মানব স্ত্রী প্রজননতন্ত্র
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
(ইংরেজি)
স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র (মানুষ) | |
---|---|
![]() A pictorial illustration of the female reproductive system. | |
বিস্তারিত | |
শনাক্তকারী | |
লাতিন | systema genitale femininum |
টিএ | A09.1.00.001 |
এফএমএ | FMA:45663 |
শারীরস্থান পরিভাষা |
মানুষের স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র দুটি প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত। প্রথমত, জরায়ু, যেখানে ফিটাস বিকশিত হয়, যোনীয় ও জরায়ুজ ক্ষরণ উৎপন্ন হয় এবং পুরুষের শুক্রাণু ফেলোপিয়ান নালিতে পরিবহন করে নিয়ে যায়। এবং দ্বিতীয় প্রধান অংশ হচ্ছে ডিম্বাশয়, যা ডিম্বাণু উৎপন্ন করে। এ সবই শরীরের অভ্যন্তরীন অংশ। যোনি শরীরের বাইরে ভালভার সাথে যুক্ত যা লেবিয়া, ক্লিটোরিস, এবং মূত্রনালী নিয়ে গঠিত। যোনি, জরায়ুর সাথে সারভিক্স দ্বারা সংযুক্ত; ডিম্বাশয়, উভয় পাশে দুই ফেলোপিয়ান নালির মাধ্যমে জরায়ুর সাথে সংযুক্ত। নির্দিষ্ট সময়ে ডিম্বাশয়, ডিম্বাণু ক্ষরণ করে যা ফেলোপিয়ান নালি হয়ে জরায়ুতে এসে পৌঁছে।
যৌনমিলনের সময় যোনিপথে সারভিক্স হয়ে আসার সময় শুক্রাণু, ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় এবং ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে। এই নিষেক প্রক্রিয়া সচারচর ওভিডাক্টে ঘটে, কিন্তু এটি জরায়ুতেও ঘটতে পারে। এরপর জাইগোট জরায়ুর দেয়ালে অবস্থান নেয় এবং এরপরপরই এমব্রায়োজেনেসিস ও মরফোজেনেসিসের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
যোনি[সম্পাদনা]
যোনি একটি ফাইব্রোমাসকুলার টিউবাকৃতি অংশ যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি দেখা যায় অমরাবিশিস্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমন: ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম, ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে।। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলত ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত।
যৌনমিলনের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের সময় যোনিতে পুরুষের শুক্রাণু ধারণ করে। যোনির চারপাশ পিউবিক হেয়ার দিয়ে ঘেরা থাকে, যা যোনিকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সেই সাথে এই বয়ঃসন্ধির একটি লক্ষণ।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
হিপোক্র্যাটিক লেখনীতে দাবি করা হয় যে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই তাদের বীজ ধারণ এ অবদান রাখে; অন্যথায়, বাচ্চাদের উভয় বা তাদের পিতা-মাতার উভয়ের সাদৃশ্য থাকবে না। চারশত বছর পরে, গ্যালেন মহিলা প্রজনন অঙ্গে ডিম্বাশয় হিসাবে 'মহিলা বীর্য' এর উত্সকে "সনাক্ত" করেছিলেন। [১]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- ↑ Anwar, Etin. "The Transmission of Generative Self and Women's Contribution to Conception." Gender and Self in Islam. London: Routledge, 2006. 75. Print.