সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সাভার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সাভার
অবস্থান
মানচিত্র

১৩৪৪

বাংলাদেশ
তথ্য
নীতিবাক্যআদর্শ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে
প্রতিষ্ঠাকাল২০১০ (2010)
বিদ্যালয় জেলাঢাকা
নিয়ন্ত্রকবাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বিদ্যালয় নম্বর১৩৪১৫২
বিদ্যালয় কোড১৫৬২
ইআইআইএন১৩৪১৫২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষলে. কর্নেল নেওয়াজ খুরশীদ আহমেদ
ভাষাবাংলা, ইংরেজি
ওয়েবসাইটwww.spscsdohs.edu.bd

সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সাভার বাংলাদেশের ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় সাভার ডিওএইচএস, সাভার সেনানিবাস এ অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১][২] এটি নবীনগরের সাভার ডিওএইচএস এলাকায় অবস্থিত। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস[সম্পাদনা]

সাভার সেনানিবাসের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির চাপ নিরসনকল্পে ও সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে সাভার সেনানিবাসে দ্বিতীয় ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জিরাবো ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। সেনানিবাসের সুশৃঙ্খল নিয়ম ও নীতিমালা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ৯ পদাতিক ডিভিশনের তৎকালীন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও সাভার অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার, ইকবাল করিম ভূঁইয়া মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় ১ জানুয়ারি ২০১০ হতে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১০ শিক্ষাবর্ষে নার্সারি হতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ অনুমোদনসহ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ২০১২ শিক্ষাবর্ষে নার্সারি হতে দ্বিতীয় শ্রেণি খোলার মাধ্যমে দিবা শাখা চালু করা হয়।

২০২১ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সাভার ডিওএইচএস এলাকায় স্থানান্তরিত হয় ও নতুন নামকরণ করা হয় সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সাভার[৩]

সুযোগ-সুবিধা ও কার্যক্রম[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, যেখানে প্রায় ৪০টি কম্পিউটার রয়েছে। একশত ভাগ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে কম্পিউটার শিক্ষার জন্য কম্পিউটার ল্যাবটি ব্যবহৃত। প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর। মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবসসমূহ এই প্রতিষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।

পরীক্ষার ফলাফল[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর হতে অনুষ্ঠিত সকল প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসিই), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ। প্রতি বছর অধিকাংশ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের ৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ জন ট্যালেন্টপুলে এবং ১২ জন জেনারেল গ্রেডসহ মোট ২৯ জন বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানের গৌরব বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে।

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় 'বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা'। এছাড়া স্কুলের চারটি হাউসের মধ্যে আয়োজিত হয় 'আন্তঃহাউস ফুটবল প্রতিযোগিতা' ও 'আন্তঃহাউস হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা'। প্রতিষ্ঠানে সারাবছর চারটি হাউসের মধ্যে এসব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হাউসগুলো হলো:

  1. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হাউস, রং লাল;
  2. ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হাউস, রং সবুজ;
  3. নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া হাউস, রং কমলা;
  4. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন হাউস, রং আকাশি।

প্রতিটি হাউসের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পতাকা, হাউস টিচার ও হাউস প্রিফেক্ট।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান (জাতীয় পর্যায়ে) নির্বাচিত হয়েছে।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমে ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী তথা যাবতীয় পরিমণ্ডলে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। পরপর সাতবার আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্কুল পর্যায়ে সাভার এরিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় স্কুল পর্যায়ে ২০১৪ সালে রানার আপ, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৬ সালের এনডিএফ বিডি-৯ম জাতীয় সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত জারি গান প্রতিযোগিতায় ২০১৬ সালে জাতীয় রানার আপ ও ২০১৭ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাতীয় সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৭ এ বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ঢাকা বিভাগে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ২০১৭, প্রমিতি (২০১৭)। ম্যাগাজিন (৩ সংস্করণ)। সাভার ক্যান্টনমেন্ট: জিরাবো ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। 
  2. "Official Facebook Page"Facebook ZCPSC Page [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে" (পিডিএফ)মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ৮ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২১ 
  4. "Official Websie"ZCPSC। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]