২০১৬–১৭ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Bangladeshi cricket team in New Zealand in 2016–17 থেকে পুনর্নির্দেশিত)
২০১৬-১৭ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফর
 
  নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশ
তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৭
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (ওডিআই ও টি২০আই)
মুশফিকুর রহিম (১ম টেস্ট)
তামিম ইকবাল (২য় টেস্ট)
টেস্ট সিরিজ
ফলাফল ২ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান টম ল্যাথাম (৩০২) সাকিব আল হাসান (২৮৪)
সর্বাধিক উইকেট ট্রেন্ট বোল্ট (১২) সাকিব আল হাসান (৬)
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ৩ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ৩–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান নিল ব্রুম (২২৮) ইমরুল কায়েস (১১৯)
সর্বাধিক উইকেট টিম সাউদি (৫) সাকিব আল হাসান (৫)
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ৩ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ৩–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান কেন উইলিয়ামসন (১৪৫) মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৮৯)
সর্বাধিক উইকেট ইশ সোধি (৫) রুবেল হোসেন (৭)

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে দুইটি টেস্ট ম্যাচ, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড সফর করে। নিউজিল্যান্ড ওডিআই এবং টি২০আই উভয় সিরিজ ৩-০ এবং টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জয় করে।

দলীয় সদস্য[সম্পাদনা]

ওডিআই টি২০আই টেস্ট
 নিউজিল্যান্ড[১]  বাংলাদেশ[২]  নিউজিল্যান্ড  বাংলাদেশ  নিউজিল্যান্ড  বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম প্রথম ওডিআইতে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন, ফলে তিনি ২য় ও ৩য় ওডিআই মাঠের বাইরে কাটাতে হয়। নুরুল হাসানকে তার পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জিতেন প্যাটেলকে তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড দলে যোগ করা হয়। মার্টিন গাপটিল তৃতীয় ওডিআইতে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন, ফলে তিনি টি২০আই সিরিজে বাদ পড়েন। তার পরিবর্তে নিল ব্রুমকে নেয়া হয়। ব্রুম পরে প্রথম টি২০আইতে আঙ্গুলে ব্যথা পান ও তার হাতে চিড় ধরা পড়ে। নিল ব্রুমের পরিবর্তে জর্জ ওয়ার্কারকে নেয়া হয়। লুক রঙ্কি দ্বিতীয় টি২০আইতে আঘাত পান এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন টম ব্লানডেল। মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মমিনুল হক ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়েন। তামিম ইকবালকে মুশফিকুর জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়, সেই সাথে নুরুল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে দলে যোগ করা হয়।

প্রস্তুতিমূলক খেলা[সম্পাদনা]

৫০ ওভার: নিউজিল্যান্ড একাদশ ব বাংলাদেশী[সম্পাদনা]

২২ ডিসেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশী বাংলাদেশ
২৪৫/৮ (৪৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড একাদশ
২৪৭/৭ (৪১.৪ ওভার)
মুশফিকুর রহিম ৪৫ (৪১)
শন হিক্স ২/৩০ (৬ ওভার)
বেন হর্নি ৬০* (৫৩)
সাকিব আল হাসান ৩/৪১ (৭ ওভার)
নিউজিল্যান্ড একাদশ ৩ উইকেটে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতি)
কোবহ্যাম ওভাল, হোয়াঙ্গারেই
আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড) ও শন হেইগ (নিউজিল্যান্ড)
  • বাংলাদেশীদের টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টির কারণে ওভার কমিয়ে ৪৩-এ আনা হয়।

ওডিআই সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম ওডিআই[সম্পাদনা]

২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
৩৪১/৭ (৫০ ওভার)
 বাংলাদেশ
২৬৪ (৪৪.৫ ওভার)
টম ল্যাথাম ১৩৭ (১২১)
সাকিব আল হাসান ৩/৬৯ (১০ ওভার)
সাকিব আল হাসান ৫৯ (৫৪)
জেমস নিশাম ৩/৩৬ (৭ ওভার)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ওয়েন নাইট (নিউজিল্যান্ড) আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক ম্যাচ পরিচালনা করেন।
  • ওডিআইতে নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম খেলোয়াড় হিসেবে কেন উইলিয়ামসন ৪,০০০ রান করেন।

২য় ওডিআই[সম্পাদনা]

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
২৫১ (৫০ ওভার)
 বাংলাদেশ
১৮৪ (৪২.৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৬৭ রানে জয়ী
স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন
আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড) ও পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: নিল ব্রুম (নিউজিল্যান্ড)

৩য় ওডিআই[সম্পাদনা]

৩১ ডিসেম্বর ২০১৬
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
২৩৬/৯ (৫০ ওভার)
 নিউজিল্যান্ড
২৩৯/২ (৪১.২ ওভার)
নিল ব্রুম ৯৭ (৯৭)
মুস্তাফিজুর রহমান ২/৩২ (৯.২ ওভার)
  • বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • নিল ব্রুমকেন উইলিয়ামসনের ১৭৯ রানের জুটি হচ্ছে ওডিআইতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

