হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি লাইন
হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি রেলপথ | |||
---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
অবস্থা | পরিচালনাগত | ||
অঞ্চল | পশ্চিমবঙ্গ | ||
বিরতিস্থল | হাওড়া নতুন জলপাইগুড়ি | ||
ক্রিয়াকলাপ | |||
উদ্বোধন | ১৯৭১ | ||
মালিক | ভারতীয় রেল | ||
পরিচালক | পূর্ব রেল, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল | ||
প্রযুক্তিগত | |||
রেলপথের দৈর্ঘ্য | ৫৮৮ কিমি (৩৬৫ মা) | ||
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ এমএম | ||
চালন গতি | ১৩০ কিলোমিটার (সর্বোচ্চ) | ||
বিদ্যুতায়ন | হাওড়া থেকে মুকুরিয়া জংশন পর্যন্ত বিদ্যুতায়িত | ||
|
হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি রেলপথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের নতুন জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশনের সাথে হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে সংযোগকারী একটি রেলপথ। রেলপথটি উত্তরবঙ্গ এবং আসামের পশ্চিম অংশের মাধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় গুয়াহাটির সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য। নৈহটি-ব্যান্ডেল সংযোগটি এই রেলপথটি ব্যবহার করার জন্য কলকাতায় আবস্থিত অন্য একটি টার্মিনাস সিয়ালদহ থেকে আসা ট্রেনগুলিকে অনুমতি দেয়। হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি রেলপথটি বারহারওয়া-আজিমগঞ্জ-কাটওয়া লুপের একটি প্রধান অংশ ব্যবহার করে। বর্ধমান ও রামপুরহাটের মাধ্যমে অনেক ট্রেন হাওড়া ও নিউ ফারাক্কার মধ্যে একটি বিকল্প রেলপথ ব্যবহার করে। পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের অন্যান্য অংশ এই রেলপথের সাথে যুক্ত। এটি পূর্ব রেলওয়ে এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্রের অধীনে।
প্রারম্ভিক সময়কার উন্নয়ন[সম্পাদনা]
ব্রিটিশ আমলে উত্তরবঙ্গের সাথে সমস্ত সংযোগ পূর্ব বাংলার মাধ্য দিয়ে ছিল। ১৮৭৮ থেকে, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেলপথ দুই অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। প্রথম অংশটি কলকাতা স্টেশন (পরে নামকরণ করা শিয়ালদহ) থেকে পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরের দামুমদিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার ইস্টার্ন বেঙ্গল স্টেট রেলওয়ে নিয়ে গঠিত ছিল, এর পর দ্বিতীয় অংশটি নদী অতিক্রম করে নদীর উত্তর তীর থেকে শুরু হয়। নর্থবেঙ্গল রেলওয়ের ৩৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মিটার গেজ রেলপথ দ্বারা পদ্মা নদীর উত্তর তীরের সারঘাট শিলিগুড়ির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।[১]
পদ্মায় ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হার্ডিং ব্রিজ ১৯১২ সালে চলু হয়েছিল। বর্তমানে, এটি দর্শনে এবং পার্বতীপুর ব্রডগেজ রেলপথের পাকসে ও ভেড়ামারা স্টেশন দুটির মাঝে অবস্থিত।[২] ১৯২৬ সালে সেতুর উত্তরের মিটার গেজ বিভাগটি ব্রড গেজে রূপান্তরিত হয় এবং ফলে সমগ্র রেলপথটি ব্রডগেজ হয়ে ওঠে।[১] রেলপথটি: সিয়ালদহ–রানাঘাট–ভেড়ামারা-হার্ডিঞ্জ সেতু–ঈশ্বরদী–সান্তাহার–হিলি–পার্বতীপুর–নীলফামারী–হলদিবাড়ি–জলপাইগুড়ি–শিলিগুড়ি।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১২।
- ↑ Chowdhury, Sifatul Quader (২০১২)। "Hardinge Bridge"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh।