টি দল টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের মর্যাদা লাভ করেছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি ২৪ অক্টোবর, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। ‌ঐ র‌্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ড শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল। সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিলেন - ইয়ন মর্গ্যান (ইংল্যান্ড), সেরা বোলার - অজন্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা) এবং সেরা অল-রাউন্ডার ছিলেন শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)।[]

ক্ষুদ্রতম সংস্করণের ফলে সেঞ্চুরি কিংবা পাঁচ উইকেটের সম্মাননা লাভ করা ভীষণ দূরূহ ব্যাপার। স্বল্প কয়েকজন খেলোয়াড়ই এ সম্মাননায় অভিষিক্ত হতে পেরেছেন। তন্মধ্যে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৬ রান করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছেন। অন্যদিকে একমাত্র বোলার হিসেবে শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস ৬-উইকেট দখল করেছেন। এছাড়াও বিশের অধিক খেলোয়াড় ইনিংসে ৫-উইকেট পেয়েছেন।


আইসিসি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]
আইসিসি পুরুষ টি২০আই দলের র‍্যাঙ্কিং
র‌্যাঙ্ক দলের নাম খেলার সংখ্যা পয়েন্ট রেটিং
 ভারত ৫৭ ১৫,৪২৫ ২৭১
 অস্ট্রেলিয়া ২৯ ৭,৫৯৩ ২৬২
 ইংল্যান্ড ৩৭ ৯,৪০২ ২৫৪
 নিউজিল্যান্ড ৪১ ১০,২২৪ ২৪৯
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯ ৯,৫৮৪ ২৪৬
 দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫ ৮,৫৭৮ ২৪৫
 শ্রীলঙ্কা ৩১ ৭,২৮৭ ২৩৫
 পাকিস্তান ৪৪ ১০,০৪৪ ২২৮
 বাংলাদেশ ৩৮ ৮,৫৩৮ ২২৫
১০  আফগানিস্তান ৩০ ৬,৬৯৯ ২২৩
তথ্যসূত্র: আইসিসি র‌্যাঙ্কিং, ক্রিকইনফো র‍্যাঙ্কিং, মে ২০২৫


অংশগ্রহণকারী দল

[সম্পাদনা]

২০০৫ সাল থেকে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগস্ট, ২০১২ পর্যন্ত সকল টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত দলসহ ১৭টি দেশের জাতীয় দল এতে অংশ নিয়েছে।

জাতীয় ক্রিকেট দলের নাম টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের তারিখ
 অস্ট্রেলিয়া ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
 নিউজিল্যান্ড ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫
 ইংল্যান্ড ১৩ জুন, ২০০৫
 দক্ষিণ আফ্রিকা ২১ অক্টোবর, ২০০৫
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬
 শ্রীলঙ্কা ১৫ জুন, ২০০৬
 পাকিস্তান ২৮ আগস্ট, ২০০৬
 বাংলাদেশ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬
 জিম্বাবুয়ে ২৮ নভেম্বর, ২০০৬
 ভারত ১ ডিসেম্বর, ২০০৬
 কেনিয়া ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭
 স্কটল্যান্ড ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৭
 নেদারল্যান্ডস ২ আগস্ট, ২০০৮
 আয়ারল্যান্ড ২ আগস্ট, ২০০৮
 কানাডা ২ আগস্ট, ২০০৮
 বারমুডা ৩ আগস্ট, ২০০৮
 আফগানিস্তান ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১০

এশিয়ান গেমস

[সম্পাদনা]

২০১০ সালে চীনের গুয়াংঝুতে অনুষ্ঠিত ১৬তম এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটের সর্বপ্রথম অন্তর্ভুক্তি ঘটে।[] এতে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ ও মহিলা - উভয় বিভাগেই এ ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাগতিক দেশ চীনসহ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি আফগানিস্তানও এতে অংশ নেয়। কিন্তু ভারত এতে অংশ নেয়নি। পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত খেলায় পরাভূত করে স্বর্ণপদক জয় করেছিল। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যথাক্রমে রৌপ্যপদকব্রোঞ্জপদক লাভ করে। মহিলা বিভাগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও জাপান যথাক্রমে স্বর্ণপদক, র‌ৌপ্যপদক ও ব্রোঞ্জপদক লাভ করেছিল।

অলিম্পিক গেমস

[সম্পাদনা]

টুয়েন্টি২০ খেলাকে ২০২০ সালের অলিম্পিক ক্রীড়ায় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[] এমনকি আইওসি'র সভাপতি জ্যাকুয়েস রগ ভবিষ্যতে বৈশ্বিক ক্রীড়ার অংশ হিসেবে ক্রিকেট খেলার অন্তর্ভুক্তিতে তার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।[] উল্লেখ্য যে, ১৯০০ সালের অলিম্পিক ক্রীড়ায় ক্রিকেট খেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বর্তমান টি২০ ক্রিকেটার

