লাদাখের প্রাণিকুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তুষার চিতা (Uncia uncia), লাদাখের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাণী

লাদাখের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদ নিয়ে সর্বপ্রথম গবেষণা করেন অস্ট্রীয়-চেক জীবাশ্মবিজ্ঞানী ফার্ডিনান্ড স্টোলিস্কা। ১৮৭০ সালের দিকে তিনি এ অঞ্চলে এক বিশাল অভিযান পরিচালনা করেন। লাদাখের সাথে মধ্য এশিয়ার বন্যপ্রাণীদের মধ্যে অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে তিব্বতী মালভূমিতে যে সমস্ত বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, তাদের অধিকাংশই লাদাখের উপত্যকাগুলোতে দেখা যায়। তবে কয়েক প্রজাতির পাখি এখানে দেখা যায় যেগুলো আবার তিব্বতী মালভূমি বা মধ্য এশিয়ার কোনখানেই দেখা যায় না। এসব পাখি শীতের পরে ভারতের উষ্ণতর অঞ্চলগুলো থেকে এখানে পরিযান করে আসে। রুক্ষ অঞ্চল হলেও লাদাখে বসবাসকারী পাখি প্রজাতির সংখ্যা অনেক বেশি; এ পর্যন্ত মোট ২২৫ প্রজাতির পাখি এখান থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এসব পাখিরা প্রধানত সো মরিরির মত উঁচু পাহাড়ি জলাভূমিতে বসবাস ও প্রজনন করে।

পাখি[সম্পাদনা]

প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কালোঘাড় সারস লাদাখে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে; ছবিটি সো কার, লাদাখ থেকে তোলা

গ্রীষ্মকালীন পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির তুতি, রবিন, লালগির্দি (যেমন কালো লালগির্দি) আর মোহনচূড়া এখানে সচরাচর দেখা যায়। এছাড়া এ সময় চুংথাং অঞ্চলের হ্রদগুলোতে আর সিন্ধু নদে প্রায়ই খয়রামাথা গাঙচিলকে বিচরণ করতে দেখা যায়। আবাসিক পাখির মধ্যে রয়েছে খয়েরি চখাচখিদাগি রাজহাঁস (লাদাখি: ngangpa)। তিব্বতী মালভূমির বিরল কালোঘাড় সারসকে (trhung-trhung) গ্রীষ্মকালে লাদাখের বেশ কিছু অংশে প্রজনন করতে দেখা যায়। অন্যান্য পাখির মধ্যে র‍্যাভেন, তিব্বতী তুষারমোরগচুকার বাতাই (srakpa) প্রধান।[১] শিকারী পাখির মধ্যে গৃধিনীসোনালি ঈগল, এই দু'টি প্রজতি প্রায়ই দেখা যায়।

লাদাখে প্রাপ্ত পাখিসমূহের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল:[২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Namgail, T. (2005). Winter birds of the Gya-Miru Wildlife Sanctuary, Ladakh, Jammu and Kashmir, India. Indian Birds, 1: 26-28.
  2. Pfister, Otto (২০০৪)। Birds and Mammals of Ladakh। Oxford University Press, New Delhi। 
  3. Pfister, Otto (২০০১)। "Birds recorded during visits to Ladakh, India from 1994 to 1997" (পিডিএফ)Forktail17: 81–90। ২৮ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]