বিষয়বস্তুতে চলুন

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী
অবস্থান



তথ্য
ধরনস্কুল এন্ড কলেজ
নীতিবাক্যশান্তি, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৯৩ সাল
বিদ্যালয় কোড৭৭৫৯
কলেজ কোড৭২৭০
ইআইআইএন১১১৯২৫
চেয়ারম্যানব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন হায়দার, এএফডব্লিউসি, পিএসসি
অধ্যক্ষলেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবু হায়াত মোঃ রিশাদ মোর্শেদ, পিএসসি, এএসসি
শ্রেণি
  • প্রাথমিক শাখাঃ ১ম-৫ম শ্রেণি
  • মাধ্যমিক শাখাঃ ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণি
  • উচ্চ মাধ্যমিক শাখাঃ ১১শ-১২শ শ্রেণি
শিক্ষার্থী সংখ্যা৬৩৫২ জন
শিক্ষায়তন১১.১৯ একর
রংনীল, লাল, সবুজ, আকাশী
ওয়েবসাইটwww.cpscm.edu.bd

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী ময়মনসিংহ শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি ময়মনসিংহ সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত। এখানে দুই পর্যায়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। স্কুল পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয় এবং কলেজ পর্যায়ে উচ্চ মাধ্যমিক সিলেবাস অনুযায়ী ২ বছর পাঠদান করানো হয়। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী (সিপিএসসিএম) একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এবং নামী প্রতিষ্ঠান। শিক্ষানগরী ময়মনসিংহের সুরক্ষিত ও নির্মল প্রান্তে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত ও পুরস্কৃত। ১৯৯৩ সালে এটি স্কুল বিভাগের মাত্র ৬৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে যা পরবর্তীকালে ইংরেজী সংস্করণ বিভাগ সহ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয় । বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ৬৩৫২ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর তালিকাভুক্তি রয়েছে। ক্যাম্পাসটি ভাষা শহীদদের আলাবাস্টার স্মৃতিসৌধ, প্রশাসনিক ভবন এবং একাডেমিক ব্লক, পুষ্পশোভিত বাগান, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক ল্যাবস, প্রশস্ত অডিটোরিয়াম, বিশাল খেলার মাঠ, নার্সারী পার্ক এবং আকর্ষণীয় অভিভাবক শেড কাম ক্যাফেরিয়া সহ একটি আড়ম্বরপূর্ণ চেহারা ধারণ করে ।

"জ্ঞানই শক্তি" এই মূলমন্ত্রটি ধারণ করে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী (সিপিএসসিএম) সর্বদা তরুণদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের দিকে মনোনিবেশ করে। এই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক অর্জনগুলি প্রতিফলিত করে যে সিপিএসসিএম হল এমন একটি স্থান যা জাতির যোগ্য নাগরিকদের উপস্থাপন করে। এটি আশাপ্রদ ভবিষ্যতের আবাস হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্যের অন্তহীন প্রচেষ্টা। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[][][] হাউস সংখ্যা ০৪ টি (ঈশা খাঁ, নজরুল, জয়নুল, জাহাঙ্গীর)।

প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহী ময়মনসিংহ সেনানিবাসের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। প্রাথমিকভাবে বিদ্যালয়টি একতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে এটি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। যদিও প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র ২৩ জন শিক্ষক, ৬৪ জন ছাত্রের সাথে একটি ঢেউতোলা টিনের ছায়ার ঘরে শুধুমাত্র স্কুল বিভাগ নিয়ে শুরু হয়েছিল, এটি এখন ৬০০০ এর বেশি ছাত্র, ১২০ শিক্ষক এবং ১১.১৯ একর জমি জুড়ে সুন্দর, শান্ত ক্যাম্পাস সহ একটি দুর্দান্ত প্রতিষ্ঠান।[]