[সম্পাদনা]
ব্যাটসম্যান
আইসিসি শীর্ষ-১০ টি২০আই ব্যাটসম্যান
অবস্থান পরিবর্তন খেলোয়াড়ের নাম দলের নাম রেটিং
অপরিবর্তিত দাউদ মালান  ইংল্যান্ড ৮৯২
অপরিবর্তিত অ্যারন ফিঞ্চ  অস্ট্রেলিয়া ৮৩০
অপরিবর্তিত বাবর আজম  পাকিস্তান ৮২৮
অপরিবর্তিত ডেভন কনওয়ে  নিউজিল্যান্ড ৭৭৪
অপরিবর্তিত বিরাট কোহলি  ভারত ৭৬২
অপরিবর্তিত রাসি ফন ডার ডাসেন  দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৫৬
অপরিবর্তিত লোকেশ রাহুল  ভারত ৭৪৩
অপরিবর্তিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েল  অস্ট্রেলিয়া ৬৯৪
অপরিবর্তিত মার্টিন গাপটিল  নিউজিল্যান্ড ৬৮৮
১০ বৃদ্ধি মোহাম্মাদ রিজওয়ান  পাকিস্তান ৬৪০
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিংস, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
বোলার
আইসিসি শীর্ষ-১০ টি২০আই বোলার
অবস্থান পরিবর্তন খেলোয়াড়ের নাম দলের নাম রেটিং
অপরিবর্তিত তাব্রাইজ শামসী  দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৩২
অপরিবর্তিত রশীদ খান  আফগানিস্তান ৭১৯
অপরিবর্তিত অ্যাস্টন অ্যাগার  অস্ট্রেলিয়া ৭০২
অপরিবর্তিত আদিল রশিদ  ইংল্যান্ড ৬৯৪
অপরিবর্তিত মুজিব উর রহমান  আফগানিস্তান ৬৮৭
অপরিবর্তিত টিম সাউদি  নিউজিল্যান্ড ৬৬৯
অপরিবর্তিত অ্যাডাম জাম্পা  অস্ট্রেলিয়া ৬৬৩
অপরিবর্তিত ইশ সোধি  নিউজিল্যান্ড ৬৪০
অপরিবর্তিত লক্ষ্মণ সন্দাকান  শ্রীলঙ্কা ৬৩৯
১০ অপরিবর্তিত ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা  শ্রীলঙ্কা ৬২৩
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিং, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
অল-রাউন্ডার
আইসিসি শীর্ষ-১০ টি২০আই অল-রাউন্ডার
অবস্থান পরিবর্তন খেলোয়াড়ের নাম দলের নাম রেটিং
অপরিবর্তিত সাকিব আল হাসান  বাংলাদেশ ২৮৮
অপরিবর্তিত হার্দিক পাণ্ড্য  ভারত ২৪০
অপরিবর্তিত মোহাম্মাদ নবী  আফগানিস্তান ২২৪
অপরিবর্তিত এইডেন মার্করাম  দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৮
অপরিবর্তিত মার্কাস স্টইনিস  অস্ট্রেলিয়া ১৯১
অপরিবর্তিত শাদাব খান  পাকিস্তান ১৮৪
অপরিবর্তিত ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা  শ্রীলঙ্কা ১৮২
অপরিবর্তিত জেজে স্মিথ  নামিবিয়া ১৭৪
অপরিবর্তিত সিকান্দার রাজা  জিম্বাবুয়ে ১৭৩
১০ অপরিবর্তিত ডেভিড ভিসা  নামিবিয়া ১৭০
তথ্যসূত্র: আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিংস, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


রেকর্ডসমূহ

[সম্পাদনা]
  • সর্বোচ্চ দলগত রান: ২৯৭/৬ ভারত বনাম বাংলাদেশ, ১২ অক্টোবর, ২০২৪।
  • সর্বোচ্চ রানে জয়: ১৭২ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জয়ী। প্রতিপক্ষ কেনিয়া, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৭।
  • সর্বাধিক উইকেটে জয়: ১০ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া জয়ী, ৫৮ বল বাকী রেখে। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৭।
  • সেরা বোলিং নৈপুণ্য: ৬/৮, অজন্তা মেন্ডিস, শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২।
  • ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান: ১৫৬, আরন ফিঞ্চ, অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ৩০ আগস্ট, ২০১৩।
  • সর্বোচ্চ রানের জুটি: ১৭০ গ্রেইম স্মিথলুটস বসম্যান, ১ম উইকেটে, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড, ১৫ নভেম্বর, ২০০৯।[]
  • দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরী বা অর্ধ-শতক: ১২ বলে, যুবরাজ সিং, ভারত। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৭।
  • সর্বাধিক উইকেট: ৭৪, উমর গুল, পাকিস্তান (৩ মার্চ, ২০১৩ পর্যন্ত)
  • এক ওভারে সর্বাধিক রান: ৩৬, যুবরাজ সিং, ভারত। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৭।
  • ইনিংসে সর্বাধিক ৬ বা ছক্কা: ১৭টি, দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ১৫ নভেম্বর, ২০০৯।[]
  • ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছক্কা: ১৪টি, আরন ফিঞ্চ, অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ৩০ আগস্ট, ২০১৩।
  • ১ম হ্যাট্রিক: ব্রেট লি, অস্ট্রেলিয়া বনাম বাংলাদেশ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৭।
  • সর্বাধিক দূরত্বজনিত ছক্কা: ১২৭ মিটার, মার্টিন গুপ্টিল, নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২।
  • দ্রুততম সেঞ্চুরি: ডেভিড মিলান ও রোহিত শর্মা (৩৫ বলে)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ICC Classification of Official Cricket" (pdf)International Cricket Council। ১০ নভেম্বর ২০১৪: 2। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "Standard Twenty20International Match Playing Conditions" (pdf)। International Cricket Council। অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  3. English, Peter (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Ponting leads as Kasprowicz follows"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১২ 
  5. China catches cricket bug ahead of Asian Games debut BBC 13 November 2010. Retrieved 29 November 2010
  6. http://www.espncricinfo.com/ci/content/story/447930.html
  7. http://www.espncricinfo.com/ci/content/story/518174.html
  8. Bosman, Smith bash England into submission, collect:23 August, 2012
  9. BBC SPORT | Cricket | England | England handed Twenty20 thrashing

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]