টি২০আই সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম টি২০আই[সম্পাদনা]

৩ জানুয়ারি ২০১৭
স্কোরকার্ড
বাংলাদেশ 
১৪১/৮ (২০ ওভার)
 নিউজিল্যান্ড
১৪৩/৪ (১৮ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
স্যাক্সটন ওভাল, নেলসন
আম্পায়ার: শন হেইগ (নিউজিল্যান্ড) ও ওয়েন নাইটস (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)

২য় টি২০আই[সম্পাদনা]

৬ জানুয়ারি ২০১৭
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
১৯৫/৭ (২০ ওভার)
 বাংলাদেশ
১৪৮ (১৮.১ ওভার)
কলিন মানরো ১০১ (৫৪)
রুবেল হোসেন ৩/৩৭ (৪ ওভার)
সাব্বির রহমান ৪৮ (৩২)
ইশ সোধি ৩/৩৬ (৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৪৭ রানে জয়ী
বেয় ওভাল, মাউন্ট মাউঙ্গানুই
আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড) ও শন হেইগ (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কলিন মানরো (নিউজিল্যান্ড)

৩য় টি২০আই[সম্পাদনা]

৮ জানুয়ারি ২০১৭
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
১৯৪/৪ (২০ ওভার)
 বাংলাদেশ
১৬৭/৬ (২০ ওভার)
সৌম্য সরকার ৪২ (২৮)
ইশ সোধি ২/২২ (৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ২৭ রানে জয়ী
বে ওভাল, মাউন্ট মঙ্গানুই
আম্পায়ার: ক্রিস ব্রাউন (নিউজিল্যান্ড) ও ওয়েন নাইটস (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: কোরে অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড)

টেস্ট সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম টেস্ট[সম্পাদনা]

১২–১৬ জানুয়ারি ২০১৭
স্কোরকার্ড
৫৯৫/৮ঘো (১৫২ ওভার)
সাকিব আল হাসান ২১৭ (২৭৬)
নিল ওয়াগনার ৪/১৫১ (৪৪ ওভার)
৫৩৯ (১৪৮.২ ওভার)
টম ল্যাথাম ১৭৭ (৩২৯)
কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩/৮৭ (২৬ ওভার)
১৬০ (৫৭.৫ ওভার)
সাব্বির রহমান ৫০ (১০১)
ট্রেন্ট বোল্ট ৩/৫৩ (১৩.৫ ওভার)
২১৭/৩ (৩৯.৪ ওভার)
কেন উইলিয়ামসন ১০৪* (৯০)
মেহেদী হাসান ২/৬৬ (১১.৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
ব্যাসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটন
আম্পায়ার: মারাইজ ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা) ও পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচসেরা: টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টি ও কম আলোর কারণে প্রথম দিনে শুধু ৪০.২ ওভার খেলা হয়।
  • শুভাশিস রায়তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ) উভয়ই তার টেস্ট অভিষেক হয়।
  • সাকিব আল হাসান এই টেস্টে ২১৭ রান করেন যা টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। একই সাথে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ৩,০০০ রান করেন।
  • মুশফিকুর রহিমসাকিব আল হাসানের ৩৫৯ রানের জুটি টেস্টে বাংলাদেশের যে কোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
  • ইমরুল কায়েস (বাংলাদেশ) একটি টেস্টের এক ইনিংসে বদলি উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বাধিক ক্যাচ নেন (৫)।
  • বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের রান টেস্টে প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক রান করেও হারার রেকর্ড।

২য় টেস্ট[সম্পাদনা]

২০–২৪ জানুয়ারি ২০১৭
স্কোরকার্ড
২৮৯ (৮৪.৩ ওভার)
সৌম্য সরকার ৮৬ (১০৪)
টিম সাউদি ৫/৯৪ (২৮.৩ ওভার)
৩৫৪ (৯২.৪ ওভার)
হেনরি নিকোলস ৯৮ (১৪৯)
সাকিব আল হাসান ৪/৫০ (১২.৪ ওভার)
১৭৩ (৫২.৫ ওভার)
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৮ (৬৭)
নিল ওয়াগনার ৩/৪৪ (১২ ওভার)
১১১/১ (১৮.৪ ওভার)
টম ল্যাথাম ৪১* (৫৯)
কামরুল ইসলাম রাব্বি ১/২১ (৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
হ্যাগলে ওভাল, ক্রাইস্টচার্চ
আম্পায়ার: নাইজেল লং (ইংল্যান্ড) ও পল রেইফেল (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচসেরা: টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টির কারণে ২য় দিনে ১৯ ওভার ও তৃতীয় দিন সম্পূর্ণ খেলা যায় নি।
  • নাজমুল হোসেন শান্তনুরুল হাসান (বাংলাদেশ) উভয়ই তার টেস্ট অভিষেক হয়।
  • তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেন।
  • রস টেলর নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসবে টেস্টে ৬,০০০ রান করেন।
  • টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) টেস্টে ২০০তম উইকেট নেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো শক্তির নিউজিল্যান্ড"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "প্রথম ওয়ানডের দলে ফিরলেন মোস্তাফিজ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]