১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান, সুশৃঙ্খল, সৃজনশীল এবং দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করে আসছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজ আহমেদ ১৯৯৩ সালের ৪ঠা মার্চ এই এলাকার সেনাসদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক লোকদের সন্তানদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, বীর বিক্রম, পিএসসি ১৯৯৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অধ্যাপক এম আলমগীর ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ। ১৯৯৯ সালে শিক্ষা সচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কলেজ শাখার উদ্বোধন করেন। ইংরেজি ভার্সন বিভাগটি ২০০৭ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্কুল বিভাগে যুক্ত করা হয়েছিল। এখন, ইংরেজি ভার্সন বিভাগটি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে অন্যান্য ৭টি প্রতিষ্ঠানের সাথে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। পরবর্তীতে, এটি ২০১০ এবং ২০১১ সালে এইচএসসি ফলাফলের মেধা তালিকায় যথাক্রমে ১৯ তম এবং ২০ তম স্থান অর্জন করে। এটি জেএসসি ফলাফলের জন্য ২০১২ সালে মেধা তালিকায় ১৪ তম স্থান অর্জন করেছিল এবং ২০১৩ সালে সমস্ত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে এসএসসি ফলাফলের জন্য একই তালিকায় ১১ তম স্থান অর্জন করেছিল। ২০১৬ সালে, এটি ময়মনসিংহ জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়াও, স্কুল বিভাগটি ২০১৮ সালে ২৭টি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং কলেজের মধ্যে তার একাডেমিক এবং সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের জন্য দ্বিতীয় রানার আপ হিসাবে সমন্বয় করেছে। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহী এখন তার পাঠ্যক্রম সহ একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূর্ত প্রতীক, সহপাঠ্যক্রমিক এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ যা তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ

প্রতিষ্ঠানের প্রাত্যহিক সমাবেশ

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীতে নার্সারী থেকে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীতে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে এখানে পাঠদান করা হয়ে থাকে। ক্লাস ওয়ান থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে থাকে। নবম-দ্বাদশ এখানে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের সুযোগ রয়েছে।

ফলাফল

[সম্পাদনা]
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩
বিভাগ মোট পরীক্ষার্থী মোট উত্তীর্ণ A+ A A- পাশের হার
বিজ্ঞান ২৪১ ২৪১ ২৩৪ - ১০০%
মানবিক ১১ ১১ - ১০০%
ব্যবসায় শিক্ষা ২৩ ২৩ ২১ - ১০০%
SSC 23 Result Celebration
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩
বিভাগ মোট পরীক্ষার্থী মোট উত্তীর্ণ A+ A A- B F পাশের হার
বিজ্ঞান ৩৭৩ ৩৭২ ১৪৮ ২০৫ ১৭ ৯৯.৭৩%
মানবিক ১২৪ ১২৪ ২৭ ৮৩ ১৪ - ১০০%
ব্যবসায় শিক্ষা ৩৫ ২৭ ১১ ১০ ৯৮.৩১%
HSC 23 Result Celebration

অবকাঠামো

[সম্পাদনা]

প্রাথমিক ভবন

[সম্পাদনা]
Primary Building CPSCM

মাধ্যমিক ভবন

[সম্পাদনা]
Cpscm School Building

কলেজ ভবন

[সম্পাদনা]
Cpscm College Building

অডিটোরিয়াম

[সম্পাদনা]
Cpscm Auditorium

অফিস ভবন

[সম্পাদনা]
Cpscm Office

বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব

[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধ পদার্থ,রসায়নজীববিজ্ঞান বিজ্ঞানাগার। এছাড়াও একটি উচ্চমানের কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।[]

Computer Lab School
Computer Lab College

গ্রন্থাগার

[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার রয়েছে।

মসজিদ

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মসজিদ এর সুব্যবস্থা রয়েছে।

হাউসসমূহ

[সম্পাদনা]

ঈসা খাঁ হাউস

[সম্পাদনা]

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহীর চারটি হাউসের মধ্যে ঈশাখাঁ হাউস অন্যতম। ‘আমরা হারতে জানি না’ -এ মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে ঈশাখাঁ হাউসের পথচলা। হাউসের পতাকার রং গাঢ় নীল। আমরা বিশ্বাস করি সফলতা ও ব্যর্থতা মানুষের জীবনের দুটি অধ্যায়। সাময়িক ব্যর্থতাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জয়ের স্বাদ নিতে ঈশা খাঁ হাউস বদ্ধপরিকর। তাই ঈশা খাঁ হাউসের প্রতীক ‘দুরন্ত চিতা’ এবং এর মতো গতিশক্তি নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে এই হাউস। ঈশা খাঁ হাউসে মোট শিক্ষার্থী ৯৬৩ জন। এই হাউসে একজন হাউস মাস্টার ও ২৭ জন হাউস টিউটর রয়েছেন। এই হাউসের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা, নাচ, গান, অভিনয়, বিতর্কসহ সব ধরনের সংস্কৃতি চর্চায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।

