নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড লাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকভারতীয় রেল
অঞ্চলউত্তরবঙ্গ, ডুয়ার্স
বিরতিস্থল
স্টেশন২৪
পরিষেবা
পরিচালকউত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
ইতিহাস
চালু১৯৫০
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য১৮২ কিমি (১১৩ মা)
ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রভ গেজ
নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড রেলপথ
কিমি
১৭৪ শামুকতলা রোড
to নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ বঙ্গাইগাঁও শাখা
৭৩ বামনহাট
৬৯ আবুতারা হল্ট
৬২ নিউ গীতালদহ
৫৭ ফালিমারি
৫১ দিনহাটা
দিনহাটা কলেজ হল্ট
42 ভেতাগুড়ি
38 দেয়ানহাটা
তোর্ষা নদী
ধুবড়ীর দিকে
দিকে ফকিরাগ্রাম-ধুবড়ী রেল লাইন
ফকিরাগ্রামের দিকে
Golokganj
Gangadhar River
আগমনি
Bidyardabri
আসাম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত
বক্সিরহাট
}
তুফানগঞ্জ
মরাডাঙ্গা
২৮ কোচবিহার রেলওয়ে স্টেশন
কোচবিহার বিমানবন্দর
দিকে নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ বঙ্গাইগাঁও শাখা
২৩ নিউ কোচবিহার
দিকে নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ বঙ্গাইগাঁ শাখা
১৪ বানেশ্ব
কালচীনি নদী
আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ার কোর্ট
১৬৩ / ০ আলিপুরদুয়ার জংশন
কালচিনি নদী
১৫২ রাজাভাতখাওয়া
১৪৬ গাঢ়পারড়া
১৪১ কালচিনি
১৩৮ হামিলটনগঞ্জ
১২৮ হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাটি
তর্ষা নদী
১১৮ মাদারিহাটা
১০৯ মানজাই
১০৩ ডালগাঁও
৯৪ বিন্নাগুড়ি
৮৮ বানারহাটা
জলঢাকা নদী
৭৬ কারন
৬৯ নাগরাকাটা
৫৬ চালসা
to Changrabandha
47 নিউ মাল
৪২ দামদিম
৩৭ উল্লাবাড়ি
এনএইচ ৩১
৩৩ বাগরাকোট
তিস্তা নদী
এনএইচ ৩১এ
গ্যাংটক (পরিকল্পিত লাইন}
সিংটাম (পরিকল্পিত লাইন}
রংপো (নির্নিয়মান লাইন}
মেলি
তিস্তা বাজার
তিস্তা নদী- সেতু নির্নিয়মান
গৈলখোলা
রিং (নির্নিয়মান লাইন}
২১ সেবক
১০ গুলমা
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে,
ন্যারগেজ রেলপথ
দিকে দার্জিলিং
দিকে নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ বঙ্গাইগাঁও শাখা
হলদিবাড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি রেল লাইন
শিলিগুড়ি জংশন
(দর্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের জন্য পরিবর্তন)
শিলিগুড়ি টাউন রেল স্টেশন
(দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের জন্য পরিবর্তন)
নিউ জলপাইগুড়ি
( দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের) জন্য পরিবর্তন
রাঙ্গাপানি
১২ মাটিগারা
১৮ বাগডোগরা
বাগডোগরা বিমানবন্দর
দিকে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি লাইন ভায়া বারসই
to শিলিগুড়ি-কাটিহার লাইন ভায়া ঠাকুরগঞ্জ

Source:Google maps, Indian Railway – East Zone Time Table,
55425 Alipurduar-Bamanhat Passenger, 55426 Bamanhat-Alipuduar Passenger


নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড রেল লাইন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি রেলপথ। এই রেলপথ ১৮২ কিলোমিটার (১১৩ মা) দীর্ঘ। এই রেলপথটি উত্তর বঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার একটি গুরুত্ব রেলপথ। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার রেল চলাচল করে এই রেলপথে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালের আগে ভারতের উত্তরবঙ্গঅসমের রেল যোগাযোগ রক্ষিত হত পূর্ববঙ্গের মধ্যে দিয়ে। দেশভাগের পর সেই যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি অসম রেল লিংক প্রকল্প গৃহীত হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এই পথে প্রথম ট্রেন চলে। প্রকল্পটি ছিল মূলত একটি ১৪২ মেইল দীর্ঘ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি) মিটার গেজ লাইন। এটি ফকিরাগ্রাম রেল স্টেশনকে কিশানগঞ্জ রেল স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল।[১] ২০০৩-০৬ সালে এই রুটটিকে ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়।[২]

১৯৬০-এর দশকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শামুকতলা রোড পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনটি যুক্ত হয়েছিল।[৩]

অবস্থান[সম্পাদনা]

করনারি সেতু, তিস্তা নদী

এই রেল লাইনটি জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার হিমালয় এর পাদদেশে ডুয়ার্স এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এই পথে রেল লাইনটি তিস্তা নদী অতিক্রম করেছে।রেলপথটি অতিক্তম করেছে বহু ছোট পাহাড়, চা বাগান। গরুমারা জাতীয় উদ্যান, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, বক্সা ব্যাঘর প্রকল্প প্রভৃতি বহ ভূমির মধ্য দিয়ে এই রেলপথ অগ্রসর হয়েছে।[৪]

হাতি সমস্যা[সম্পাদনা]

এই রেলপথের আশেপাশে বহু হাতি বসবাস করে।হাতিদের চলাচলের পথ এই রেলপথ দ্বারা খন্ডিত হয়েছে।ফলে বহু হাতি এই রেলপথ অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ধ্বাকায় মারা যায়।এই বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। [৫][৬]

সিকিম সংযোগ[সম্পাদনা]

সিকিম এর সঙ্গে বাকি ভারতের রেল সংযোগ ঘটাতে সিকিম রেল সংযোগ প্রকল্প নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল । এই রেলপথটি নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শালুখতলা রোড রেল লাইন-এর সেবক রেল স্টেশন থেকে একটি রেলপথ নির্মাণ করা হবে সিকিমের রংপো পর্যন্ত।এই রেলপথটি ব্রডগেজ রেলপথ হিসাবে নির্মাণ করা হবে।এই পথের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪৪.৪ কিলোমিটার (২৭.৬ মা) ।পড়ে রেলপথটি সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত নিয়ে যায়া হবে।সেবক থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রেলপথটি ৫৩ কিলোমিটার (৩৩ মা) দীর্ঘ হবে।[৭][৮]

শাখা লাইন[সম্পাদনা]

মালবাজার থেকে একটি মিটার গেজ লাইন কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত রয়েছে।আবার এই রেলপথ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের বুড়ি মারি হয়ে লালমনিরহাট পর্যন্ত গেছে।ভারতের অংশে বর্তমানে কোনো রেল পরিসেবা চালু নেই। বর্তমানে এই রেলপথটি ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ চলছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "History of NFR"। Northeast Frontier Railway। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২২ 
  2. Srivastava, V.P.। "Role of Engineering Deptt in Meeting Corporate Objectives of Indian Railways" (পিডিএফ)। ২০১৪-০৩-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২১ 
  3. "India: the complex history of the junctions at Siliguri and New Jalpaiguri"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১২ 
  4. "Dooars"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০ 
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; elephant নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  6. "Dooars protests train speed control"The Telegraph। Calcutta, India। ২৭ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১০ 
  7. "Work commences on new railway line connecting Sikkim"Business Standard। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০ 
  8. Jayanta Gupta (২৯ অক্টোবর ২০০৯)। "Finally, Sikkim railway project on track"Times of India। ২০১২-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]