নজরুল হাউস

[সম্পাদনা]

সিপিএসসিএম এর চারটি হাউসের মধ্যে নজরুল হাউস বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে। যার কবিতায় দ্রোহ, সাম্য, ও মানব প্রেমের   সহাবস্থান, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। উদ্দীপ্ত সূর্য কিরণ যেমন  অন্ধকার ভেদ করে নিজেকে প্রকাশ করে, তেমনি নজরুল হাউস সদা জাগ্রত ও প্রদীপ্ত। এ হাউস সকল বাধা পেরিয়ে জ্ঞানজগতসহ শিল্পসংস্কৃতি, সাহিত্য ও  খেলাধুলা প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্ভাসিত হচ্ছে আপন মহিমায়। লাল রঙে রঞ্জিত হয়ে নজরুল হাউস ‘চির উন্নত মম শি’ এই মূলমন্ত্র বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নজরুল হাউসের প্রতীক ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’। এ হাউসের গন্তব্য কেবল বিজয় ছিনিয়ে নেয়া নয়, শিক্ষার্থীদের দেশের আদর্শ সুনাগরিক হিসেবে গড়েতোলা। এই হাউসে একজন হাউস মাস্টার ও ২৮ জন হাউস টিউটর রয়েছেন। এই হাউসে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১১ জন।

জয়নুল হাউস

[সম্পাদনা]

সবুজ মানেই অফুরাণ প্রাণশক্তি, জীবন আর উদ্যম। চিরসবুজ জয়নুল হাউস সত্য ও সুন্দরের খোঁজে সম্মুখে পথ চলে। ‘সত্যই সুন্দর’ এ আদর্শ নিয়েই  জয়নুল  হাউস সফলতার পথে সকল বাধা দৃঢ়তার সাথে পেরিয়ে যায়। জয়নুল হাউসের প্রতীক ‘ঈগল’।  শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর প্রতি শ্রদ্ধা   জানিয়ে এ হাউসের নামকরণ করা হয়েছে ‘জয়নুল হাউস’। পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষা প্রসারে আমৃত্যু প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে ‘শিল্পাচার্য উপাধি দেওয়া হয়। এই হাউসে একজন হাউস মাস্টার ও ২৯ জন হাউস টিউটর রয়েছেন। এই হাউসের মোট শিক্ষার্থী ১১০০ জন। এই হাউসের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা, নাচ, গান, অভিনয়, বিতর্কসহ সব ধরনের সংস্কৃতি চর্চায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আন্ত:হাউস ইংরেজি বির্তক প্রতিযোগিতা কলেজ পর্যায়ে এই হাউস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

জাহাঙ্গীর হাউস

[সম্পাদনা]

‘আমরা করবো জয়’ এই মূল মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করেছে জাহাঙ্গীর হাউস। এই হাউসের প্রতীক সিংহ। এই হাউসের পতাকার রং আকাশি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নামানুসারে হাউসটির নামকরণ করা হয়। ত্রিশ লক্ষ আত্মবলিদানকারী সাহসী বীরের একজন হলেন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। এই হাউসে একজন হাউস মাস্টার ও ২৮ জন হাউস টিউটর রয়েছেন। এই হাউসে মোট শিক্ষার্থী ৯৭৫ জন। এই হাউসের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা, নাচ, গান, অভিনয়, বিতর্কসহ সব ধরনের সংস্কৃতি চর্চায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখছেন।

সহশিক্ষা কার্য্যক্রম

[সম্পাদনা]

সংস্কৃতির শুদ্ধ চর্চা মানুষকে যান্ত্রিক পৃথিবী থেকে মননশীল জগতের দিকে ধাবিত করে। হৃদয়ে আনে শীতল ও স্নিগ্ধ বায়ুর কোমল পরশ বুলানো অনুভুতি। বিরুদ্ধ পরিবেশের অশান্ত হৃদয় তখন জমিনের ন্যায় স্থিরতা পায়, পায় আকাশের প্রশস্ততা। অফুরন্ত সম্ভাবনাময় সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী সকল শিক্ষার্থীকে নিজস্ব আগ্রহ, পারদর্শিতা কিংবা শিক্ষকের বিবেচনায় উপযুক্ত সোসাইটির অন্তর্ভূক্ত করে সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। যার ফলে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মোমেনশাহী এর প্রতিটি  শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে সৃজনশীল ও সংস্কৃতিমনা করে তোলার লক্ষ্যে পরিচালিত হয় সোসাইটিসমূহ।

Cpscm BNCC
  • বাংলা সোসাইটি
    • বাংলা বিতর্ক
    • বাংলা উপস্থিত বক্তৃতা
  • ইংরেজি সোসাইটি
    • ইংরেজি বিতর্ক
    • ইংরেজি উপস্থিত বক্তৃতা
  • বিজ্ঞান সোসাইটি
    • গণিত সোসাইটি
    • কম্পিউটার সোসাইটি
  • সাধারণ জ্ঞান সোসাইটি
  • সংগীত সোসাইটি
  • অভিনয় সোসাইটি
  • ইসলামিক সোসাইটি
  • ফটোগ্রাফি সোসাইটি
  • চিত্রাংকন সোসাইটি
  • বি এন সি সি
  • বয়েজ স্কাউট
  • রোভার স্কাউট
  • গার্লস ইন স্কাউটিং
  • ব্যান্ড সোসাইটি
  • সিপিএসসিএম রেড ক্রিসেন্ট

প্রকাশনা

[সম্পাদনা]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকী শিশুদের মনে সাহিত্যের উদ্ভব ও বিকাশের জন্য একটি স্বল্পবিস্তৃত বাহন। প্রতি বৎসর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলএন্ড কলেজ মোমেনশাহী শিশু মনের কল্পনা বিলাসকে প্রাধান্য দিয়ে বার্ষিকী ‘উম্মীলন’ প্রকাশ  করে  থাকে। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকীতে খুদে সাহিত্য রচয়িতাদের অপরিণত মন, শিল্পবোধ ও বুদ্ধিবৃত্তির প্রতিফলন লক্ষণীয়। এছাড়াও কিছু পরিণত মনের অনুভূতির প্রকাশ এই বার্ষিকীটিকে বিশেষত্ব দান করে। বার্ষিকীতে স্থান পায় নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণাপ্রসূত লেখা। খুদে এই লেখকবৃন্দ তাদেরসৃজনশক্তি ব্যবহার করে নিজস্ব পরিমণ্ডলে ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে ভ্রমণ করে। ছোট্ট ছোট্ট কোমলমতি শিশুরা  হয়তো  গল্পের অভিনব প্লট নির্মাণেবা জীবনবোধের বহিঃপ্রকাশে বা মননধারার বিশ্লেষণের দক্ষ রূপকার নয় কিন্তু ব্যক্তি-স্বাতন্ত্রের প্রকাশের জন্য তাদের যে চেষ্টা তা আসলেই বিস্ময়কর। আঙ্গিক ও শিল্পগত রূপের দিক দিয়ে তাদের লেখাগুলো খুবই অপরিপক্ব বা লেখাগুলো হয়তো ঋদ্ধরূপ পায়নি কিন্তু মানবজীবনের ব্যক্তিত্ব বিকাশে এই বাহনটিতে তারা তাদের মননের প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করে। 

২০২৩ সালের বার্ষিক উন্মীলন

পোশাক

[সম্পাদনা]
ছাত্র
নেভি ব্লু প্যান্ট, সাদা ফুল হাতা শার্ট, কলেজ প্রদত্ত নেমপ্লেট ,কলেজের মনোগ্রামখচিত টাই ও কালো বন্ধ সু।
ছাত্রী
আকাশী সাদা সালোয়ার কামিজ, ও বেল্ট, ও কালো বন্ধ সু।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Cantonment Public School and College Momenshahi (CPSCM)"www.cpscm.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩১ 
  2. "ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩১ 
  3. "মোমেনশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ"www.poriborton.com। ২০১৯-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-৩১ 
  4. "Cantonment Public School and College Momenshahi (CPSCM)"www.cpscm.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৮ 
  5. "Cantonment Public School and College Momenshahi (CPSCM)"www.cpscm.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-১৯